রঙ্গন পার্বন - অন্য স্বর, অন্য পরিসর থেকে বহু স্বর, বহু পরিসর।
Rangan Parbon | रंगन पार्बन
সলিল সরকার।
এরকম আবার হয় নাকি? শৈশবে কৈশোরে দূর থেকে দেখা রাজপ্রাসাদ হঠাৎ হাতের তালুতে । তায় দিন নয় শুধু মধ্যরাতের ফালি চাঁদ উকি দিলে চিলেকোঠার অলিন্দ থেকে হুতোম প্যাঁচা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে উড়ে যায় !
রঙ্গন পার্বনে অতিথিরা।
রাজাদের টাট্টু ঘোড়া হিমেল রাতে ইটকাঠপাথরের সঙ্গে কথা বলে। দূরে যাওয়া রূপনারায়ন এখনও ঢেউয়ের ফেনা পাঠায় বস্তুসাপের আস্তানায়।
শীত এসে গেলো তবু আজও যাওয়া হোলো না শীত ঘুমে। পাশে এলিয়ে পড়া খাটপুকুরে মস্ত ঘেটো রুই ঘাই মারল। রাইনার মারিয়া রিলকে একবার কবিতার জন্যে শৈশবে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। সব শিল্পী, সব শ্রষ্টাকেই একদিন না একদিন ফিরে যেতে হয় তার শৈশবে, তার কৈশোরে। আর সে ফিরে যাওয়া যদি হয় শারীরিক ও আত্মিকভাবে তা হলে দুটি প্রতিক্রিয়া হতে পারে। হয় ফিরে পাওয়া যায় অনেক অমূল্য রতন আর নয়ত চরম হতাশা । আমার জীবনে ওই প্রথমটি ঘটল প্রায় অবিশ্বাস্মভাবেই। মন খেরোর খাতা লেখার সময় ফিরে ফিরে গেছি শৈশবে, কৈশোরে, ফিরে ফিরে দেখেছি হারিয়ে যাওয়া সেইসব দিন। আর ২০১৮এর শীতের কটা দিন আমাকে তুলে নিয়ে ফেলেছিল হারানো শৈশবে। এই সুযোগটা ঘটালো আবার কিছু তরতাজা যুবক যুবতীর নাটকের গোষ্ঠী রঙ্গন।
রঙ্গন কয়েক বছর ধরেই শীতের কুয়াশায় পার্বণ করে। সেটা এতোদিন করেছে তারা বাঁধা ধরা গতে না হলেও ঘেরাটোপের সীমাবদ্ধতায়। এবারে সব বেড়া ভেঙে তারা এই পার্বণ ডিসেম্বরের শীতে তাতম্রলিপ্ত রাজবাড়ির ভগ্নস্তূপে শনিবার থেকে রবিবার খোলা আকাশের নিচে সম্পন্ন করে এক নতুন ইতিহাস স্থাপন করল বৈকি।
এই দুদিনে তারা নয় নয় করে নয়টি নাটকের সংগে নিজেদের নাটক “মানুষের মানচিত্র" পারফর্ম করল পরপর দুদিন পার্বণের রাত গভীর হলে।
ভাঙ্গাচোরা রাজবাড়ি যা বহু সাহস শক্তি শৌর্য বীর্য অত্যাচার আবার দেশ স্বাধীনের কাজে প্রতিবাদে প্রতিরোধে মহাভারতের কাল থেকে ইংরেজ শাসনের কালেরও সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। রাজবাড়ির ঘোড়াটা না সে কোনও যুদ্ধের সৈনিক নয় সে নেহাতই সময় বহন করে চলেছে। সে দিনে রাতে হিমে শিশিরে তারার আলোয় একা জেগে থেকে দেখে শোনে কালের কাহিনি । এই দুদিন সে প্রত্যক্ষ করল বাংলার অন্তরঙ্গ নাট্যধারা। সেও কি এইসব নাটকের চলাচল দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল? সে দেখল একদা প্রাসাদ আজ যা শিশু কিশোরের কাছে হানাবাড়ি ছাড়া কিছু নয়। যেখানে সুড়ংগ ছিল। গুমঘর ছিল। রানিমহল ছিল। সব কিছু অতীত। আজ সে ইট কাঠ পাথরের বট বেল বৃক্ষের রোজনামচা মাত্র। সেই ভগ্নস্তুপকেই রঙ্গনের সৈন্যরা লালশালু আর মুখোস দিয়ে রণাংগন করে তুলেছিল এই কদিন। ক্ষণে ক্ষণে করতালি। ক্ষণে ক্ষণে গেয়ে ওঠা গান যা বাঈজী আসরের নয়, ঠুংরি ঠুমকো নয়, দাস দাসীর আর্তনাদ নয়। বেলোয়ারী বাতির ঠমক নয়। এ এক অন্য আলোর রোশনাই যা কেবল নাট্যেই সম্ভব।
“মানুষের মানচিত্র" নামটি থেকে কিছু বোঝা যায়? কতো কিছুই মনে হতে পারে! তাই অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই। শুরুর আগেই পার্বণের সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হোলো । তাম্ৰধ্বজ রাজার ঘোড়া ডেকে উঠল মহীনের ঘোড়ার মতো। প্রাসাদের অলিন্দে হঠাত উড়ে এসে বসল কালের সাক্ষী প্যাঁচা। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল। উড়ে গেল। দূর থেকে ভেসে এলো আর্ত চীৎকার। ভেসে এলো কাঁপা কাঁপা মশালের শিখা । এক প্রহরী আদুড় গায়ে ছুটে এলো প্রাসাদের ভেতরে। প্রাসাদ নিঝুম। নিবিড় নিকষ কালো অন্ধকার। অন্ধকারে একফালি চাঁদ আর টিমটিম করে জ্বলতে থাকা কিছু নক্ষত্র শুনছে প্রহরীর ভয়ার্ত কণ্ঠে যুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানির বৃত্তান্ত।
নাটক চলছে রঙ্গন পার্বনে।
প্রহরী প্রাসাদের নারীদের রক্ষা করবার কারণে ছুটে গেল অন্দরমহলের দিকে । তাদের রাজা মৃত নয় যুদ্ধে পরাজিত মাত্র। তাঁদের রাজা ফিরে আসবে একদিন। ফিরে ফিরে আসে রাজা নয় কিছু বস্তুহারা নারী-পুরুষ। যাদের ঘর নাই, রাষ্ট্র নাই আছে শুধু চরাচর আর চলাচল। তাদের চলাচলের বিবরণ বিবর্ণ কাঁথার সুতোর মতো নক্সা কাটে আমাদের গভীরে। গভীরতর অসুখের ইতিবৃত্ত হাহাকার তোলে জীর্ণ বিবর্ণ প্রাসাদে। তারা যেতে চায় নিরাপদ আশ্রয়ে। তারা ফিরে পেতে চায় মানুষের অধিকার মানচিত্রে ।
অনুপম দাসগুপ্ত তমলুকের ভূমিপুত্র এই রাজবাড়িকে কেন্দ্র করেই সৃষ্টি করেছে এই বয়ান। এর জন্যে সে ব্যবহার করেছে ভাঙা প্রাসাদের প্রায় প্রতি কোন মৃত্তিকা ও বৃক্ষলতা। প্রতিটি অলিন্দ কথা বলেছে মানুষের। ফেলে আসা দেশ ও রাষ্ট্রীয় যুদ্ধের। অভিনেতারা চমৎকার সঙ্গ দিয়েছে এই নাটপালায়।
দুদিন এই নাট্যস্থাপন শুধু বন্দরের ইতিহাসে নয় বাংলার নাট্যেও রচনা করল এক নতুন অধ্যায়ের।
রঙ্গন পার্বণের প্রথমদিনের প্রথম প্রযোজনা ছিল "এলাদিদি"। একক অভিনয়। ঠিক অন্তরঙ্গ প্রযোজনা বলব না। তাহলে তৃপ্তি মিত্রের যে "অপরাজিতা" দেখেছি তাকে কী বলব। তবে চেষ্টায় আন্তরিকতায় কোনও ত্রুটি ছিল না।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন কালে আমি যে একটু আবেগতাড়িত হয়ে পড়ব সেটাই স্বাভাবিক কারণ আমার পাশেই ছিলেন চুরাশিতেও নবীন অভিনেতা পরিমল দাসগুপ্ত। ছিলেন রাজবাড়ির বংশধর দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় একজন সমাজসেবী। আমার হাতে তুলে দিয়েছেন তার লেখা রাজবাড়ির ইতিহাস আর তমলুকের উৎসব পার্বণ। বই দুটি পড়ে নতুন করে দেখব চিরচেনা পুরাতন তাম্রলিপ্ত।
নাটক চলছে রঙ্গন পার্বনে।
পরের নাটক ছিল গোবরডাঙার "টুনটুনি লো"। এই নাটকের উপস্থাপনায় অন্তরঙ্গ ভাবনার সংগে প্রসেনিয়মের ধাঁচটাও প্রকট। সেদিক থেকে লক্ষ্যা পদাতিকের "যৈবতী কন্যা" অনেকটাই অন্তরঙ্গ বহিঃপ্রকাশ। প্রবীর গুহর এই নাটক সেলিম আলদীন প্রভাবিত বলা হলেও তার থেকে ভিন্ন। আর অলকেশ সামন্ত অভিনয় ও পরিচালনায় এই পরিসরে অন্য স্বর এনেছে নিঃসন্দেহে ।
বিভাবনের "দূরতর দ্বীপ" সুপ্রিয় সমাজদারের পরিচালনায় ও তপন দাসের একক অভিনয়ে পূর্ণমাত্রায় অন্তরঙ্গ তপন বাংলা নাট্যে এক অনিবার্য নাট্যশিল্পী।
এদিনে সবচেয়ে যারা মুগ্ধ করেছেন তারা স্থানীয় নাট্যজন ও দর্শক। রাত এগারোটা অব্দি হিমপড়া খোলা আকাশের নিচে নাট্যস্থাপনায় সাথী হয়েছেন। এ এক পরম পাওয়া ।
সবকটি ছবিই অপর্ণা সরকার আন্তরিক মুগ্ধতায় মুঠোফোনে বন্দী করেছে।
একে ছুটির রোববার তায় শীতের প্রলেপ লেপ কম্বল বিছানা না ছেড়ে বড়জোর চায়ের পেয়ালা ধরে উষ্ণতা ভোগ করা যায় নলেন গুড়ের মাখা সন্দেশ যা তমলুকের বিখ্যাত তা খেতেও আলস্য লাগে। এমন আলসে সকালে রাজবাড়ির উঠোনেই বসল চায়ের পেয়ালায় তুফান। বিষয়: অন্য স্বর অন্য পরিসর থেকে বহু স্বর বহু পরিসর। আলোচনায় প্রবীর গুহ, সুপ্রিয় সমাজদার, অভীক ভট্টাচার্য, অংশুমান ভৌমিক, শোভেন গাঙ্গুলি, তপন দাস, স্থানীয় কিছু নাট্যজন ও পরিমল দাসগুপ্ত।
শুরুতে প্রবীর গ্রীস থেকে মিশর, প্রসেনিয়ম থেকে থার্ড থিয়েটার এবং শিল্পে পুঁজিরবাজার সব টেনে আনল। এমনকি বর্তমান বাংলায় নাট্য আকাদেমিতে অন্তরঙ্গ নাটকের স্থান ও গুরুত্ব কী সে নিয়েও উম্মা প্রকাশ করল উপস্থিত নাট্য আকাদেমির সদস্য সুপ্রিয়র কাছে। তার খেই ধরে সমালোচক প্রাবন্ধিক অংশুমান জানাল অন্তরঙ্গ নাট্যের "গাড্ডায় পড়ার সম্ভাবনা"র কথাও। এটা তার সতর্কবার্তা। যাতে প্রবীর গুহ সহমতও হোলো। যদিও সুপ্রিয় নিজেকে প্রবীরের উত্তরসূরী মেনেই প্রতিবাদ করে উঠল।
নাটক চলছে রঙ্গন পার্বনে।
অভীক ভট্টাচার্য শুরুতেই সামান্য উষ্ণ উম্মা ছড়িয়ে এই সমাজব্যবস্থায় যা সম্ভব ও যা অসম্ভব তাই বামপন্থী চেতনা দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করল। সেদিক থেকে শোভেন ও তপন শিল্পী হিসেবেই নিজেদের প্রকাশ ও প্রতিবন্ধকতার কথা জানাল আন্তরিকভাবে ।
পরিমল দাসগুপ্ত এই দীর্ঘসময় ধৈর্য ধরে শুনে তার দীর্ঘ নাট্যজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে প্রশ্ন তুললেন প্রসেনিয়ম বিপরীতে এই যে ধারা তা কোন্ শ্রেণীর দর্শক ও কোন্ স্তর অব্দি পৌঁছনোর চেষ্টা করছে ও পারছে? পাশাপাশি তার এতদিনের নাট্যচর্চায় এই বিন্যাস যে তাকে ভাবিয়েছে সেটা জানাতেও ভুললেন না।
আমার ভূমিকা ছিল মুখবন্ধ ও অন্যকে অন্য স্বর ও পরিসর দেওয়ায়। দর্শক ও শ্রোতা হিসেবে লক্ষ্যা পদাতিকের অলকেশ ও আরও কেউ কেউ বহু স্বর ও পরিসর সন্ধান সম্ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে এটা এই আলোচনা থেকে যেমন উঠে এলো একইভাবে আলোচকরা এটাও বুঝতে পারলেন "ভেঙো নাকো শুধু ভাঙা নয়। চাষের জন্যে যে জমিটা পেলে ভালো হয় সেতো ঠিক বালি চিকচিক ডাঙা নয়"!
একজন সামান্য নাট্যকর্মী হিসেবে আমার অনুভব পথের সন্ধান করলে তবেই নতুন নতুন পথ বেরিয়ে আসে। এটাই দ্বান্দ্বিকতা। আবার এটাও ঠিক গভীরতা ছাড়া কিছু একটা করা চমক সৃষ্টি করলেও করতে পারে কিন্তু স্থায়ী পথের সন্ধান দিতে না পেরে দিশা হারায়।
রঙ্গন পার্বনের উদ্বোধন।
রঙ্গন পার্বণ এই যে সম্ভাবনা সৃষ্টি করল তাদের তাম্রলিপ্ত শহরে তা আশপাশের বহু স্থান ও নাট্যক্রিয়াকে প্রাণিত করবে আমার বিশ্বাস।
রোববার সকালের শীত আর কুয়াশা আলোচনার উত্তাপে ভগ্নস্তুপে এনেছিল যত আলো তত ছায়া । শুধু বেলা বেড়ে যাবার কারণেই নয় ব্যক্তির ব্যক্ত হওয়ায় কখনও এসেছে কিছু আড়াল কিছু আশঙ্কা ও তৎজনিত অভিমানী আত্মশ্লাঘা। বাংলা থেকে বিনয় অপসৃত হয়ে এসেছে আত্মপ্রচার। নাট্যের অঙ্গন তার বাইরে থাকবে কোন্ রহস্যে!
বিকেলের আলোয় ভগ্নস্তুপে যখন আলোছায়া কুয়াশা ও হিম অগোছালো অন্বেষণে শ্লথ শরীরে চুপিসাড়ে চেপে বসতে চাইছে দর্শক তার চেয়ে ঢের দ্রুতগতিতে আসন গ্রহণের তৎপরতায় উন্মুখ। তার মধ্যে শুরু হোলো বালার্ক এর "বরাহ চরিত মানস" চেষ্টা ছিল ব্যালাড ঢংয়ে রাজনৈতিক শ্লেষ পেশ করা । কিন্তু গান গাইতে আর একটু দক্ষ আর একটু পেশাদার হয়ে উঠতে হবে। মুশকিল হোলো এখানে পেশাদার বললেই পয়সা ভাবে দক্ষতা ভাবেন না।
চেনা আধুলির "বাঘারে" প্রযোজনায় পেশাদারিত্বের অভাব ছিল না। অভিনয়ে ও দৈহিক কসরৎ এ বেশ দক্ষ সবাই তবে বিষয়ের গভীরতা আরও চেপে বসত যদি আমাদের মনের গভীরে এবং আমরা স্থাপনের শেষেও যদি ভাবতে পারতাম আমরা নিজেদের বাঘ ভাবলেও মুক্ত নয় কেননা সিস্টেম তার প্রয়োজনেই খাঁচার অবস্থান ও ব্যবস্থা পাল্টে পাল্টে যায়। এছাড়া ওদের উপস্থাপনা যদি প্রবীর গুহর "আন অ্যাকশন" এর মতো মাঝখানে হতো সাফোকেশন বাড়ত বৈ কমত না। তাই প্রবীর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সঞ্জাত প্রয়াসে চারটি কিশোর কিশোরীকে দর্শকনামক বাঘের আসরে ঢুকিয়ে নিজেরা ঘোড়ার চাল দিতে থাকে। শেষে কিস্তিমাৎ করে অভিনেতা পরিচালক প্রবীর হিমপড়া ঘাষের পিচ্ছিলে ক্ষুর দিয়ে নিজের হাত কেটে রক্ত বের করে দর্শকদের ললাটে লিখন লিখে। কাজটা খুবই ঝুঁকির আবার দর্শকদের অস্বস্তিতে ফেলার চমৎকার কৌশল। যা শোভেন করেছিল একটু আগেই প্রতিটি দর্শকের হৃদয়ের ক্ষতে স্বপ্নের আলপনা একে।
নাটক চলছে রঙ্গন পার্বনে।
শোভেন এর "স্বপ্নওয়ালা" দেখেছি এর আগে এক জোৎস্নায় নিভৃত পূর্ণিমা নাট্যগ্রামে। স্বল্প পরিসরে সে স্বপ্ন বুনেছিল দর্শক মনে। এখানে এই ভগ্নস্তূপে দাঁড়িয়ে কয়েকশ মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে যথেষ্ট দক্ষতা লাগে। শোভেনের কৌশল প্রতিটি ক্ষতে প্রলেপ লেপে দিয়েছিল। সত্যি বলতে কি সেদিন সন্ধ্যায় শোভেন ফেরিওয়ালাকে আমার ডাস্টিন হফম্যান লাগছিল। তমলুকের মানুষজন এখনও নাকি ওই ক্লাউনের প্রেম থেকে বেরোতে পারছেন না। একজন নট এর চেয়ে বড়ো পুরস্কার আর কীই বা প্রত্যাশা করে।
সবশেষে আমার একটাই চাওয়া এই পার্বণ, এই নবান্ন, শুধু অঘ্রানের দিনে নয়, শুধু তাম্রলিপ্ত বন্দরে নয় বাংলার প্রতিটি উঠোনে, প্রতিটি আকালে নাট্যের প্রদীপ জ্বালিয়ে দিক। পার্বণের নাটক নয়, নাটকের পার্বণ হোক্ এই বাংলায়।
midnapore.in
(Published on 01.08.2021)