সন্তু জানা।
১৯০৮ সালে সাহিত্য -সম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত বঙ্গদর্শন (নবপর্যায় ) পত্রিকার পাতায় অন্য একটি সাময়িক পত্রিকার ১০ বছর পূর্তি সংখ্যার বিজ্ঞাপনটি খুব ঘটা করে পুরো পাতা জুড়ে প্রকাশিত হয়েছিল ।পত্রিকার নাম ছিল 'পন্থা ' ।এটি একটি সাধারণ ঘটনা , কিন্তু বিস্ময়ের বিষয় হলো পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মেদিনীপুর জেলার দাঁতন মুন্সেফ কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বাবু কৃষ্ণধন মুখোপাধ্যায় । ঐতিহাসিক দাঁতন শহরে শতবর্ষ কাল অতিবাহিত হওয়ার পরেও এখনও সকলের অলক্ষ্যে ,নিভৃতে তাঁর স্মৃতি চির ঔজ্জ্বল্য ভাস্বর হয়ে রয়েছে একটি অর্ধ-ভগ্ন প্রস্তর ফলকে খোদিত নামের আড়ালে ।
কিন্তু কে এই কৃষ্ণধন মুখোপাধ্যায় ? দক্ষিণ - পশ্চিম সীমানা বাংলার ঐতিহাসিক শহর দাঁতনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কই বা কতটুকু ? উত্তর মেলেনি ।এমনকি , ব্রিটিশ জমানায় নির্মিত দাঁতন মুন্সেফ কোর্টের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাকাল এখনও পর্যন্ত অধরা মেদিনীপুরের মানুষের কাছে । সমস্ত ইতিহাস কালের আচ্ছাদনে তমসাবৃত । কিন্তু ,মনে রাখতে হবে কৌশলগত কারণে সুবর্ণরেখা তীরবর্তী বাংলা -ওড়িশা সীমানা প্রদেশের দাঁতন অষ্টাদশ শতকের শেষার্ধ থেকেই ইংরেজদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল ।
সেই ১৮০৩ সালে দেবগ্রামে মারাঠা-বর্গী ও ইংরেজদের মধ্যে বহু আকাঙ্ক্ষিত সন্ধি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে এবং সুবর্ণরেখা নদী ওড়িশা ও বাংলার মধ্যে সীমানা নির্ধারিত হওয়ার ফলে সীমান্তবর্তী দাঁতনের গুরুত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পেল ।১৮২৫ সালে ওড়িশা-ট্রাঙ্ক রোড চালু হলে পর যাতায়াতও সহজলভ্য হয়ে উঠলো। অনেক পরে দেওয়ানি বিচারকার্যের সুবিধার জন্য ইংরেজ মেদিনীপুর সদর আদালতের সাব-অর্ডিনেট হিসেবে দক্ষিণ সীমান্তে দাঁতনে মুন্সেফ কোর্ট স্থাপন করেছিল । ১৮৯৪ সালের 'গভর্নমেন্ট গ্যাজেট ' থেকে জানতে পারি ,মেদিনীপুর সদর আদালতের বিচারপতি বাবু দণ্ড ধারী বিশ্বাস কিছুদিনের জন্য দাঁতনের মুন্সেফ হয়েছিলেন ।১৮৯৫-৯৭ সাল অবধি এই পদে আসীন ছিলেন বিজয় কেশব মিত্র ।১৮৯৭ সালের শেষ লগ্নে দাঁতন মুন্সেফ কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব অর্পিত হয় কলকাতানিবাসী বাবু কৃষ্ণধন মুখোপাধ্যায়ের উপর ।
তিনি কেবলমাত্র একজন বিচারপতি ছিলেন না, সেই সঙ্গে একজন প্রাজ্ঞ সংস্কৃতিমনস্ক লেখক ও দার্শনিকও ছিলেন ।
তাঁর ভাবনা চিন্তায় পরিশীলিত করেছিলেন সেকালের দাঁতনকে। ১৮৯৭ সালে দাঁতনে কর্মরত অবস্থায় থাকাকালীন দর্শন ও আধ্যাত্মিক তত্ত্ব বিষয়ক একটি মাসিক পত্রিকা কলকাতা থেকে প্রকাশ করা শুরু করেন তিনি । নাম দেন 'পন্থা '। পরের বছর ১৮৯৮ সালের অক্টোবর মাসে ইংরেজ সরকার পত্রিকাটি প্রকাশ করবার জন্য অনুমতি প্রদান করে ।প্রসিডিংস ফাইল রিপোর্টে ইংরেজ লেখে -
" Baboo Krishnadhan Mukherjee, moonsif of Dantan allowed to edit a Bengali monthly magazine named 'Pantha' ,oct 1898 ."।
সেকালে সরকার বাহাদুর সাধারণ লোকের চেয়ে সরকারি কর্মীদের পত্র-পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিক সুযোগ দিত। ১৮৭৩ সালের জুলাই মাসে বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কে 'বঙ্গদর্শন' পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশ করার অনুমতি দেয় সরকার ।১৮৮১ সালে নড়াইলের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কেদার নাথ দত্ত (সজ্জন তোষিনী) ,১৮৭৫ সালে ঢাকা নিম্ন আদালতের করণিক কালী প্রসন্ন ঘোষ (বান্ধব ), ১৮৭৬ সালে বর্ধমানের সাব -রেজিস্ট্রার সঞ্জীব চন্দ্র চ্যাটার্জি (ভ্রমর ) প্রমুখ সরকারি কর্মীগণ বাংলা ভাষায় মাসিক পত্রিকা প্রকাশের অনুমোদন লাভ করেছিলেন । ১৮৯৮ সালে এই তালিকায় যুক্ত হয় দাঁতনের স্বনামধন্য মুন্সেফ বাবু কৃষ্ণধন মুখোপাধ্যায়ের নাম ।
দাঁতনের ইতিহাসে কৃষ্ণধন বাবু একেবারেই অনালোচিত একটি নাম । জন্ম কলকাতা শহরের এক বনেদি বংশে ।প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষালাভ। তৎকালীন যুগে এম.এ ,বি.এল ডিগ্রি প্রাপ্ত মানুষটি বিচারবিভাগীয় পদকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিলেও দর্শন ও ধর্মশাস্ত্র বিষয়ে ব্যুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন বিস্তর। ধর্মকথা বিষয়ক সেকালের বিখ্যাত ' প্রচার ' পত্রিকার সুপ্রসিদ্ধ চিন্তাশীল লেখক রূপে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন ।১৮৯৭ সালে কলকাতায় ' বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ '-এর ষষ্ঠ মাসিক বৈঠকে রমেশ চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে , মহেন্দ্র নাথ বিদ্যা নিধির প্রস্তাবে এবং হরিসাধন মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে তিনি পরিষদের আজীবন সভ্য পদে মনোনীত হন ।১৮৯৮ সালে দাঁতনে মুন্সেফ কোর্টের সদা ব্যস্তময় জীবনের ফাঁকেই ' বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের ' নবম মাসিক অধিবেশনে যোগদান করেন ।১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেল ৫ টা থেকে রাজা বিনয় কৃষ্ণ দেব বাহাদুরের ভবনে উপস্থিত সভাপতি মনমোহন বসু এবং সভ্য গণ নন্দ কৃষ্ণ বসু, সুরেশ চন্দ্র সেন , ব্যোমকেশ মুস্তফি, বরদা চরণ মিত্র এবং পরিষৎ পত্রিকার সম্পাদক নগেন্দ্রনাথ বসুর সামনে মার্গ- দর্শন বিষয়ে অসাধারণ পান্ডিত্য পূরণ বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি ।
১৮৮৫ সালে অক্ষয় কুমার সরকার সম্পাদিত ' নবজীবন ' পত্রিকার প্রথম সংখ্যাতেই বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ,হেমচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় , চন্দ্র নাথ বসু ,নবীন চন্দ্র সেন ,রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের পাশাপাশি লেখক সূচিতে সামিল ছিল কৃষ্ণধন মুখোপাধ্যায়ের নামও। সেকালের জনপ্রিয় পত্র - পত্রিকা ' প্রচার ', 'পূর্ণিমা',' হিতৈষী ',' ধরনী',' ' তত্ত্ব বোধিনি ','ভারতী' প্রভৃতির পাতায় প্রতিনিয়ত সৃষ্টিশীল রচনার ছাপ রেখে গেছেন তিনি । তাঁর কয়েকটি বিখ্যাত রচনা হল -তত্ত্বমসি ( ভারতী ১৮৮৬), উত্তরাখন্ডে ( পন্থা ১৮৯৮), একমেবদ্বিতীয়ম ( ভারতী ১৮৮৬) প্রভৃতি ।দাঁতনের মত গ্রাম্য পরিবেশে বেশ কিছুকাল বাস করেও তাঁর উৎসাহে বিন্দু মাত্র ভাটা পড়েনি ।বরং দাঁতনে এসে পরিচিত হলেন কবি নাট্যকার তথা সংস্কৃতিমনস্ক জমিদার রাজা রামচন্দ্র রায় বীরবরের সঙ্গে ।মাঝে মধ্যেই দুজনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ -আলোচনা চলত। রাজা রামচন্দ্রের স্বহস্তে লেখা ' দাতা কর্ণ যাত্রার গীত' পাঠ করে তিনি অবিভূত হন ।প্রায়ই মনোহরপুর রাজ বাটিতে যেতেন ।উৎসাহিত করতেন কুমার সুরেশ চন্দ্রকে ।
সংস্কৃতির এই অপরূপ পরিবেশেই পত্রিকা প্রকাশের ভাবনার উৎপত্তি।অতঃপর কলকাতার ১৩৩ মসজিদ বাড়ি স্ট্রিট থেকে প্রকাশ পেল ' হিন্দু শাস্ত্র ,দর্শন ,বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক তত্ত্ব বিষয়ক উচ্চ শ্রেণীর মাসিক পত্রিকা ' ।নাম রাখলেন 'পন্থা'। প্রথমে শ্যামলাল গোস্বামীকে নিয়ে নিজেই সম্পাদনা করতেন ।পরবর্তীকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রায়চাঁদ-প্রেমচাঁদ বৃত্তি প্রাপ্ত সুখ্যাত লেখক ও মুন্সেফ হীরেন্দ্রনাথ দত্তের সঙ্গে যুগ্মভাবে সম্পাদনা করলেন ।প্রকাশক হিসেবে এগিয়ে এসেছিলেন যোগেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী ,রাজেন্দ্র লাল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ ।সনাতন হিন্দু ধর্মের গূঢ়তত্ত্ব সমূহ সাধারণ জনমানসে ব্যাপক ভাবে প্রচার করাই ছিল 'পন্থা'-র মুখ্য উদ্দেশ্য ।এই কারণে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল সাধারনের নাগালের মধ্যেই ।কলকাতায় বার্ষিক মূল্য ছিল ১ টাকা ৪ আনা ।মেদিনীপুর ,বর্ধমানের মতো মফস্বলে মাত্র ৬ আনা ।এমনকি প্রতি সংখ্যায় দাঁতনের মত গ্রামে গঞ্জে মাত্র ১-২ আনা প্রদান করলেই মিলত হিন্দু ধর্মের প্রকৃত দর্শন মাহাত্ম্য ।
১৯০৪ সাল নাগাদ দাঁতন মুন্সেফ কোর্ট থেকে বদলি হয়ে কৃষ্ণধন বাবু দাঁতনের নবনির্মিত রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে কলকাতা চলে এলেন। কিন্তু দাঁতনের মাটিতে বসে যে পত্রিকা প্রকাশের ভাবনা শুরু, তার গতি রুদ্ধ হলো না। দেখতে দেখতে ১০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল ।আনন্দ মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯০৮ সালে নিখিল নাথ রায় সম্পাদিত ' ঐতিহাসিক চিত্র ' পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে সগর্বে প্রচার করা হলো --পত্রিকার লেখক হিসেবে পন্ডিত রাজেন্দ্র নাথ শাস্ত্রী রায় বাহাদুর ,নগেন্দ্র নাথ বসু , বিজয় কেশব মিত্র , শ্যামলাল গোস্বামী , প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায় ,হরি চরণ রায় প্রমুখের নাম ।লেখা হলো - " প্রসিদ্ধ লেখক গনের সুগভীর গবেষণাপূর্ণ সুপাঠ্য ও সুলিখিত প্রবন্ধে 'পন্থা'-র কলেবর প্রায়ই পূর্ন থাকে " ।
ইতিমধ্যে দাঁতন ত্যাগ করে চলে গেলেও কৃষ্ণধন বাবুর স্মৃতি থেকে দাঁতনের ছাপ মুছে যায়নি। মূলত তাঁরই উৎসাহে ও আমন্ত্রণে দাঁতনের সংস্কৃতিবান জমিদার রাম চন্দ্র রায় বীরবর ১৯০৭ সালে কলকাতার 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ'-এর আজীবন সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন।ওই বছরের পরিষদ কার্য বিবরণীতে বাংলার মফস্বলের মধ্যে মোট ৩৫৪ জন সদস্যের মধ্যে ২৪৪ নম্বরে রামচন্দ্রের নাম লিপিবদ্ধ আছে ।পারিবারিক ঐতিহ্যের পথ ধরেই কুমার সুরেশ চন্দ্র ১৯১৬ সালে পরিষদের মেদিনীপুর শাখায় যোগদান করেছিলেন। ১৯৩৪ সালে একজন প্রতিষ্ঠিত কবি ও নাট্যকার হিসেবে জেলা শাখার অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। মুন্সেফ কৃষ্ণধন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সাংস্কৃতিক আদান -প্রদানের স্মৃতি তিনিও উল্লেখ করে গেছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যেই দাঁতনের জন্য অনেকটাই ভেবেছিলেন কৃষ্ণধন। প্রাজ্ঞ শাস্ত্র জ্ঞানী ও আদ্যন্ত আধ্যাত্মিক মানুষ ছিলেন । তাই প্রায়ই দাঁতনের কৃষ্ণপুর মৌজায় অবস্থিত মুন্সেফ -রেসিডেন্স থেকে অনতিদূরে জঙ্গলাকীর্ণ মা কালী চন্ডির থানে নৈবেদ্য নিবেদন করে আসতেন । জাগ্রত কালী মাতার এই লৌকিক রূপ এখানে একটি গ্রানাইট পাথর রূপে প্রতিষ্ঠিত । ১৯১২ সালের ব্রিটিশ সেটেলমেন্ট মৌজা-মানচিত্রে পরিষ্কার উল্লেখ আছে, কৃষ্ণপুর মৌজার ১১৩০ নং দাগে ' কালী চন্ডির স্থান' , ১১৫৯ নং দাগে ' আদালতের রাস্তা ' এবং ১১৬৩ নং দাগে 'মুন্সেফ কোর্ট ' অবস্থিত ছিল । লোকমুখে প্রচারিত যে , জনৈক মুন্সেফ বিজয় কেশব মিত্র পঞ্চ মুন্ডির আসনে স্থাপিত পাথরটির চারপাশে বাঁধিয়ে জায়গাটি ঘিরে বেড়া করে দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত ,এই বিজয় কেশব মিত্র ছিলেন কৃষ্ণধন বাবুর পূর্ববর্তী মুন্সেফ ।পরবর্তীকালে , কৃষ্ণধন বাবুর আমলে পবিত্র স্থানটিতে মন্দির গড়ে তোলার দাবি ওঠে । মহামান্য মুন্সেফ তখন জায়গাটির স্বত্ত্বাধিকারী রাজা রামচন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। রাজার সদিচ্ছায় এবং মুন্সেফের উদ্যোগে গ্রাম্য বিশ্বাসকে মান্যতা দিয়ে কালী চন্ডির মন্দির গ্রে ওঠে। পার্শবর্তী স্থানে ভক্ত বৃন্দের জন্য বিশ্রামস্থল ও সপ্তাহে দু দিন করে হাট বসানোর বন্দোবস্ত শুরু হয়। মুন্সেফ কৃষ্ণধন নিজ খরচে মন্দিরের পশ্চিমমুখী প্রবেশদ্বারটি নির্মাণ করে দিয়েছিলেন।
প্রবেশদ্বারের উপরে বসলো দুটি সিংহ-বাহন এবং দ্বার-স্তম্ভে একটি ফলক, যাতে চিরদিনের জন্য লেখা রইলো কৃষ্ণধনের নাম। এখনো কালী চন্ডি মন্দিরের প্রবেশদ্বারে শতাব্দী প্রাচীন সেই প্রস্তর-ফলক অর্ধ-ভগ্ন অবস্থায় এক অসামান্য উদ্যোগ ও প্রয়াসের চিরন্তন স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে । লেখা আছে -" শ্রী কৃষ্ণধন মুখো " । দাঁতনের ইতিহাসে অনালোকিত এই ফলকটির গুরুত্ব অপরিসীম, অপরিমাপযোগ্য এবং বিরল ।এমনকি ,এক কালের এই বিশিষ্ট লেখক ,দার্শনিক, বিচারপতি ও ' পন্থা' সম্পাদক বাবু কৃষ্ণধন মুখোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত কোন প্রস্তর-ফলক হয়তো কলকাতা শহরেও আর কোথাও নেই.....!!
midnapore.in