দীপঙ্কর দাস।
সার্বিক জীবনের প্রতিফলন। এ জন্যে লেখকের, জীবন সম্পর্কে ব্যাপক ও প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। হৃদয় দিয়ে উপলব্ধ সত্যকে তুলে ধরতে হবে , তবে তা হৃদয়কে স্পর্শ করবে। এইটিই আমার অন্বিষ্ট।
ছাত্র থাকা কালীন সমসাময়িক অনেকের লেখা ছাপা হত, তাঁরা ছিলেন আ্মাদের চোখে হিরোয়িক, নিজেকে তাঁদের সমকক্ষ করে তোলার তাগিদেই প্রথম লেখা।
রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ দাশ, সমর সন, বিুষ্ণ দে, অরুণ সরকার, সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিভা বসু, মহাশ্বেতা দেবী, মোহিতলাল মজুমদার, ধুর্জটি প্রসাদ, অন্নদাশঙ্কর রায়,অতুল গুপ্ত, প্রমথ চেৌধুরী, গোপাল হালদার; দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, উৎপল দত্ত, দিগিন বন্দ্যোপাধ্যায়, শম্ভু মিত্র; সৈয়দ মুজতবা আলি, পরশুরাম; প্রবোধ সান্যাল, রানী চন্দ।
তলস্তোয়, তুর্গেনিভ, গোর্কী, শেক্সপিয়ার, সামার সেট মম, জন হিলটন; মোপাঁসাঁ, বালজাক; হাওয়ার্ড ফাষ্ট, এডগার এলেন পো।
বর্তমান লেখকেরা,আধুনিক সাহিত্যের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত, কেউ কেউ ঈর্ষনীয় ভাবে লিখছেন, বাঙলা সাহিত্যের প্রিয় সাহিত্যিক হয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ ভাবে আশাব্যঞ্জক।
এই দিকটি খুবই দুর্বল, News Sense এর খুবই অভাব। স্থানীয় ঘটনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যার বদলে, রাজধানীর দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে মফস্বলের কাগজগুলো না মফস্বলের না রাজধানীর হচ্ছে।
কবিতা ও গল্পে আশাব্যঞ্জক, গবেষণাধর্মী প্রবন্ধের ক্ষেত্রেও। গণনাট্যের মাধ্যমে যে প্রগতি সাহিত্যের উদ্বোধন, তার জোয়ার আজ স্তিমিত, মানিক-সুকান্ত-উৎপল একটা ধারাবাহিকতা।
কোনো পরিকল্পনা নেই, জেলার সাহিত্যিকরা বিভিন্ন, তাঁদের একত্র করা কঠিন তবে পত্রিকা সম্পাদনার সময় গোষ্ঠী গড়ার চেষ্টা করেছি।
আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ, মুনির চৌধুরী নাট্যকার, সুফিসাধনা, সুনীতি চট্টোপাধ্যায়। অনেক মণীষীর সঙ্গে চিঠিপত্রে যোগাযোগ ছিল, সেগুলি অবলম্বন করে মূল্যায়ণের চেষ্টা করছি।
আমি যা ভাল মনে করি তাই লিখি, কারো মধ্যে সম্ভাবনা দেখলে ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও তার গুণগ্রাহিতা প্রকাশ করি, এধরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি যা বলবো, তা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে, কিন্তু তার মধ্যে অনুগ্রহ বিতরণের কোনো ব্যাপার নেই।
নজরুল এ্যাকাদেমি পুরস্কার সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া নেই। পাঠক ও বন্ধুদের কাছে যথেষ্ট স্নেহ-ভালবাসা পেয়েছি, পাঠকেরা গ্রহণ করেছেন, এটাই সবচেয়ে বড় পুরস্কার। পাঠকের প্রতিনিধি স্বরূপ আমি কিছু কথা লিখেছি। গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়। নজরুল এ্যাকাদেমি সেই স্নেহ-ভালবাসাকেই স্বীকৃতি দিয়েছেন।
midnapore.in
কৃতজ্ঞতা স্বীকার ।