রাকেশ সিংহ দেব।
Home » Medinikatha Journal » Rakesh Singha Dev » Termitomyces clypeatus
বালিতে বা বালিমাটিতে হয় তাই একে বালি ছাতু বলে (Termitomyces clypeatus)। পরিস্কার বালিমাটির উপরে সাদা হয়ে একসাথে ফুটে থাকে বলে অনেকে একে ‘ফুড়কি ছাতু’ বলে থাকে।
ছাতুর ডাঁটা ছোট এবং শেষভাগ কালো রঙের সরু মূলের মতো অংশ থাকে যা মাটির কিছু নিচে থাকে। খুব নরম ছাতু, আলতো ভাবে সাবধানে না তুললে টুপি অংশটি ভেঙে যায়। এই ছাতুগুলির মধ্যে আকারে বড় ছাতু গুলিকে বড় ফুড়কি ও আকারে ছোট ছাতু গুলিকে ছোট ফুড়কি বলা হয়। এই ছাতুর স্বাদ দারুণ। রান্নার পরে বাসমতি চালের মতো হালকা মিষ্টি গন্ধ পাওয়া যায়।
বড় ফুড়কি ছাতু একটি দুটি করে খুব কম সংখ্যায় খোলা মাঠে, বসত বাড়ির মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জন্মায়। ছোট ফুড়কি ছাতু একসাথে বেশ অনেকগুলি করে খুবই ছড়িয়ে ছিটিয়ে উই টিবির কাছাকাছি জায়গায় পাওয়া যায়।
জঙ্গলমহলের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে এই ছাতুর ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। বালি ছাতু তাদের ঔষধী গুনের জন্যও বিখ্যাত। পক্সের চিকিৎসাতে কোথাও কোথাও বালি ছাতুকে বেঁটে চামড়ার আক্রান্ত জায়গাতে লাগানো হয়।
সাধারণ নাম : বালি ছাতু বা ফুড়কি ছাতু
বিজ্ঞানসম্মত নাম : Termitomyces clypeatus
উপযুক্ত পরিবেশ : বৃষ্টির জলে মাটি ধুয়ে গিয়ে যে জায়গাগুলোতে বালি জমা হয় সেখানেই এই ফুড়কি ছাতুর জন্ম।
কোথায় পাওয়া যায় : মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ সমগ্র জঙ্গলমহল তথা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় পাওয়া যায়।
টুপি : এই ছাতুর টুপি ৫ সেমি থেকে ৫.৫ সেমি ব্যাসের, মাঝখান সামান্য উত্তল ও সাদা, পরিণত অবস্থায় প্রসারিত হয়ে স্থানে স্থানে ফেটে যায়।
ডাঁটা : উাঁটা টুপির নীচে মাঝ বরাবর মসৃন, নরম ও ফাঁপা। ভলভা ও রিং থাকে না। গিলস সাদা বা হলদে। রেনুর ছাপ সাদা।
বালি ছাতু খেতে সুস্বাদু ও বিভিন্ন রকম পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ উপাদানে ভরপুর। এই ছাতুতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন থাকে। খুব কম পরিমাণে পাওয়া যায় এবং দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় বলে এই ছাতু বাজারের মুখ দেখতে পায়না । সাধারণতঃ যারা এই ছাতু সংগ্রহ করে তারাই একে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে।
midnapore.in