তপন কুমার রনজিৎ।
২০০১ সালের ৫ই ফেরুয়ারী ৷ দীঘা পুরুলিয়া বাসে প্রথমবার শালবনীতে ৷ তীর্থক্ষেত্রের নাম শ্যামচাঁদপুর সীতারাম জীউ বিদ্যামন্দির | গ্রাম + ডাক - শ্যামচাঁদপুর | জেলা- মেদিনীপুর | পিন-৭২১১৪৭ |
শালবনী বাসস্ট্যান্ড | চোখের সামনে দুটি খড়ের ছাউনি দেওয়া খাবারের দোকান | প্রচন্ড খিদা , সকাল ৯টা ৷ খাবার তাওয়ায় প্রস্তুত ৷ ওজনে বিক্রি ৷ বেশ কয়েকজন খরিদ্দার ৷ শালপাতায় শ " খানেক পোড়া ময়দার ছেঁড়া টুকরো সাথে ঘুঘনি ৷
অপরিচিত ধরন দেখে দোকানদার থেকে খরিদ্দারের .চোখে মুখে কথা ৷ প্রথমবার খাদ্য তালিকায় সংযোজিত হল "ছেঁড়া পরোটা " ৷
দোকানের অভ্যন্তরে মাকড়শার জাল ভেদ করে দৃষ্টি পড়ল বিপরীত প্রান্তে গায়েগতরে এক গাছের উপর ৷ ময়লাধূতি রঙীন শার্ট মাথায় পাগড়ী পরা রোগা ঢেঙা ষাটোদ্ধ আদিবাসী ৷ সহজ সরল লালমটির কথা, "ইয়া ইটো তুদের ছাতিম গাছ বটে " ৷
রবি ঠাকুরের ছাতিম গাছের পরিচিতি ঘটল মারাং বুরুর প্রকৃতির সন্তানের সৌজন্যে ৷
দোকানদারের ধমক, গজগজ করতে করতে বলল, শ " খানেক রুটি নিয়ে ঘন্টাখানেক বেঞ্চ জোড়া করে বসে আছে, সকাল সক্কাল - যোতো সব - চব্য " ৷ চমকে উঠলাম ৷ হকচকিয়ে গো গ্রাসে গিলতে গিয়ে বিষম খেলাম জবরদস্ত ৷
বিনয়ের সুরে দোকানদার বলল, "হ্যাঁ গো যাবে কুনখানে?" শ্যামচাঁদপুর | " সেটা হেথা কুথো - সি তো অনেক দূরে! কেশপুর বলকে - !"
midnapore.in