বীরেন্দ্রনাথ শাসমল  | बिरेन्द्रनाथ शासमल | Birendranath Sasmal

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল

बिरेन्द्रनाथ शासमल | Birendranath Sasmal

অরিন্দম ভৌমিক।


(২৬ অক্টোবর ১৮৮১ - ২৪ নভেম্বর ১৯৩৪)


"মুকুটহীন রাজা" ! "দেশপ্রাণ" ! "কালো ষাঁড়" ! -

প্রথম দুটি উপাধি জনসাধারণ তাঁকে ভালোবেসে শ্রদ্ধা জানাতে দিয়েছিলেন। তৃতীয়টি অর্থাৎ Black Bull উপাধিটি ইংরেজরা তাঁকে ভয় পেয়ে দিয়েছিল। তিনি বলতেন - "যদি মানুষের জন্যই কাজ করতে না পারি, তাহলে কিসের জন্য বাঁচব?" কাঁথির ইউরোপিয়ান মহকুমা শাসক যখন কাঁথি শহরকে দ্বিতীয় জালিয়ানওয়ালাবাগ বানানোর হুমকি দেয়, বীরেন্দ্রনাথ তার মুখের উপরেই বলে দেন - "সেইদিন আমিই প্রথম বুক পেতে দাঁড়াবো ব্রিটিশ বুলেটের সামনে"।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল ১৮৮১ খৃস্টাব্দের ২৬ অক্টোবর (বাংলা ৯ কার্তিক ১২৮৮) কাঁথি-২ ব্লকের চন্ডীভেটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁকে সম্মান জানিয়ে কাঁথি-২ ব্লকটির বর্তমান নাম হয়েছে 'দেশপ্রাণ' ব্লক। পিতা বিশ্বম্ভর শাসমল, মা আনন্দময়ী।

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল  | बिरेन्द्रनाथ शासमल | Birendranath Sasmal
বীরেন্দ্রনাথ শাসমল | बिरेन्द्रनाथ शासमल | Birendranath Sasmal

১৯০০ সালে এন্ট্রান্স পাস করে ভর্তি হন কলকাতার রিপন কলেজে। কলেজ শেষে ইংলেন্ড রওনা দেন আইন নিয়ে পড়তে। ১৯০৪ সালে ব্যারিস্টার হয়ে দেশে ফিরে এসে কলকাতা হাইকোর্টে যোগ দেন।

কর্মপথ

১৯০৫ - ১৯১১ (মেদিনীপুর জেলা বিভাজন বিরোধ আন্দোলন)

মেদিনীপুর জেলা বিভাজনের কারন হিসেবে সবাইকে বলা হল প্রশাসনিক কারণের জন্য, কিন্তু আসলে মেদিনীপুরের সংগ্রামী মনোভাবকে শান্ত করতে দু ভাগে বিভক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কাঁথি সহ জেলার দক্ষিণ অংশের নাম হবে হিজলি জেলা এবং প্রশাসনিক কেন্দ্র হবে খড়গপুর। রুখে দাঁড়ালেন বীরেন্দ্রনাথ, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে তুললেন প্রবল আন্দোলন। ইংরেজ সরকার বাধ্য হল প্রস্তাব ফিরিয়ে নিতে।

১৯১৩ (চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন মামলা)

আন্দোলন ও কাজের সুবিধার্থে কিছুদিন তিনি মেদিনীপুর জেলা আদালতে কাজ করেছিলেন। ১৯১৩ সালে পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টে যোগদান করেন এবং চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন মামলায় বিনা পারিশ্রমিকে বিপ্লবীদের হয়ে লড়েন (১৮৫৭ সালের পরে স্বাধীনতার জন্য প্রথম সংগঠিত সশস্ত্র সংগ্রাম)।



১৯২০ (অসহযোগ আন্দোলন)

১৯২০ সালে নাগপুর কংগ্রেসে অসহযোগ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তখন চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন বাংলায় কংগ্রেসের সভাপতি (President) এবং বীরেন্দ্রনাথ ছিলেন সম্পাদক (Secretary)। গান্ধীজির আহ্বানের জবাবে, বীরেন্দ্রনাথই প্রথম তাঁর বিশাল অংকের আয়ের প্রতিষ্ঠিত আইন অনুশীলন ছেড়ে দিয়ে সবাইকে উৎসাহিত করেছিলেন এবং দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ছিলেন দ্বিতীয় বিশিষ্ট।

১৯২০ - ১৯২২ (খাজনাবন্ধ বা ট্যাক্স বর্জন আন্দোলন ও 'দেশপ্রাণ' উপাধি)

১৯১৯ সালে বঙ্গীয় সায়ত্বশাসন আইন পাস হয়। এই আইন অনুসারে জেলাতে ২২৭ টি ইউনিয়ন বোর্ড স্থাপিত হয়। জনসাধারণকে এই আইন সম্পর্কে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। নির্বাচনে মানুষ খুবই কম সংখ্যায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। সরকারি সিদ্ধান্তের কারণ ছিল, জেলাবাসীর ওপর জুলুম বাজির মাধ্যমে বর্ধিত ট্যাক্স আদায় করা। বীরেন্দ্রনাথে'র নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল ইউনিয়ন বোর্ড প্রতিরোধ আন্দোলন। কংগ্রেস প্রথমে এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সম্মতি জানালেও, পরে সম্মতি প্রত্যাহার করে নেয়। বীরেন্দ্রনাথ জনসাধারণের হয়ে এই আইনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বয়কটের ডাক দেন। সারা জেলা তাঁর সমর্থনে এগিয়ে আসে। বীরেন্দ্রনাথ প্রতিজ্ঞা করেন, ইউনিয়ন বোর্ড প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তিনি জুতো পরবেন না।

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল  | बिरेन्द्रनाथ शासमल | Birendranath Sasmal
দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলে'র জন্মদিন উদযাপন করছেন মিডনাপুর-ডট-ইন (midnapore.in) -এর সদস্যরা।

বীরেন্দ্রনাথ বুঝিয়েছিলেন, ইউনিয়ন বোর্ড গঠনের ক্ষতিকর দিকগুলি। তিনি দেশবাসীকে ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করতে বললেন। ট্যাক্স বন্ধ হওয়ায়, সরকারের নির্দেশে পুলিশ একের পর এক বাড়ি থেকে সমস্ত জিনিসপত্র ক্রোক করে থানায় নিয়ে যেতে শুরু করল। ইংরেজরা ক্রোক করা মাল গুলিকে নিলামের বাবস্থা করল। কিন্তু খুব দামি সামগ্রীও কেউ অল্প মূল্যে কিনলো না। জিনিসপত্র বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যেও লোক পাওয়া গেলোনা। বহু মানুষকে ইংরেজরা গ্রেপ্তার করে জেলে বন্দি করল। থানা এবং সরকারি দপ্তরগুলি গ্রামের মানুষের ক্রোক করা জিনিসপত্রে ভরে গেল। অবশেষে ১৯২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর ইংরেজরা বাধ্য হয়ে ২২৬ টি ইউনিয়ন বোর্ড তুলে নিল এবং সমস্ত বন্দী মানুষগুলিকে বিনা বিচারে ছেড়ে দিল (শেষ বোর্ডটি পরের বছর তোলা হয়েছিল)। এরপর, কাঁথির ময়দানে অসংখ্য মানুষ সমবেত হয়ে জয়োধ্বনি দিতে দিতে বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের পায়ে জুতো পরিয়ে দেন।



১৯২১ সালে ইংল্যান্ডের যুবরাজ ভারতবর্ষ পরিভ্রমনে এলে, কংগ্রেস দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও হরতালের ডাক দেয়। সম্পাদক হিসাবে বীরেন্দ্রনাথ আন্দোলন সংগঠিত করেন কলকাতায়। এই অপরাধের জন্য, ইংরেজরা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, বীরেন্দ্রনাথ শাসমল, সুভাষচন্দ্র বসু সহ অনেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। বিচারে তাদের ৬ মাসের কারাদণ্ড হয়। কারাগারে থাকাকালীন তিনি “শ্রোতের তৃণ” নামে একটি জীবনীমুলক পুস্তক লিখেছিলেন। ছ'মাস জেলে কাটিয়ে বীরেন্দ্রনাথ শাসমল মেদিনীপুরে এলে মেদিনীপুরের মানুষজন তাদের প্রিয় নেতাকে 'দেশপ্রাণ' উপাধিতে ভূষিত করে সম্মান জানান।

১৯২৩ (জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান)

১৯২৩ সালে জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বীরেন্দ্রনাথ শাসমল। ইংরেজরা “দেশপ্রাণ' বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের জনপ্রিয়তা এবং তাঁর দৃঢ় ভাবমূর্তিকে ভয় পেত। ইংরেজরা ওনাকে Black Bull বলতো এবং প্রতি পদে পদে তাঁর কাজে বাধা দিত। ইংরেজদের সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে তিনি প্রাথমিক স্কুল, পুকুর খনন, নলকুপ তৈরি এবং রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছিলেন। জেলা বোর্ড যে জনসাধারণের উন্নতির জন্য তৈরী হয়েছে তা দেশপ্রাণ বীরেন্দ্র শাসমলের চেয়ারম্যান হওয়ার আগে মানুষ বুঝতেই পারেননি। দেশপ্রাণ এর আগে সাধারণত বোর্ডের চেয়ারম্যান হতেন ইংরেজদের মনোনীত কোন এক ব্যাক্তি। যিনি জেলাশাসকের নির্দেশ মেনে চলতেন।

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল  | बिरेन्द्रनाथ शासमल | Birendranath Sasmal
মিডনাপুর-ডট-ইন (midnapore.in) কর্তৃক দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলে'র জন্মদিন উদযাপন।

কিন্তু বীরেন্দ্রনাথ ছিলেন উল্টো, জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন একবার জেলাশাসক বীরেন্দ্রনাথকে কোন একটি বিষয়ে আলোচনার জন্য তার বাংলোতে ডেকে পাঠান। দেশপ্রাণ চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলেন, যেহেতু প্রয়োজনটা জেলাশাসকের তাই প্রয়োজন মনে করলে তাঁর জেলা বোর্ডের অফিসে এসে দেখা করতে পারেন, তিনি জেলাশাসকের বাংলোতে যাবেন না। আরেকবার বাংলার ছোটলাট লিটন সাহেব মেদিনীপুর সফরে আসবেন। ছোট লাটের সম্বর্ধনা যাতে মেদিনীপুরে খুব সুন্দর ভাবে হয়, সেই কারণে তৎকালীন জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান বীরেন্দ্রনাথকে চিঠি লিখলেন। জেলাশাসকের চিঠির উত্তরে বীরেন্দ্রনাথ জানিয়ে দিলেন, তিনি ছোটলাটের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না, কারণ ইংরেজ সরকার তাকে বিনা দোষে এবং বিনা প্রমাণে জেলে পাঠিয়েছিলেন।

১৯২৪ (কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচন )

১৯২৪ সালে কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে জয়ী হন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল এবং সুভাষচন্দ্র বসু। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ কলকাতা কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। প্রধান অফিসার (কর্পোরেশনের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার) হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার কথা ছিল বীরেন্দ্রনাথের কিন্তু যুগান্তর দলের নেতৃবর্গ বীরেন্দ্রনাথের এই পদ প্রাপ্তির বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে দেশবন্ধু জয়া বাসন্তীদেবীর সাহায্যে দেশবন্ধুর মত পরিবর্তন করে সুভাষচন্দ্রকে ঐ পদে বসান। মেদিনীপুরের মুকুটহীন রাজার প্রতি সেদিন অবিচার করা হয়েছিল।

১৯৩০ (লবন সত্যাগ্রহ)

১৯৩০ সালে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে লবণ আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের ডাকে যুক্ত হতে মেদিনীপুরের মানুষেরাও বীরেন্দ্রনাথের নেতৃত্বে সমুদ্রের দিকে এগিয়ে যান। রামনগর থানার একটি জায়গাতে স্বদেশীদের পুলিশ ঘিরে ফেলে এবং পিছিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সেদিন সেই আন্দোলনকারীরা ব্রিটিশের গুলির মুখে দাড়িয়ে বলেছিলেন আমরা পিছাবোনা। ইংরেজরা তখন আন্দোলনকারীদের উপর অত্যাচার শুরু করে। অনেক মানুষে মারা যান এবং আহত হন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা কেউই পিছিয়ে যান নি। সেই থেকে জায়গাটির নাম হয় পিছাবনী।

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল  | बिरेन्द्रनाथ शासमल | Birendranath Sasmal
মিডনাপুর-ডট-ইন (midnapore.in)-এর সদস্যদের উপস্থিতিতে "মেদিনীপুর বার এসোসিয়েশনের" পক্ষ থেকে মাল্যদান করা হচ্ছে।

১৯৩৪ (চিরবিদায়)

১৯৩৪ সালের ২৪ শে নভেম্বর মাত্র ৫৩ বছরে বছর বয়সে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। মেদিনীপুর তথা ভারত মায়ের এই বীর সন্তান বলেছিলেন, "আমি কখনও কারো কাছে মাথা নত করিনি। তাই আমার মৃত্যুর পরে আমার মাথা যেন অবনত না করা হয়।” তাঁর ইচ্ছানূযায়ী তাঁর দেহ দণ্ডায়মান অবস্থায় কলকাতার কেওড়াতলা শ্মশানে দাহ করা হয়।

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল  | बिरेन्द्रनाथ शासमल | Birendranath Sasmal
প্রয়াণ দিবসে মিডনাপুর-ডট-ইন (midnapore.in)-এর স্মরণ-শ্রদ্ধাঞ্জলি।

কলেরা রোগ, বসন্ত রোগ, বন্যা, খরা ইত্যাদি যে কোন বিপর্যয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেন বীরেন্দ্রনাথ। অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী ছিলেন, বহুবার তাঁর প্রতি অবিচার হয়েছে। তিনি জাতপাত, কুসংস্কার মানতেন না, তাই জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য এগিয়ে যেতেন। ভয় তিনি কাউকেই করতেন না, কারুর সামনে মাথা নত করেননি। কোন মানুষ তার দুঃখ কষ্ট নিয়ে দেশপ্রাণের কাছে সাহাযা চাইলে, সেই মানুষাটি কোনদিনই শুন্য হাতে ফিরে যেতেন না। এই প্রবন্ধে তাঁর কর্মকান্ডের খুবই সামান্য অংশ উল্লেখ করা হল, তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে হলে একটি ৫০০ পৃষ্ঠার বইও যথেষ্ট নয়।

তাঁর প্রয়ানে কলকাতা গেজেটে প্রকাশ পায় - "মেদিনীপুরের মুকুটহীন তথা বাংলার ভাবী মুকুটহীন রাজা। "

দেশপ্রাণই থাকুন ধ্রুবতারা


মেদিনীপুরের মুকুটহীন রাজা

বীরেন্দ্রনাথ বীরের সেরা বীর

অনির্বাণ চিতাশয্যা পরে

দাঁড়িয়ে আজও চিরোন্নত শির।


বিপন্ন আর দুঃখীজনের পাশে

অযাচিত তিনিই পরিত্রাতা

সংগ্রামেও অটল হিমাচল

আপোষহীন জনগণের নেতা।


মুক্তিযুদ্ধে দিলেন সবার হাতে

অহিংসা আর নির্ভীকতার বাণী

দেশের জন্যে জীবন করে পণ

মৃত্যুজয়ের মন্ত্রদাতা তিনি।


আজও আছে চণ্ডীভেটি গ্রাম

অহংকারের জেলা মেদিনীপুরে

আজও জন্মে মানুষ দলেদলে

যাচ্ছে তারা শ্মশান কিংবা গোরে।


ক'জন আছে মানুষ,খাঁটি মানুষ

ক'জন রাখে শিরদাঁড়াটা খাড়া

জীবন জুড়ে বেঁচে থাকার পথে

দেশপ্রাণই থাকুন ধ্রুবতারা ।।


১. কলকাতা গেজেটে লিখেছিলেন দ্বারকানাথ গাঙ্গুলি ও কাদম্বিনী দেবীর কন্যা জোতির্ময়ী গাঙ্গুলি।
২. দেশপ্রাণই থাকুন ধ্রুবতারা কবিতাটি লিখেছেনঃ মন্মথ নাথ দাস (মুগবেড়িয়া)।

মিডনাপুর-ডট-ইন (midnapore.in) কর্তৃক দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমলে'র জন্মদিন উদযাপন।

Birendranath Sasmal

Arindam Bhowmik


(26 October 1881 - 24 November 1934)


‘The Uncrowned King'! ‘The Black Bull'! ‘Deshpran'! –

The titles given to him by the people, out of love, appreciation and admiration, speak volumes of the man who said, “For whom shall I live, if not for the people ?” and who, when the European S.D.O. of Contai threatened to make the town a second Jalianwalabag, said to his face that then he would be the first person to lay bare his bosom for the British bullet.

Parentage & Early Life

On the 24th November, Birendranath was born at Chandiveti, a village a few miles from the Kanthi (Contai) town. His father's name was Biswambhar Sasmal and mother's Anandamoyee. He passed the Entrance Examination in 1900 and got admission into Ripon College of Calcutta for higher education. He went to England to study law, came back as a barrister and joined Calcutta High Court in 1904.

Active Life

1905 to 1911

Openly for administrative reason, but covertly for a political one, Midnapore District was proposed to be divided into two. The southern part of the district including Contai was to be named Hijli District and Kharagpur was to be the administrative Center. Birendranath toured from one end of the region to another and organized the protest movement. The attempt of partition was foiled and the proposal was withdrawn.

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল  | बिरेन्द्रनाथ शासमल | Birendranath Sasmal
প্রয়াণ দিবসে মিডনাপুর-ডট-ইন (midnapore.in)-এর স্মরণ-শ্রদ্ধাঞ্জলি।

1913

Leaving Calcutta High Court, Birendranath practiced in Midnapore District Court for a few years but, in 1913, he again joined the High Court. In the High Court, he defended the accused in the Chittagong Armed Robbery case (the first organized armed struggle for independence after 1857) without taking any fee.

1920 – Non-Co-operation Movement.

In Nagpur Congress in 1920, non-co-operation programme was passed. Chittaranjan Das was the President of Bengal Congress and Birendranath was its Secretary. In response to Gandhiji's call for non-co-operation, Birendranath was the first to give up his roaring practice and Desbandhu Chittaranjan was the illustrious second.

No – Tax – Movement (1920 –1922 )

Bengal Village Self –Government Act was passed in 1919.According to that law, 227 Union Boards were formed in the district. People were kept in the dark about the whys and wherefores of their introduction. Very few people took part in the election. Generally people regarded the new law as a plea to fleece them. Naturally resentment brewed all through the district. The Congress first consented to a movement against this law but then withdrew the consent. The Uncrowned King of Midnapore took up the cause of his people, and plunged into Boycott Movement.

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল  | बिरेन्द्रनाथ शासमल | Birendranath Sasmal
প্রয়াণ দিবসে মিডনাপুর-ডট-ইন (midnapore.in)-এর স্মরণ-শ্রদ্ধাঞ্জলি।

The whole district rose up, but the movement was fiercest in Contai. Birendranath declared that he would walk on bare feet until the Union Boards were not done awey with. The boycott movement gained momentum day by day. People refused to pay tax. Police seized articles of movable property, but nobody was found to carry or buy them. Even the Chowkidars (the village guards) refused to serve the government. At last on 17th December, 1921, 226 Union Boards were abolished and the last one was abolished the next year. In a mammoth gathering, with loud cheers, people put shoes on the feet of their favourite leader.

Chairman of Midnapore District Board

After Gaya Congress, in 1922,when Chittaranjan Das's demand for Independence in place of Dominion Status was Rejected, the Swarajya Party was formed by Motilal Nehru and while Chittaranjan was the president of its Bengal Unit, Birendranath became its Secretary. In 1923,when election was held for the Midnapore District Board ,the Swarajya party members under the leadership of Birendranath Sasmal had a thumping victory and naturally Birendranath became its Chairman. With limited scope and scanty means, Mr. Sasmal performed a herculean task for an all-round development of the district.



Labon Satyagraha (1930)

Birendranath's influence played a big role in the movement. His followers took active part in organizing people. Satyagrahis came to Narghat and Pichhhaboni to break Salt Law by peaceful means. The Satyagraha assumed the form of a mass movement in the area.

Election to Calcutta Corporation & Central Legislative Assembly & Death (1933-1934)

In 1933, Birendranath was elected to Calcutta Corporation in spite of the opposition of the Congress. At the request of Pandit Madan Mohon Malavya, he contested in Central Legislative Assembly election from a two –district seat of Burdwan division and won it but he had breathed his last before the result was announced.

Birendranath Sasmal was an ardent follower of Gandhiji. He had unflinching faith in Non-Violent movement. He thought-violence begets violence. He had some bitter experience in politics. But people loved him. Many Schools, Clubs, Organisations and streets that bear his name clearly indicate his permanent seat in the heart of people.


অরিন্দম ভৌমিক।

midnapore.in

(Published on 18.02.2008 / Modified on 23.11.2020)