নাচনী
नाचनी | NACHNI
লক্ষ্মী পাল।
নানাবিধ সংস্কৃতির সমন্বয় ভূমি ভারতবর্ষে যাদের আদিম অধিবাসী (Aborgines) বলা হোত পরবর্তীকালে তাদেরই সমাজতাত্ত্বিক পরিভাষায় ‘আদিবাসী‘ বলা হয়। এদেরই কিছু অংশ বহুশত বৎসর ধরে বসবাস করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ- পশ্চিমাংশে অবস্থিত জঙ্গলমহলে।চৈতন্যজীবনী গ্রন্থকার কৃষ্ণদাস কবিরাজ কথিত ঝাড়িখণ্ডকে ১৭৫৭ সালে ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি নাম দিয়েছিল ‘জঙ্গলমহল’।এখানকার ভৌগোলিক মানচিত্র এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার একাধিক বার পরিবর্তন হলেও অপরূপ প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য, শৈল্পিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে গ্রথিত এই অঞ্চল।
নাচনী | नाचनी | NACHNI (ছবি - সমুদ্রগুপ্ত মল্লিক )
মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়ায় ছড়িয়ে আছে সমুদ্র সমঅতল ও বিশাল, বৈচিত্রপূর্ণ যে লোকসংস্কৃতি তা জীবন রসে সিঞ্চিত ও ছন্দিত। বারো মাসের তেরো পার্বণ কেন্দ্রিক উৎসবাদির সময় লক্ষিত হয় লোকনৃত্য, লোকগানের উচ্ছল প্রকাশ। সারা বছর বাদনা, করম, জাওয়া, জাথেল উৎসব, ভাদু-টুসু পরব, ছৌ, দাঁড়, কাঠি নাচ প্রভৃতিতে মনোগ্রাহী হয়ে ওঠে জঙ্গলমহলের আকাশ-বাতাস। ‘নাচনী’ এই লোকসংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত একটি শিল্পকলা।
নাচনী শব্দটির সাধারণ অর্থ নাচ করে যে নারী। কিন্তু বর্তমান নিবন্ধে জঙ্গলমহলের একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের নাচ গানের কথা ও তাদের যাপিত জীবনের বিষয়েই আলোকপাত করা হয়েছে। গীত ও নৃত্যকলা শিল্পেরই অন্যতম শাখা যেটি অতি প্রাচীন কাল থেকেই যাত্রা শুরু করেছিল। হিন্দুদের ধর্মশাস্ত্র, পুরাণ প্রভৃতিতে পাওয়া যায় উর্বশী, মেনকা, রম্ভা প্রভৃতির নাম। এরা নৃত্য দ্বারা দেবতাদের আনন্দ দিতেন।মধ্য যুগের মনসামঙ্গল কাব্যের বেহুলা নৃত্য প্রদর্শন করে দেবতাদের খুশি করে মৃত স্বামীকে বাঁচিয়ে তুলেছেন। রাজা-বাদশাদের মনোরঞ্জনের জন্যও প্রয়োজন ছিল নর্তকীদের। শোনা যায়, আকবরের সময় ‘নটচারণ’ নামক একটি সম্প্রদায় ছিল যারা নাচ-গান করে জীবিকা নির্বাহ করত। জমিদারদের নাচ মহলের কথা ও নিদর্শন এখনো বিলুপ্ত হয়ে যায় নি। ’সম্ভবত সমাজের একই মানসিকতা পরিবর্তনের পথ ধরে দেবদাসী, বাঈজী নাচে পৌঁছেছিল।
সিন্ধুবালা দেবী
‘নাচনী’ এগুলির পরিবর্তিত রূপ। কথিত আছে, মানভূমে ‘গুরুমাতা’ রূপে স্বীকৃত সিন্ধুবালা দেবীকে জমিদার শশিভূষণ সিং বাঈজী বানাবার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন।সিন্ধুবালার অসাধারণ কণ্ঠের কথা শুনে মহেশ্বর মাহাতো ষড়যন্ত্র করে তাকে কেদরীতে এনে বিয়ে করেন। তারই প্রেরণা ও সহযোগিতায় সিন্ধুবালা দেবী বিখ্যাত নাচনী হয়ে ওঠেন। পঞ্চকোটের যুবরাজ শঙ্করী প্রসাদ সিংদেও গোউর কুইরী, ভুলু ওস্তাদ, দুখু ঠাকুর, লখনউয়ের বিভিন্ন ওস্তাদের কাছে তাকে গান শেখাবার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
দিনের আলো বা রাত্রিবেলায় অন্ধকারের পটভূমিতে কৃত্রিম আলোর মধ্যে একজন অথবা দুজন নাচনী নৃত্য পরিবেশন করে। সঙ্গে থাকে একজন বা দুজন পুরুষ। এদের মধ্যে একজনকে বলা হয় ‘রসিক’। নাচনী এরই অধীন। অনুষ্ঠানকালে উভয়েই আকর্ষণীয় সজ্জায় সজ্জিত হয়। প্রাবন্ধিক সুভাষ রায় নাচনীদের সাজসজ্জার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন, ‘’পরনে রঙিন তিনটি ঘাঘরা। ঘাঘরার সঙ্গে ম্যাচিং করা জরি আঁটা ব্লাউজ, মাথায় নেট দেওয়া বড় আকারের খোঁপা, চুলে নানান ডিজাইনের কাঁটা, যেমন হাড়ের কাঁটা, বেলকলির কাঁটা, পান কাঁটা ইত্যাদি। সিঁথিতে সিঁথিপাটি, কানে মাকুড়ি, অনেকে আবার ব্যবহার করে কানপাশা, নাকে নোলক, দুহাতে রঙিন চুড়ি, তাগা, বালা, বাজুবন্ধ প্রভৃতি। গলায় হার অথবা সস্তা দামের পুঁতির মালা বা কৃত্রিম ফুলের মালা। পায়ে লাল আলতা, ঘুঙুর, মুখে পাউডার, চোখে কাজল, কপালে টিপ, ঠোঁটে উৎকট লাল বা গোলাপী বর্ণের লিপস্টিক, মুখে লাল হবার জন্য পান, মাথায় সুগন্ধি তেল, গায়ে আতর, দুহাতে দুটি রুমাল এবং কোমরে কোমরবন্ধ বা গেট........।‘’ রসিক ধুতি বা পাজামা পরে, পাঞ্জাবীতে সোনালি রঙের বোতাম লাগিয়ে, পায়ে ঘুঙুর বেন্ধে গলায় মাদল ঝুলিয়ে, মাথার পাগড়িতে ময়ূরের পেখম গুঁজে নাচনী নাচকে রঙিন করে তোলে। এই নৃত্যগীতের সাথে ব্যবহৃত হয় ঢোল, মাদল, হারমোনিয়ম, ডুগিতবলা, বাঁশি, বেহালা ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র। রাজদরবারে, ধনীর প্রাঙ্গণে, মাঠে, বৃক্ষতলে, যে কোনো স্থানেই এই নাচের আসর বসতে পারে। দর্শক– সকল শ্রেণির মানুষ।আসলে যেখানে নাচনীরা নাচগান দিয়ে মানুষকে পরিতৃপ্ত করে পারবে বেশকিছু অর্থ উপার্জন করতে রসিক সেখানেই আসর বসাতে সচেষ্ট থাকে।নাচনী আদি রসাত্মক ভঙ্গী, আমন্ত্রণ মূলক ইঙ্গিত দিয়ে দর্শককে বিচলিত এবং উচ্ছ্বসিত করে তোলে।মানুষকে আকৃষ্ট করা ও আনন্দ দেওয়ার মাপকাঠীতে নাচ এবং নাচনীর মূল্যায়ন করা হয়। কখনও কখনও কারো নৃত্যে মুদ্রাও পরিলক্ষিত হয়।সেগুলি এদের শিল্পী সত্ত্বার পরিচয় দেয় এবং অনেকে শিল্পী হিসেবে স্বীকৃত হয়ে পরিচিতিও অর্জন করেন।
নাচনী | नाचनी | NACHNI (Photo Courtesy - Daricha Foundation 6 Feb 2020)
সিন্ধুবালা দেবীর অসাধারণ কণ্ঠ ও গায়কী, নৃত্যনৈপুণ্য আকৃষ্ট করে তুলত দর্শকদের।তাকে মানভূমের শিল্পীদের ‘গুরুমাতা’ রূপে স্বীকৃতি দিয়ে শিল্পীর মর্যাদায় ভূষিত করেছিলেন পঞ্চকোটের রাজা।উপরন্তু ১৯৮৭-৮৮ সালের বীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছিল ‘রাজ্য- সঙ্গীত-নাটক-দৃশ্যকলা একাডেমীপুরস্কার’’। ১৯৯৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে ‘লালনপুরস্কার’ দিয়ে সম্মানিত করেছিল। ১৯৯৩ সালে ‘আন্তর্জাতিক আদিবাসী বর্ষে‘ তিনি পেয়েছিলেন ‘রায়মঙ্গল’ সম্মান।
পাস্তুবালা দেবী
নাচনী মালাবতী আকাশবাণী কটকের শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। বলা হয়, তিনি কুড়িটি ভাষায় গান করতেও সক্ষম এবং সুইডেনেও নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়ে এসেছেন।কিছুদিন আগে পাস্তুবালা দেবী ‘লালনপুরস্কার’ অর্জন করেছেন।
গবেষক কিরীটী মাহাতোর মতে নাচনী ও রসিক প্রকৃত পক্ষে এককালে ছিল ‘যুগলসাধক’। এই যুগল সাধনার মূল বিষয় প্রেম যা উভয় প্রকার --দেহগত এবং দেহাতীত। নাচনী ও রসিক সহজ সাধনার মূর্ত প্রতীক। এরা দেহতত্ত্ব নিষ্ঠ অখণ্ড প্রেমের সাধক।তিনি পদ্মাবতীর নাচ গান এবং জয়দেবের মৃদঙ্গ বাজানোর কথা উল্লেখ করে জানিয়েছেন, ‘এটি দেহতত্ত্ব সাধনার ধারা এবং সহজিয়া সঙ্গীতের রীতি।রসিক ও নাচনী হল সেই প্রাচীন ঐতিহ্যেরই পতাকাবাহী এবং উত্তর সাধিকা মাত্র’। কেউ কেউ মনে করেন,’ নাচন্তী বাজিলগান্তি দেবী’ অর্থাৎ ব্জ্রধর নাচছে আর ব্জ্রসাধিকা গান করছে –এই চিত্রকল্পটি ভাড়ুয়া ও তার নৃত্য সঙ্গিনী নাচনীর নৃত্য কলার সাথে হুবহু মিলে যায়।এরা মূলত প্রেমের পূজারী বা সিদ্ধ সহজিয়া। দেহতত্ত্ববাদীদের মতে সাধনায় কামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘’কাম না হলে হবে না ভাই ভজন সাধন
কামকে কামিনী কর,
কর না ভাই কাম বর্জন।‘’
চারুবালা কালিন্দীর নাচের সঙ্গে ঢোল বাজাচ্ছেন চেপু কালিন্দী এবং ধামসা বাজাচ্ছেন অমৃত মাহাতো (ছবি - অভিজিত চক্রবর্তী)
বলা হয়, এই নাচে ঝুমুর গান ব্যবহৃত হয়। প্রসঙ্গক্রমে বিপিনবিহারী মুখের লেখার একাংশ উল্লেখ করা যায়।
‘’কালো ভ্রমর তুমি নাগর করো না আর গজর গজর
বাঁকা নজর মারো না শ্যাম ছি ছি ছি
অকালে পিরীতি ছাড়েছি ।। ১ ।।
মাইরি বধূ তোর কিরা কর না আর হাত ইশারা
ইশারাতে দিশাহারা হয়েছি ।। ২ ।।‘’
রসিক এবং নাচনীর সম্পর্ককে কারো নিজস্ব যুক্তিতে ‘সহজ পথের ধারক ’বা রাধাকৃষ্ণলীলার প্রতিরূপ হিসেবে বিশ্বাস করার বা বলবার স্বাধীনতা অবশ্যই আছে। কিন্তু আমি মনে করি, ‘নাচনী’ নৃত্যচর্যাপদে পরিবেশিত সহজ সাধনতত্ত্বের সমগোত্রীয় কিনা নিশ্চিত করে বলতে হলে আরো ক্ষেত্রসমীক্ষা, গবেষণা প্রয়োজন।সিন্ধুবালাদেবী বা অন্য নাচনীদের জীবনচর্যার কোথাও সহজ পথের তত্ত্বের প্রকাশ ঘটেনি অন্যের কথা বা নিজের উক্তিতে। নরনারীর কামনা বাসনার প্রকাশই ঘটে নাচনী নৃত্যে। সাধারণ দর্শকদের কাছে এটি কামোদ্দীপক এবং আমন্ত্রণমূলক।পুরুষের মনোরঞ্জনকারী নৃত্যগীত হিসেবেই ‘নাচনী’ জঙ্গলমহলের লোকসংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত হিসেবেই পরিচিত। সাধারণত নাচনীরা কামার, ডোম, মুচি, বাগদি, লোহার, বাগাল প্রভৃতি বিভিন্ন জাতির দারিদ্র পরিবারের কন্যা হয়। কখনও রসিকের প্রতি আকর্ষণের জন্য, কভু বা নাচনী হওয়ার আকাঙ্খায় এরা ঘর ছাড়ে। কেউ বা টাকার বিনিময়ে অথবা বলের দ্বারা বাধ্য হয় নাচের দলে যোগ দিতে।পূর্বোক্ত সিন্ধুবালাদেবী ৮/১০ বছর বয়সে দালাল বা আড়কাঠি কর্তৃক অপহৃত হন। কিন্তু কপালে পোড়া দাগ থাকায় অপহরণকারীরা তাকে জঙ্গলে ফেলে রেখে যায়।পথ চলা মানুষরা দেখতে পেয়ে তাকে পাশের গ্রামের জমিদার শশিভূষণসিং-এর কাছে রেখে আসে।এরপর কি ভাবে সিন্ধুবালাদেবী বিখ্যাত নাচনী হয়ে উঠলেন সে কথা পূর্বেই লিখেছি। পাস্তুবালাদেবীকেও ছোট বেলায় বাবা ও মা ছেড়ে চলে যায়।মামার বাড়িতে বহুদিন অসহ্য কষ্টের মধ্যে দিন কাটানোর পর, বিবিধ ঘটনার টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে চলার পর তিনি নাচনী হয়ে ওঠেন।নাচনী সম্পর্কীয় আলোচনা শুধুমাত্র জঙ্গলমহলের লোকসংস্কৃতির একটি দিকের বিষয়ে অবগত করায় না, পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারীর প্রবঞ্চনা, অবমাননা, অবহেলা, অভাবের যন্ত্রণা সহৃদয় পাঠককে জ্ঞাত করায়। একজন রসিক একাধিক নাচনী রাখতে পারে উপরন্তু এদের কোনো সামাজিক মর্যাদা বা স্বীকৃতি নেই।অধিকাংশ ক্ষেত্রে এরা রাসিকের রক্ষিতার মত। রসিকের থাকে বৈধ সংসার— সেই সংসার বহুক্ষেত্রে প্রতিপালিত হয় নাচনীর উপার্জিত অর্থ দ্বারা।সেই চাহিদা মেটাবার জন্য তাকে নাচ ব্যতীত অন্য কায়িক শ্রম করতেও বাধ্য করা হয়। নাচনী সম্প্রদায় সন্তান সুখ থেকেও বঞ্চিত।যদি বা সন্তান হয় তারা সমাজের উপেক্ষা, অবমাননা সহ্য করতে করতে বড় হয়। জন্মদাতা তার দাবী বা অধিকার স্বীকার করে না। অনেক সময় নাচনীরা যৌবন কালেও হেনস্থা, শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়।পুরষ্কার দেওয়ার ছলে কিছু পুরুষ সর্বসমক্ষেই এদের কাছে আসে আর বস্ত্রে টাকা আটকে দেওয়ার সময় শরীরে পিন ফুটিয়ে দিয়ে বা চিমটি কেটে বিকৃত বাসনা চরিতার্থ করে। সমাজের উচ্চবর্ণ, ধনীদের কাছে এরা অস্পৃশ্য, ‘kept women’, as woman of loose morals’ বলে বিবেচিত। বহুক্ষেত্রে সুবিধাবাদী পিতামাতা, রসিকসবাই এদের সুবিধা-স্বাচ্ছন্দ্য সম্পর্কে উদাসীন থাকে।তাই যে যৌবন উপার্জনের মূলধন সেটি অস্তমিত হলে অসহায় নাচনীদের অন্ন-বস্ত্রের প্রয়োজন মেটানো কঠিন হয়ে ওঠে।অনেক সময় ভিক্ষা বৃত্তি ও অবলম্বন করতে হয়।
নাচনী | नाचनी | NACHNI
ভারতবর্ষ স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করার পর সত্তর বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত কিন্তু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত নাচনীদের এখনো অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে রয়ে গিয়েছে সুস্থ জীবন চেতনার অভাব। তাদের যে সংবিধান নির্দিষ্ট ‘মৌলিকঅধিকার’ পাওয়ার অধিকার আছে এই সত্যের সাথে এদের চেতনার দীক্ষা নেই। অবিরত জীবন সংগ্রামে, শারীরিক ও মানসিক হেনস্থায় নাচনীরা রুদ্ধশ্বাস।অথচ উপযুক্ত পরিবেশ এবং প্রশিক্ষণ পেলে এদের একটা অংশ নৃত্যশিল্পী হয়ে উঠতে পারে।এদের অবর্ণনীয় দুরাবস্থা ও মানসিক পীড়ন থেকে মুক্ত করার জন্য সরকার এবং সমাজ উভয়েরই সক্রিয় হওয়া দরকার। উল্লেখ্য, নাচনীদের কল্যাণের জন্য ‘দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি’র চেষ্টায়১৬/ ০৭/২০১১ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘The Manbhum Lokosanskriti O Nachni Unnayan Samiti O Gbeshna Kendra’।কিছুটা হলেও বর্তমানে নাচনীদের একাংশের অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।
midnapore.in
(Published on 04.09.2022)