রাকেশ সিংহ দেব।
Home » Medinikatha Journal » Rakesh Singha Dev » Volvaria volvacea
এই ছাতু প্রকৃত অর্থে বন্য নয়। পুরানো খড়ের গাদায় এই ছাতু দু-একটা দেখা যায়, তাই একে খড় ছাতু (Volvaria volvacea) বলে। গোয়ালঘর পরিস্কারের সময় গবাদি গরুর না খাওয়া খড় গোবরের সাথে বাড়ির গোবর গাদায় ফেলে দেওয়ার কারণে সেখানেও এই ছাতু ফোটে। অনেকসময় পুরানো খড়ের চালের উপরেও খড় ছাতু বা পুয়াল ছাতু পাওয়া যায়। এই ছাতুটি প্রধানত বর্ষাকালে পাওয়া যায়। অন্যান্য ভোজ্য ছাতুর মতোই পুয়াল ছাতু রোদ উঠোলে নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই ছাতুটিকে খুব সকালবেলা গাদা থেকে তুলে আনতে হয়।
স্থানীয় নাম : পুয়াল ছাতু, খড় ছাতু।
বিজ্ঞানসম্মত নাম : Volvaria volvacea
টুপি :পুয়াল ছাতুর টুপিটি ৫ সেমি থেকে ১২ সেমি ব্যাসের হয়ে থাকে। কুঁড়ি অবস্থায় টুপিটি প্রথমে ঘন্টার মত পরে সম্পূর্ণ ফুটে গেলে ছাতার আকার নেয়। টুপির মাঝখানে সামান্য উচু, মাংসল, নরম, মসৃণ, উপরে অংশ ধূসর, কিনাৱা সম্পূর্ণ খোলার পর চিড় দেখা যায়।
ডাঁটা : ডাঁটা টুপির নীচে মাঝখান বরাবর জোড়া, মাংসল, নিরেট, ৮ সেমি থেকে ১৪ সেমি লম্বা, সাদা, আঁশযুক্ত। ডাঁটার গোড়ার দিকে নরম, গোল মাংসল পিন্ড দেখা যায় যাকে ভালভা বা গেঁড় বলে। এই ছাতুর ভলভা বড়, বাদামী রঙের। গিলস ঘন, মুক্ত। গিলসের রঙ প্রথম দিকে সাদা, পরিণত অবস্থায় গোলাপী। রেনুর ছাপ গোলাপী।
প্রতি ১০০ গ্রাম শুষ্ক ওজনের ছাতুর মধ্যে প্রোটিন- ৩০.১ গ্রাম, শর্করা - ৫০,৯ গ্রাম, স্নেহ পদার্থ - ৬,৪ গ্রাম ও তপ্ত জাতীয় পদার্থ- ১১.৯ গ্রাম পাওয়া যায়। এছাড়া যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় খনিজ লবন থাকে।
স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, হাত ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করতে এই ছাতু খুব দরকারী। প্রাকৃতিকভাবে এই ছাতু কম পাওয়া যায় তবে বর্তমানে খামারে ব্যাপকভাবে এই ছাতুর চাষ হচ্ছে। সারাবছর বাজারে এই ছাতুর দেখা মেলে। এই ছাতু বাজারে প্রতি কেজি ১৮০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
midnapore.in