ঘাটাল, ষ্টিম, নেভিগেশন, কোম্পানি, শরৎচন্দ্র, চট্টোপাধ্যায়, Ghatal, Steam, Navigation, Company, Sarat Chandra Chattopadhyay


'ঘাটাল ষ্টিম নেভিগেশন কোম্পানি' এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়


The Ghatal Steam Navigation Company and Sarat Chandra Chattopadhyay



অরিন্দম ভৌমিক।




তখন ১৯২৫ সাল, লড়াই জমে উঠেছে।


একদিকে আমাদের মেদিনীপুরের 'ঘাটাল ষ্টিম নেভিগেশন কোম্পানি'


আর অন্যদিকে ইংরেজদের 'হোরমিলার কোম্পানি'।


কার স্টিমারে বেশি যাত্রী যাবে, সেই নিয়ে লড়াই।


হোরমিলার কোম্পানি বেশি যাত্রী টানার জন্য বিনা মূল্যে সিগারেট দিচ্ছে, দোতলায় সুন্দর বসার জায়গায় কম ভাড়াতেই বসতে দিচ্ছে। এতসব করেও খুব একটা ফায়দা করতে পারছিল না 'হোরমিলার কোম্পানি'। কারণটা হল চির সংগ্রামী মেদিনীপুর জেলার মানুষের দেশপ্রেম এবং 'ঘাটাল ষ্টিম নেভিগেশন কোম্পানি'র ডিরেক্টর শ্রীযুক্ত বিপিনচন্দ্র ভট্টাচার্য মহাশয়ের কর্মদক্ষতা ও দেশের জন্য কাজ করার মানসিকতা। শিক্ষিত সাধারণ মানুষরা চাইতেন দেশি কোম্পানির লাভ হোক, তাই তাঁরা লোভনীয় অফার ছেড়ে চাপতো 'ঘাটাল ষ্টিম নেভিগেশন কোম্পানি'তে। তবে এই সবের উর্ধে গিয়ে যিনি লড়াইতে সরাসরি অংশগ্রহণ করে ঘাটাল কোম্পানিকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি হলেন কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।


ঘাটাল, ষ্টিম, নেভিগেশন, কোম্পানি, শরৎচন্দ্র, চট্টোপাধ্যায়, Ghatal, Steam, Navigation, Company, Sarat Chandra Chattopadhyay
'ঘাটাল ষ্টিম নেভিগেশন কোম্পানি'

ভারতের মুক্তিযুদ্ধে যারা সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁদের অনেকের সম্পর্কেই আমরা জানি। কিন্তু বহু মানুষ পরোক্ষ ভাবে এই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘাটাল কোম্পানির জন্য রীতিমতো কলম ধরেছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সেই লেখাই আজকের মূল বিষয়। তবে সেই লেখায় যাওয়ার আগে আমরা সংক্ষেপে দেখে নেব শরৎবাবুর রাজনৈতিক সক্রিয়তা।


১৯২০ সালে ভারতে যখন মহাত্মা গান্ধীর নন-কো-অপারেশন আন্দোলন আরম্ভ হল এবং অন্যান্য সমস্ত রাজ্যের মত আমাদের অঞ্চলেও সর্ব্বত্র কংগ্রেস কমিটি গড়ে' উঠল, শরংচন্দ্র তখন হাওড়ার বাজে শিবপুরে থাকতেন। তিনি নন-কো-অপারেশন আন্দোলন সমর্থন করে' কংগ্রেসে যোগদান করলেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন তখন বাংলার নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন। তাঁর পরামর্শমত শরৎচন্দ্র হাওড়া জেলাতে কংগ্রেস-সংগঠনের এবং অসহযোগ আন্দোলন প্রচারের নেতৃত্ব গ্রহণ করলেন। সেদিন হাওড়ার যে সমস্ত কর্মী এবং স্বাধীনতার পূজারী নিজেদের সব কিছু ত্যাগ করে' নন-কো-অপারেশন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন, তাঁরা সকলেই শরৎচন্দ্রের পাশে এসে দাঁড়ালেন এবং তাঁর নেতৃত্ব বরণ করে' নিলেন।


তাঁর অংশগ্রহণ ছিল রীতিমত সক্রিয়। 'শরৎচন্দ্রের রাজনৈতিক জীবন' বইতে শচীনন্দন চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন -


"কংগ্রেসের কার্য্যপরিচালনার ব্যাপারে দেশবন্ধু-পরিষদে যখনই কোন দুরূহ বা জটিল সমস্যার উদয় হত, তখনই শরৎচন্দ্রের মন্ত্রণা না হলে চলত না। মন্ত্রণা-দানে তাঁর দক্ষতা ছিল অসাধারণ। কোন জটিল ব্যাপারের গ্রন্থি-মোচনের জন্য রথী রথী কর্মীরা যখন বৃহৎ টেবিলের চারিদিকে জটলা পাকিয়ে বসে' মাথা কোটাকুটি করতেন ও সমস্যার গোলকধাঁধার মধ্যে হাবুডুবু খেতেন, শরৎচন্দ্র তখন একান্তে বসে' পেয়ালার পর পেয়ালা চায়ের ধোঁয়া মুখ থেকে পেটে ঢোকাতেন এবং একটা মোটা বর্ম্মা চুরুটের ধোয়া টেনে টেনে মুখ থেকে নাক দিয়ে বার করে দিতেন। সকলে যখন হায়রাণ ও দিশেহারা হয়ে পড়তেন, তখন তিনি সহসা গা ঝাড়া দিয়ে উঠে একটি মোক্ষম পরামর্শে সমস্যার দফা রফা করতেন। এক একদিন আলোচনা শেষ হতে অনেক রাত্রি হয়ে যেত। ফেরবার ট্রাম পাওয়া যেত না, ট্যাক্সি ভাড়া করে' তিনি গৃহে ফিরতেন। অধিক রাত্রে অবসন্ন ক্লান্ত দেহে ট্যাক্সিতে হেলান দিয়ে লুণ্ঠিত-মস্তক নিদ্রালু অবস্থায় যখন তিনি গৃহে ফিরে আসতেন, তখন তাঁকে দেখে পাড়ার অনেক দুষ্ট লোক মনে করত যে, তিনি আকণ্ঠ পান করে' আড্ডা বিশেষ থেকে ফিরে আসছেন। এসব কথা তারা বলাবলিও করত, তাঁর কাণেও আসত; কিন্তু তিনি কখনও কোন প্রতিবাদ নিজেও করেননি, গুণগ্রাহী অনুচরদের দ্বারাও করাননি। মিথ্যে দুর্নাম ও নিন্দায় তিনি বিচলিত হতেন না, গ্রাহ্যও করতেন না। অখ্যাতিকে তিনি পরোয়া করতেন না, খ্যাতির জন্যেও তিনি লালায়িত ছিলেন না। নীলকণ্ঠের মত কালকূট হজম করবার শক্তি ছিল তাঁর অসাধারণ।"



তাঁর লেখা "পথের দাবি" উপন্যাস (১৯২৬) ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের সচেতনতা তৈরি করতে সাহায্য করেছিল এবং দেশপ্রেমের চেতনাকে জাগ্রত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাঁর উপন্যাস ও গল্পে তিনি ভারতীয়দের মধ্যে একটি জাতীয়তাবোধের চেতনা তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন। তাঁর লেখায় ব্রিটিশ শাসনের প্রতি গভীর ঘৃণা এবং ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সমর্থন প্রকাশ পায়।


তবে কংগ্রেসের সব সিদ্ধান্তেই যে তাঁর বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা ছিল তা' নয়। চরকা প্রোগ্রামে তাঁর বিন্দুমাত্র আস্থা ছিল না। চরকা কেটে দেশ স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাবে, এই ব্যাপারটা তিনি একদমই বিশ্বাস করতেন না। খদ্দর তিনি বরাবরই পরতেন কিন্তু অন্য কারণে। তিনি বলতেন, "চরকা-খদ্দরে নিজে বিশ্বাস করি বা না করি, কংগ্রেস যখন খদ্দর পরা নিয়ম করেছে, তখন খদ্দর পরাই উচিত, নইলে ডিসিপ্লিন থাকে না।"


তাঁর খুব আস্থা ছিল বিদেশি বয়কটের প্রোগ্রামের ওপরে। সবাই মিলে বিদেশি পণ্য বয়কট করলে যে দেশের স্বাধীনতা এগিয়ে আসবে,


এ বিশ্বাস তাঁর দৃঢ় ছিল। সেই বিশ্বাস থেকেই তিনি 'ঘাটাল টিম নেভিগেশন কোম্পানি'র হয়ে কলম ধরেছিলেন এবং বিদেশী 'হোরমিলার কোম্পানি'কে বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক তাঁর সেই লেখা–


“রূপনারায়ণ নদীর ধারে পানিত্রাসে আমার বাড়ির পাশ দিয়ে ঘাটাল টিম নেভিগেশন কোম্পানির স্টিমার ও লঞ্চ চলে। কোলাঘাট হইতে ঘাটাল পর্যন্ত ইহাদের যাতায়াত। হোরমিলার কোম্পানিও এই লাইনে তাহাদের স্টিমার চালায়। গত ছয় বছর কাল ইহাদের মধ্যে অসম প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করিয়া আসিতেছি। হোরমিলার কোম্পানির স্টিমার বড়, অথচ কম জলে চলিতে পারে; সুতরাং সারা বছর তাদের চলায় বাধা হয় না। এছাড়া তাহাদের অর্থের অভাব নাই, ফলে ভাড়া কমাইয়া যাত্রীদের সিগারেট উপহার দিয়া, একতলা ও দোতলার ভাড়া সমান করিয়া এবং অধিক সংখ্যক স্টিমার দিয়া তাহারা দেশি কোম্পানির পক্ষে প্রতিযোগিতা কঠোর ও নিদারুণ করিয়া তুলিয়াছে। দেশি কোম্পানির স্টিমার ছোট, জল ভাঙ্গে বেশি, সেই জন্য সারা বছর সকল সময় চলিতে পারে না। তথাপি, এত প্রকার অসুবিধা সত্ত্বেও দেশি কোম্পানির স্টিমারে লোক যথেষ্ট হয় ইহার একটা বড় কারণ এই যে, যাত্রি গনের একটা বড় অংশ এই স্বদেশী 'ঘাটাল কোম্পানি'কে নানাভাবে সাহায্য করিতে চায়। এই সকল কারণে এবং ঘাটাল কোম্পানির ডিরেক্টরদের কর্মপটুতা, সততা ও নিঃস্বার্থতার জন্য এই ধনী, বিদেশী ও শক্তিমান প্রতিদ্বন্ধীর সহিত লড়াই করিয়া, প্রতিবৎসর ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াও দেশি কোম্পানিটি এখনো টিকিয়া আছে।


এই দেশি কোম্পানিটিকে এই অসম প্রতিযোগিতার হাত হইতে রক্ষা করিয়া বাঁচাইয়া তোলা দেশের লোকের একান্ত কর্তব্য। বহুদিন হইতে ইহার সকল দিক দেখিয়া ও চিন্তা করিয়া বুঝিয়াছি যে, যাতায়াতের যথেষ্ট ও নিয়মিত সুবিধা করিয়া দিতে পারিলেই যাত্রীরা দেশের বর্তমান অবস্থায় বিদেশী কোম্পানিকে ছাড়িয়া দেশি কোম্পানিরই পৃষ্ঠপোষকতা করিবে। ইহার জন্য প্রয়োজন হোরমিলার কোম্পানির 'শীতলা'র মতো একখানি বড় স্টিমার। ইতিপূর্বে কোম্পানির পরিচালকগণ নিজেদের এবং এগারোশত যাত্রীর মধ্যে ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) টাকা তুলিয়া দুইটি ছোট স্টিমার ও একটি মোটর লঞ্চ ক্রয় করিয়া আজ ছয় বৎসর এই লড়াই চালাইতেছেন।


কোম্পানিটি ও কোম্পানির ক্রিয়া-কলাপ ঘাটালের স্থানীয় ব্যাপার হইলেও, সমস্যাটি স্থানীয় নহে, সর্বজনীন। দেশি কোম্পানি বনাম বিদেশি কোম্পানি, ইহাই হইলো আসল সমস্যা। একটি দেশি বাঙালি কোম্পানিকে বাঁচাইয়া তুলিয়া লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করা বাঙালির শুধুই কর্তব্য নয়, গৌরবের বিষয়। আশা করি, এই স্বদেশীকতার ক্ষেত্র হইতে সমস্যাটিকে দেখিয়া দেশের শিক্ষিত জনসাধারণ ও ধনীগণ এই কোম্পানিকে স্বেচ্ছায় ও সানন্দে সহায়তা দানে অগ্রসর হইবেন। শুধু সাহায্য ভিক্ষা দিয়া নয়- ব্যবসায়ের অংশীদার হইয়া যে সাহায্য দেওয়া যায় তাহাই আমরা চাই। অথচ, একথা প্রকাশ করা প্রয়োজন যে, এই অসম প্রতিযোগিতায় হয়তো অনেকদিন পর্যন্তই দেশি স্টিমার কোম্পানি লাভবান হইতে সমর্থ্য হইবে না। তথাপি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই যে একটি বড় স্টিমার ক্রয় করিতে পারিলেই এই দেশি 'ঘাটাল কোম্পানি' অচির ভবিষ্যতে একটি লাভজনক ব্যবসায়ে পরিণত হইতে পারিবে।


এই কোম্পানির ডিরেক্টরগণ আমার সবিশেষ পরিচিত। তাঁহাদের সহিত ভালো রূপ মিশিয়া দেখিয়াছি যে তাঁহারা প্রত্যেকে এই কোম্পানির কাজকে জাতীয় কাজ মনে করিয়া একান্ত নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সহিত বিনা পারিশ্রমিকে ইহার কর্ম পরিচালনা করিতেছেন। এরূপঅবস্থায়, প্রতিযোগিতা প্রতিরোধ করিবার মত সাহায্য ও সুবিধা পাইবামাত্রই এই দেশী কোম্পানি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর নিঃসংশয়ে প্রতিষ্ঠিত হইবে।


সর্বাপেক্ষা আশা ও আনন্দের কথা এই যে, ইহার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শ্রীযুক্ত বিপিনচন্দ্র ভট্টাচার্য শুধুই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কৃতি গ্রাজুয়েট নন- কলকব্জা সম্বন্ধে তাঁহার হাতে-কলমে শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা প্রচুর পরিমাণে আছে। তিনি নিজে হাতে স্টিমার চালনা শিক্ষা করিয়া পোর্ট অফিসে সারেঙের পরীক্ষায় পাস করিয়াছেন এবং গত পাঁচ বৎসর ধরিয়া স্টিমারের যাবতীয় কলকব্জা কোনো ডকে না দিয়াও গভর্নমেন্ট সার্ভেয়ারের অনুমোদনে নিজেই মেরামত করিয়া চালাইতেছেন। কলকব্জা-ঘটিত ব্যক্তিগণ জ্ঞানের অভাবে বহু স্থানে এইরূপ কোম্পানির যে ক্ষতি হয়, বর্তমান ক্ষেত্রে তাহার আশঙ্কা নাই। প্রয়োজনীয় মূলধন পাইলে এইরূপ সুদক্ষ ম্যানেজারের তত্ত্বাবধানে এই কোম্পানির ক্রমোন্নতি অবশ্যম্ভাবী। আশা করি, দেশের কল্যাণকামী জনগণের নিকট আমার এই আবেদন ব্যর্থ হইবে না।“


ঘাটাল, ষ্টিম, নেভিগেশন, কোম্পানি, শরৎচন্দ্র, চট্টোপাধ্যায়, Ghatal, Steam, Navigation, Company, Sarat Chandra Chattopadhyay
'ঘাটাল ষ্টিম নেভিগেশন কোম্পানি'-র লঞ্চে পিকনিক চলছে।


ঘাটাল, ষ্টিম, নেভিগেশন, কোম্পানি, শরৎচন্দ্র, চট্টোপাধ্যায়, Ghatal, Steam, Navigation, Company, Sarat Chandra Chattopadhyay
কোম্পানির একটি লঞ্চের নাম রাখা হয়েছে ' এম. ভি. বিপিনচন্দ্র'।

শরৎবাবুর এই লেখাটি নিঃসন্দেহে সেদিনের সেই স্টিমার কোম্পানির যুদ্ধে প্রভাব ফেলেছিল। তার প্রমান এখনো রয়েছে। কারণ 'ঘাটাল ষ্টিম নেভিগেশন কোম্পানি' এখনো চলমান। কোম্পানির একটি লঞ্চের নাম রাখা হয়েছে ' এম. ভি. বিপিনচন্দ্র'। আপনি তাঁদের ষ্টিমার/লঞ্চ পার্টি বা পিকনিকের জন্যেও ভাড়া নিতে পারেন। 'ঘাটাল ষ্টিম নেভিগেশন কোম্পানি'-র প্রতিষ্ঠাতা এবং ডিরেক্টর ছিলেন বিপিনচন্দ্র ভট্টাচার্য। তাঁর বসতবাড়ি ছিল হাওড়ার সালকিয়াতে। সে সময়ের একজন প্রকৃত সমাজসেবী ও দেশীয় উদ্যোগপতি, অনেকের কর্ম সংস্থান করেছেন। শরৎবাবুর আবেদনটি প্রথম কোথায় ছাপা হয়েছিল জানা নেই। তবে এই লেখাটি ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ বঙ্গবাণী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।




M E D I N I K A T H A J O U R N A L

Edited by Arindam Bhowmik

Published on 04.05.2025



নিচে কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত জানান।