ঐতিহ্যের স্কুলবাড়ি - দীঘা বিদ্যা ভবন
Digha Vidyabhawan
তপন কুমার রনজিৎ।
বিবর্তনের ভেলায় চড়ে মিথ, পুরাণ, লোককথা, স্মৃতিকথা নির্ভর অতীত ইতিহাস ঐতিহ্য রোমন্থন ৷ বীরকুল ভূমিখণ্ডের উপরে গড়ে ওঠা অভিবাসী মানুষের মিলামেলা | প্র -পিতামহ - পিতামহের হাতে গড়া এবং পরবর্তী চার প্রজন্ম ধরে শিক্ষা গ্রহন করে চলা অসংখ্য শিক্ষার্থীগণের বিদ্যামন্দির; ঐতিহ্যের স্কুলবাড়ি - দীঘা বিদ্যা ভবন ৷
ঐতিহ্যের স্কুলবাড়ি - দীঘা বিদ্যা ভবন | Digha Vidyabhawan
পূর্বপ্রান্তে উত্তর-দক্ষিণে প্রবাহমান সুপ্রাচীন নদী সুবর্ণরেখার শাখানদী বীরকুল | দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে উড়িষ্যার ভোগরাই থানা। নদী ও সাগরের স্রোতবাহিত পললরাশির মিলনে সৃষ্ট পুণ্যভূমি বীরকুল | নদীর কুলে কুলে গড়ে ওঠা উপলা (উড়িষ্যা), গঞ্জ (পদুবাড়), বোধিপত্রক (বোধড়া) প্রভৃতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বন্দরগুলি ছিল বাহিরী ও তাম্রলিপ্তের সহযোগী ও সম্মন্বয়কারী বন্দর ৷ সঙ্গমস্থলে জেগে ওঠা ভূখণ্ডে ক্ষুন্নিবৃত্তির তাগিদে জঙ্গলমহলের বলাঙ্গির , গজপতি , কন্ধমাল, গঞ্জাম, মালকানগিরি, কালাহান্ডি , কোরাপুট, সম্বলপুর থেকে আসা অন্-আর্য প্রজাতি গড়ে তোলে এক জনপদ | জন্ম দেয় নতুন এক ভাষা - 'মালঝিটা ' | এই কথ্য ভাষার উপাদান গঠনে তৎকালীন উৎকল বা উত্তর কলিঙ্গের প্রভাব থাকলেও প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক প্রভাব যথেষ্ট ছিল ৷ উৎকলাধিপতি গঙ্গ বংশীয়দের আমলে অখণ্ড মেদিনীপুর জেলা ছয়টি দণ্ডপাঠে বিভক্ত ছিল ৷ প্রত্যেক দণ্ডপাঠে এক একজন দেশধিপতির ( রাজপ্রতিনিধি) উপর শাসন ও সংরক্ষণের ভার ন্যস্ত ছিল। কিন্তু ব্যতিক্রমী খণ্ড 'বীরকুল 'প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে হিন্দুরাজা-মহারাজাগণের নিয়ন্ত্রণাধীনে ছিল ৷
দ্রুত বদলাতে থাকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সমীকরণ | নব্য অভিবাসী মানুষের চাপে সহজ সরল স্বাধীন প্রিয়, গোষ্ঠীচেতনা সম্পন্ন আদিবাসী মানুষ উপকূলভাগের পলল সমৃদ্ধ অঞ্চল ত্যাগ করে এই জেলার পশ্চিমাংশে জঙ্গলমহলের পাথুরে এলাকায় সরে যায় ৷
ঐতিহ্যের স্কুলবাড়ি - দীঘা বিদ্যা ভবন | Digha Vidyabhawan
ময়ূরভঞ্জের করদরাজ্য হয়ে ওঠে বীরকুল খণ্ড ( ১৫০০ খ্রিঃ) | উড়িষ্যার 'ভোই 'বংশের শেষ হিন্দুরাজা হরিচন্দনের রাজত্বকালে (১৫৬০-৬৮ খ্রিঃ) ঘটে যায় নারকীয় ধ্বংসলীলা ৷ কালাপাহাড়ের আক্রমণে বিধ্বস্ত হয় লঙ্কেশ্বরীমন্দির (পদুবাড়) | তলোয়ারের শানিত আঘাতে কর্তিত হয় দেবীর স্তনযুগল। উড়িষ্যাসহ অখণ্ড মেদিনীপুর হস্তগত হয় সোলেমান কররানীর ৷ পাঠান শাসন বেশিদিন টেঁকেনি, শুরু হয় মুঘল শাসন৷ অধিকতর ভূমিরাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে বীরকুল তথা বঙ্গদেশে রাজস্বের রদবদল ঘটে৷ বদল ঘটে প্রশাসনিক চালচিত্রের ৷ মুর্শিদাবাদে তখন নবাবী শাসন৷ শুরু হয় একের পর এক মারাঠা আক্রমণ | উড়িষ্যাসহ মেদিনীপুরের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমাজুড়ে মারাঠা আধিপত্য কায়েম হয় ৷ নবাব মীরকাশিম ( ১৭৬০ খ্রিঃ) মেদিনীপুর চাকলা ইংরেজ কোম্পানীর হাতে তুলে দেন ৷ দেওয়ানি লাভের পরবর্তী সময়েও কোম্পানী মুঘল নিয়ম-কানুন বাজায় রাখে ৷
বীরকুল জমিদারি ততদিনে রাজস্ব অনাদায়ে নিলামে উঠেছে ৷ খণ্ড- বিক্ষিপ্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বহু নতুন নতুন ইজারাদার, তালুকদার ও জমিদারের উদ্ভব ঘটেছে ৷ শুরু হয়েছে ইংরেজ ও মারাঠাদের রাজস্ব আদায়ের প্রতিযোগিতা৷ বীরকুল পরগণার দক্ষিণাংশে উপকূলীয় ভূভাগ ইংরেজ গর্ভনর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস সরকারি খাসমহলে পরিনত করেছেন ৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে উপকূলীয় প্রজাকুলকে রক্ষা করার অভিপ্রায়ে শুরু হয়েছে সামুদ্রিক বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা৷ এক পরগণা এমনকি এক একটি মৌজা বা গ্রাম বহু জমিদারির আওতাধীন হয়ে পড়েছে ৷ বাড়ছে মধ্যস্বত্বভোগির সংখ্যা। জীবন জীবিকার স্বার্থে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাগ্যান্বেষী মানুষের ভিড় জমতে শুরু করেছে ৷ করণ, কুণ্ডু, দাস, পট্রনায়ক, দত্ত, পাল, নায়ক, জানা, মাইতি , মিশ্র, পণ্ডা, মহাপাত্র বংশের বসতি শুরু হয়েছে ৷
ঐতিহ্যের স্কুলবাড়ি - দীঘা বিদ্যা ভবন | Digha Vidyabhawan
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাত ঘুরে ব্রিটিশ ভারতীয় শাসন প্রযুক্ত হল। পাশ্চাত্য শিক্ষার অভিঘাতে ব্রিটিশ শাসনের গর্ভে জন্ম নেয় মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় ৷ চেতনার রঙে রাঙিয়ে ভারতীয় জনমানষে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়ে তাঁরা ব্রিটিশ শাসনের ভিত নাড়িয়ে দেয় ৷ শুরু হল একের পর এক গণ আন্দোলন | (১৯২০-১৯৪২ খ্রিঃ) উপকূলীয় মনুষ্যকুলের আগুনঝরা আন্দোলনের পরিনতি
' তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার 'প্রতিষ্ঠা| প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত, মহামারি দুর্ভিক্ষে বিধ্বস্ত বীরকুলবাসীর ত্রাতা হয়ে উঠলেন কুণ্ডুপরিবার৷ ধানের গোলা উন্মুক্ত করে, বস্ত্রহীন মানুষের হাতে খুরদার গেরুয়া রঙা গামছা তুলে দিয়ে সম্ভ্রম রক্ষা করলেন ৷
ঐতিহ্যের স্কুলবাড়ি - দীঘা বিদ্যা ভবন | Digha Vidyabhawan (ছবি - মানস দাস)
ভাগ্যান্বেষী নারায়ণ কুণ্ডুর হাতে গড়া জগদীশপুরের কুণ্ডুপরিবার৷ কমঠ, কর্তব্যপরায়ণ ইন্দ্রনারায়ণ অতি সাধারণ অবস্থা থেকে হয়ে উঠলেন জমিদার ইন্দ্রনারায়ণ ৷ এই পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম গদাধর কুণ্ডুর কনিষ্ঠ সন্তান আইনজ্ঞ সতীশ কুণ্ডুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৪নং ইউনিয়ন বোর্ড (পদিমা গ্রামপঞ্চায়েত ) এর অন্তর্গত অলংকারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই জানুয়ারী, ঐতিহ্যের স্কুলবাড়ি দীঘা বিদ্যা ভবনের পথচলা শুরু |
ঘেরসাই গ্রামের করণ - পট্টনায়ক পরিবার, চিরুলিয়ার জমিদার প্রিয়নাথ মণ্ডলসহ দহদয়া, মৈত্রাপুর, জগদীশপুর, অলংকারপুর গ্রামের বর্ধিষ্ণু পরিবার সমূহের ভূমিদানে এবং ২, ৩, ৪ নং ইউনিয়নের অধিবাসীগণের অক্লান্ত শ্রম ও অর্থে চুরাশি হাজার কাঁচা ইঁটে গড়ে উঠল (১১০ ফুট X ১৮ ফুট) খড়ের ছাউনিযুক্ত দরজা-জানালাবিহীন দোতলা মাটির বাড়ি ৷ ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৬ই জুলাই,নবগঠিত বিদ্যামন্দিরে শুরু হল পঠন-পাঠন |
ঐতিহ্যের স্কুলবাড়ি - দীঘা বিদ্যা ভবন | Digha Vidyabhawan (ছবি - শাস্বতী সরকার)
দুর্ভিক্ষের শিকার, আধপেটা, স্কুল ছুট, দড়িবাঁধা ঢলা হাফ - প্যান্টে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া দল - উমাকান্ত মাইতি, রজনীকান্ত জানা, রামচন্দ্র গিরি, ব্রজেন্দ্র করণ, শরৎচন্দ্র করণ, পরিতোষ বোস, শ্যামসুন্দর রণজিৎ প্রমুখ৷ সহজ- সরল ধৃতি গেঞ্জি পরিহিত পাদুকাবিহীন নগ্ন পদযুগলে শোভিত আচর্যত্রয়- অবন্তী কুমার মিশ্র , ভাস্করচন্দ্র মিশ্র, শ্যামপদ দাস৷ যোগ দিলেন প্রথম প্রধান শিক্ষক পবিত্রকুমার সেন (১২/০১/৪৮-১০/০৮/৪৯ ) | ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে খোলা হয় পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি ৷ ১৯৪৮ খ্রিঃ অষ্টম ও নবম শ্রেণি ৷ ১৯৪৯ খ্রিঃ দশম শ্রেণি ৷ ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হলেন নারায়ণচন্দ্র হাজরা, রাধাকান্ত মিশ্র এবং তালগাছাড়ি গ্রামের রজনীকান্ত জানা৷ শুরু হল ঐতিহ্যের স্কুলবাড়ির জয়যাত্রা ৷ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে বহু আচার্য এবং প্রধান আচার্যগণের আনাগোনার মাঝে বটবৃক্ষ হয়ে সমস্ত বাধা সামলে ঐতিহ্যের স্কুলবাড়িকে মহকুমার শিক্ষাপ্রসারে অগ্রণী করে তুললেন সহশিক্ষক (১৬/০১/৪৮- ৩১/০৮/৫২), ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ( ০১/০৯/৫২-৩১/১২/৫২), প্রধানশিক্ষক (০১/০১/৫৩ - ৩০/০৯/৮৯) হেমন্তকুমার দত্ত মহাশয় |
ঐতিহ্যবাহী স্কুলবাড়ির সংবাদ প্রকাশিত হত মধুসূদন জানা প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত আঞ্চলিক সংবাদপত্র ' নীহার ' এর পাতায়৷ "ইংরেজ বনিক মিঃ জেঃ এফ স্নেথ দীঘা বিদ্যাভবনের শিক্ষার উন্নয়নে বার্ষিক একশত মুদ্রা দান করার কথা ঘোষণা করেছেন ৷ " ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে, ইউনিয়ন বোর্ডের বিলুপ্তি ঘটল | ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে এই বছরেই দীঘা বিদ্যা ভবন কলা, বিজ্ঞান ও বানিজ্যসহ 'Maltipurpose H. S school এ উন্নীত হল ৷ সবুজ গালিচা বিছানো সুবিস্তৃত স্কুল ময়দান হয়ে উঠেছিল সরকারি হেলিপ্যাড | দিল্লীর সঙ্গে গড়ে উঠেছিল প্রগাঢ় সম্পর্ক | কাকু - দাদাদের হাতধরে হাঁটি হাঁটি পায়ে দেখতে গেছি হেলিকপ্টার। এসেছেন প্রধানমন্ত্রী মোরাজী দেশাই থেকে বহু কেদ্রীয়মন্ত্রী , এসেছেন সুশীল ধাড়া, চার রাজ্যপাল (কৈলাশনাথ কাট্ জু, এল.এল.ডায়াস, ত্রিভুবন নারায়ণ সিং এবং নরুল হাসান), মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধান রায়, প্রফুল্ল সেন, অজয় মুখোপাধ্যায়, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু প্রমুখ৷
ঐতিহ্যের স্কুলবাড়ি - দীঘা বিদ্যা ভবন | Digha Vidyabhawan
ঠাকুরদা - ঠাকুরমা, জ্যাঠু-জ্যাঠীমা, বাবা, কাকু-কাকিমা, দাদা -দিদিদের মুখে মুখে ঘুরত 'শক্তি - মুক্তি 'র নাম ৷ সন্ধ্যার মুখে লণ্ঠনের আলোয় দুলে দুলে সহজপাঠ ( ২য় ভাগ) এর সরবপাঠ চলত ৷ " ভক্তরামের নৌকা শক্ত কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি ৷ ভক্তরাম সেই নৌকা সস্তা দামে বিক্রী করে ৷ শক্তিনাথবাবু কিনে নেন ৷ শক্তিনাথ আর মুক্তিনাথ দুই ভাই " ৷ শেষের বাক্যটি বার বার বলতে বলতে চোখ বন্ধ হয়ে আসত ৷ ঠাকুরদার অবলম্বন লাঠির খোঁচায় ঘুম ভাঙত ৷ সেদিনের জমিদার পুত্রদ্বয় হলেন হামিরপুর নিবাসী লবন আন্দোলনে জেলখাটা স্বদেশপ্রেমী গদাধর রায়ের পুত্র - মৃনালকান্তি রায় (শক্তি) ও আশিসকুমার রায় (মুক্তি) |
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে পঞ্চম শ্রেণিতে জ্যাঠা-বাবা-কাকা- দাদাদের 'দীঘাস্কুল ' - ঐতিহ্যের স্কুলবাড়ি - দীঘা বিদ্যা ভবনে ভর্তি হলাম ৷ বিদ্যালয়ের প্রথম দিনেই বাবা-কাকা- দাদাদের হেড্ মাস্টার এর সঙ্গে সাক্ষাৎকার ঘটল | সুযোগ মিলল নাড়াজোল রাজপরিবারের স্থাপত্যকক্ষ 'অমরেন্দ্রলাল হল 'এ সহপাঠীদের সঙ্গে বসার ৷ সেদিনের শিক্ষক মহাশয়- ভীমাচরণবাবু, শক্রুঘ্নবাবু ; পণ্ডিতবাবু , অলকা দিদিমণি, বনবিহারীবাবু , সতীশবাবু, রমানাথবাবু, রোহিণীবাবু , সুধাসিন্ধুবাবু, মনোরঞ্জনবাবু, সন্তোষবাবু,অমূল্য সেনবাবু, অনন্তবাবু , স্বপনবাবু ( A ), স্বপনবাবু (B), অদিতিবাবু গণের ক্লাসরুমের কঠস্বর আজও ভেসে ওঠে ৷ ইতিহাসের শিক্ষক অমূল্য মণ্ডল মহাশয়ের বড়ো বড়ো নাম মনে রাখার কৌশল -
"ইক্তিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বিন বক্তিয়ার খলজি |
অদিতি রঞ্জন সিংহ দাস মহা পাত্র ৷ "
মনে থাকবে আমৃত্যু | মনে পড়ে,'দেবীবরণ '
ছায়ছবির কথা ৷ স্কুল পোষাকে সুসজ্জিত সারি ৷ প্রধান শিক্ষক হেমন্তকুমার দত্ত মহাশয়ের ত্রিশ সেকেন্ডের নাটকীয় সংলাপ " থাক বাবা থাক" |
প্রিয় বিদ্যালয়ের 'প্লাটিনাম জুবিলি 'র
আবেগ ও আনন্দঘন অনুভূতি নিয়ে দেখি শতবর্ষের আহ্বান ৷ এই দীর্ঘ সময়ে আমার মতো অগনিত ছাত্রছাত্রীর হৃদয়কথা সেদিনও আজকের দিনের মতো অনুরনিত হতে থাকবে বিদ্যালয়ের সোনাঝরা স্মৃতি | সেদিনের সেই সুখদিনে অনেক না থাকা শিক্ষার্থীর নীরব উপস্থিতি, ঐতিহ্যের ফল্গুধারা বহমান থাকবে ৷ এক এক করে এগোবে শত শত বর্ষের দিকে
midnapore.in
(Published on 23.04.2022)