অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার কৃষি প্রধান গ্রাম লালগড় (এখন ঝাড়গ্রাম জেলা)। উত্তর-পূর্বে শাল-পিয়াল-মহুয়ার গভীর জঙ্গল আর দক্ষিণ-পশ্চিমে কুলকুল করে বয়ে চলা কংসাবতী (কাঁসাই) নদী। লালগড় রাজবাড়ীর কর্মচারী ধর্মপ্রাণ অধরচন্দ্র রায়। রাজবাড়ীর সমস্ত জমিজমা ও চাষবাস দেখার দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর। এছাড়াও নেতাই-সয়ের-সই মৌজায় কাঁসাই নদীর তীরে অধর বাবুর নিজের ১২ বিঘা তিন ফসলী জমি ছিল যা তিন-আড়া-ধানের বিনিময়ে চুক্তিভুক্ত "ভাতুয়া" কে চাষের জন্য দেওয়া ছিল (ভাতুয়া = মজুর)। এককথায় সচ্ছল পরিবার।
এই পরিবারেই ১৯৩৯ সালের 8 ই জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন বিষ্ণুপদ রায়। মাতা রাজবালা রায় ছিলেন নিরক্ষর গৃহবধূ। গ্রামে একটি মাত্র স্কুল 'লালগড় রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়'। স্কুলটি ছিল 'জুনিয়ার-হাই' অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এরপরে পড়তে হলে যেতে হত ২০ কিলোমিটার দূরে ঝাড়গ্রাম বা আরো দূরে গোয়ালতোড় গ্রামে। ফলস্বরূপ অধিকাংশ ছেলেমেয়েদের ইচ্ছে থাকলেও অষ্টম শ্রেণীর পরে আর পড়া হোত না।
অধরবাবুর সহধর্মিনী রাজবালা রায় নিজে নিরক্ষর, কিন্তু ছেলেদের পড়ার ব্যাপারে তিনি খুবই আগ্রহী ছিলেন। তাঁর আট ছেলেমেয়ের মধ্যে জীবিত ছিল চার ছেলে। যাদের মধ্যে তিন ছেলেরই অষ্টম শ্রেণির পরে আর পড়া হয়নি। এই ব্যাপারটা সবসময় তাঁর মনের মধ্যে কাঁটার মত আটকে ছিল। তাই রাজবালা মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে বিষ্ণুকে যেভাবেই হোক তিনি পড়াবেন।
সবকিছুই ঠিক চলছিল। বিষ্ণুপদ ১৯৫৪ সালে লালগড় স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ হলেন। কিন্তু এর পরেই নেবে এল বিপর্যয়। কাঁসাই নদীতে পর পর দুই বছর বন্যায় তাদের জমির অধিকাংশ চলে গেছিল নদীগর্ভে। এদিকে রাজন্য প্রথা বিলোপে অধরবাবুর চাকরিও চলে গেছে। স্বাভাবিক ভাবেই সংসারে অনটন।
কিন্তু রাজবালা রায় হাল ছাড়লেন না। ছোট্ট বিষ্ণুকে নিয়ে ঝাড়গ্রামে চলে এলেন। ছেলেকে ঝাড়গ্রাম ননীবালা স্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি করিয়ে দিলেন। একটি কুঁড়েঘর ভাড়া নিলেন, সারাদিন মুড়ি ভেজে বিভিন্ন স্কুলের টিফিন সরবরাহ করে সংসার চালাতে লাগলেন। বই কেনার টাকা নেই তাই সহপাঠীদের কাছ থেকে দু-এক ঘন্টার জন্য বই এনে পড়ে আবার ফেরত দিয়ে বিষ্ণু বাবু পড়া তৈরি করতেন। সহপাঠীরা খুবই ভাল ছিলেন।
কিন্তু একদিন এক সহপাঠীর কাছ থেকে ইংরেজি গ্রামার বই নেওয়ার সময় হঠাৎই সেই বন্ধুর কাকু বইটি বিষ্ণুর হাত থেকে কেড়ে নেন এবং বলেন, "বই কেনার মুরোদ নেই, পড়ার শখ দেখনা"। সেদিনের সেই ঘটনাই বিষ্ণুপদ'র জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কাঁদতে কাঁদতে সেদিন খালি হাতে বাসায় ফিরে এসে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন জীবনে রোজগার করতে পারলে গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে অবশ্যই দাঁড়াবেন।
বিষ্ণুপদ ১৯৫৭ সালে স্কুল ফাইনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন। এরপর কলেজে ভর্তি হবেন, আনন্দ আর ধরে না। কিন্তু অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে মা রাজবালা রায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন। ডাক্তারবাবু বললেন আগুনের কাছে যাওয়া যাবেনা অর্থাৎ মুড়ি ভাজা চলবেনা। কলেজ যাওয়া আর হলনা। উপায় না দেখে, কলেজ যাওয়ার পরিবর্তে সরকারি ও বেসরকারি অফিসে কাজের জন্য ঘুরে বেড়াতে লাগলেন।
ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছলেন অত্যন্ত দয়ালু পরমেশ্বর চ্যাটার্জির কাছে। পরমেশ্বর বাবু তখন ঝাড়গ্রাম মহকুমা খাদ্য ও সরবরাহ নিয়ামক। সবকিছু শোনার পরে তিঁনি বিষ্ণুপদকে অফিস পিয়নের চাকরিতে বহাল করলেন। বেতন মাসে ৫৭ টাকা, তারই পরামর্শে চাকুরীর সাথে সাথে শর্টহ্যান্ড ও টাইপিং ক্লাসে ভর্তি হলেন বিষ্ণুপদ। শুরু হল কর্মজীবন। সকালে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াতেন সামান্য পারিশ্রমিকে। দশটায় যেতেন অফিস আর সন্ধ্যায় শিখতেন শর্টহ্যান্ড ও টাইপিং। কঠোর পরিশ্রম এনে দিল সফলতা, ১৯৫৯ সালে কেরানী পদে যোগদান করলেন এবং ১৯৬৪ সালে হলেন অবর পরিদর্শক।
উদ্যমী বিষ্ণুপদ থেমে থাকেননি কোন দিনও। চাকরির সঙ্গে সঙ্গে ১৯৬১ সাল থেকে শুরু করলেন ব্যবসা। কলকাতার বড় বাজার থেকে কাপড়ের কাটপিস কেজি দরে কিনে এনে ইজার, জাঙ্গিয়া, শর্ট-প্যান্ট ইত্যাদি তৈরি করে বাজারে ও দোকানে দোকানে পাইকারি বিক্রয় আরম্ভ করলেন। ১৯৬৪ সালে শুরু করেন টর্চ এর ব্যাটারির ব্যবসা। ১৯৬৭ সালে তাঁর বদলি হয় পুরুলিয়াতে, ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। অনেক টাকাও বাকি থেকে যায় বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে, ফলে ক্ষতি হয়। কর্মদক্ষতার ফলে ১৯৭৮ সালে পরিদর্শক পদে এবং ১৯৯৬ সালে মুখ্য-পরিদর্শক পদে উন্নীত হন। ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি মাসে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
চাকুরী জীবনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সাহায্য করে গেছেন গরিব পড়ুয়াদের। শুরুতে যখন মাত্র ৫৭ টাকা বেতন ছিল, তখনও প্রতি মাসে ৫/১০ টাকা দিতেন ছাত্রছাত্রীদের। বেতন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সাহায্যপ্রাপ্ত দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। আর্থিক সাহায্য প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কেউ ডাক্তার হয়েছেন কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার আবার কেউ শিক্ষক হয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন।
তাঁর এই সাহায্যের কথা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন প্রান্তে। একদিন সুদূর কাঁথি থেকে মাননীয় শিক্ষক শ্রী শৈবাল গিরি মহাশয় ঝাড়গ্রামে বিষ্ণুপদ রায়ে'র বাড়িতে দুই জন ছাত্র নিয়ে হাজির হলেন। একজন অরিজিৎ মহাপাত্র, উচ্চমাধ্যমিক ভালো ভাবে পাশ করেছে এবং জয়েন্ট দিয়ে শিবপুর বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পেয়েছে কিন্তু বাবা দিনমজুর। অন্যজন প্রতাপ পান্ডা, অত্যন্ত গরীব, বাবা লোকের বাড়িতে পূজো করে সংসার চালান। উচ্চমাধ্যমিক খুব ভালোভাবে পাস করেছে কেমিস্ট্রি নিয়ে বিএসসি করতে চায় কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি নেই। দুজনকেই আর্থিক সাহায্য করেন বিষ্ণুপদ রায়। অরিজিত মহাপাত্র এম.টেক. করে বর্তমানে বিদেশে চাকরি করছেন এবং প্রতাপ পান্ডা এম.এস.সি. করে খড়গপুর আই.আই.টি. তে পি.এইচ.ডি. করার সময় অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে চাকরি পায়।
একইভাবে একদিন মানিকপাড়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাননীয় শ্রী অশোক নায়ক মহাশয় একজন ছাত্রকে নিয়ে বিষ্ণুপদ রায়ে'র বাড়িতে হাজির হলেন। সঙ্গে সোমনাথ দাস নামে এক ছাত্র। বাবা চানাচুর বিক্রি করেন, এবার ডাক্তারিতে সুযোগ পেয়েছে। বিষ্ণুপদ রায়ে'র সাহায্য পেয়ে সোমনাথ দাস বর্তমানে এম.বি.বি.এস. পাশ করে চাকরি করছেন।
আরেক ছাত্র নির্মলকৃষ্ণ মাহাতো। জামবেড়িয়া গ্রামের ছেলে নির্মল, জন্ম থেকেই অন্ধ। নরেন্দ্রপুর থেকে ব্রেইল সিস্টেম এ মাধ্যমিক পাশ করে গ্রামে আসার পরে পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যায়। বিষ্ণুপদ রায়ে'র উৎসাহে ও সাহায্যে আবার পড়া শুরু করে। উচ্চমাধ্যমিক ভালোভাবে পাস করে, ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে বি.এ. পাস করে বর্তমানে স্কুলে শিক্ষকতা করছে। নির্মলকৃষ্ণ সবাইকে বলে - "বিষ্ণুপদ বাবু আমার ভগবান"।
২০১৫ সালের হিসেব অনুযায়ী বিষ্ণুবাবু সেই বছর ৫৮ জন পড়ুয়ার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যায় করেছিলেন। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত সোনম হাতি ইংরেজিতে প্রথম এবং অনুশ্রী ভট্টাচার্য অঙ্কে প্রথম হয়ে বর্তমানে পি.এইচ.ডি. করছে। বর্তমানে ৩৬ জন সাহায্যপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীর মধ্যে দুইজন ডাক্তারি পড়ছে। সৌজন্য চক্রবর্তী বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে প্রতি সেমিস্টারে প্রথম হচ্ছে। অন্যজন আব্দুল মজিদ খাঁন কলকাতায় পি.জি. হসপিটালে এম.বি.বি.এস করছে।
১৯৯৭ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর বিষ্ণুপদ পি.পি.এফ. এজেন্সি নিয়েছিলেন। মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা কমিশন বাবদ রোজগার করেছেন। ২০০২ সাল থেকে বিষ্ণুপদ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া প্রবর্তিত এস.বি.আই লাইফ ইন্সুরেন্স এর একজন পরামর্শদাতা। বর্তমানে আয় কমে গেলেও একসময় মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা কমিশন বাবদ আয় করেছেন। ভালো কাজ করার সুবাদে স্টেট ব্যাঙ্ক এর পক্ষ থেকে চার বার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু বিদেশে না গিয়ে নগদ টাকা নিয়েছেন। এই সবই তিনি করেছেন দুস্থ ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যার্থে, অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য নয়।
আগে লালগড়ে কোন কলেজ ছিল না, ফলে অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চমাধ্যমিক করার পর আর পড়া হোত না। বিষ্ণুপদ রায় প্রায় ২০ হাজার স্বাক্ষর সম্মিলিত আবেদনপত্র মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর হাতে তুলে দিয়েছেন এবং কলেজের জন্য নিজের সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সরকারকে দিতে চেয়েছেন। অনুরোধ করেছিলেন যে কলেজটি যেন তাঁর মায়ের নামে হয়। তাঁর মায়ের নাম না হলেও, লালগড়ে কলেজ হয়েছে এবং স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছে।
গরিব-দুঃখীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসার জন্য, ২০০২ সাল থেকে তাঁর মায়ের নামে 'রাজবালা রায় দাতব্য হোমিও চিকিৎসালয়' শুরু করেছেন ভারতীয় রেডক্রস ভবনে। আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে বিষ্ণুবাবু কলকাতা মেডিকেল কলেজ, এন.আর.এস. মেডিকেল কলেজ, পি.জি. হসপিটাল এবং মেদনাপুর মেডিকেল কলেজ থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বাবুকে নিয়ে এসে লালগড়ে নেতাই ও বেলাটিকরী গ্রামে ১৪ টি স্বাস্থ্য শিবির করেছেন। পি.জি. হসপিটাল থেকে মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের এনে সচেতনতা শিবির করেছেন। সামাজিক স্বীকৃতি হিসেবে ঝাড়গ্রাম লায়ন্স ক্লাবে দু-বার প্রেসিডেন্ট, ভারতীয় রেডক্রস সমিতি ঝাড়গ্রাম শাখায় সেক্রেটারি, ঝাড়গ্রাম ওল্ড বয়েজ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি, ঝাড়গ্রাম বুক ফেয়ার কমিটির আজীবন সদস্য ও পরামর্শদাতা ইত্যাদি রয়েছেন।
বিষ্ণুবাবুর একমাত্র সন্তান সিদ্ধার্থ শংকর রায় ছোট থেকেই সরকারি বৃত্তি পেয়ে পড়াশুনা করেছেন। এন. আর. এস মেডিক্যাল কলেজ থেকে MBBS, কালিকট মেডিক্যাল কলেজ থেকে MD, দিল্লী AIMS থেকে DNB এবং মুম্বাই King Edward মেডিক্যাল কলেজ থেকে DM in Clinical Hematology পাস করে কর্মরত। বর্তমানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে প্রফেসর। বাবার কাজে সিদ্ধার্থ উৎফুল্ল। তিনি বিষ্ণু বাবুকে বলেছেন - "বাবা, তুমি তোমার স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার জন্য দেন করে দাও। আমার জন্য কেবল আশীর্বাদটুকু রেখ।"
বিষ্ণুবাবুর অবর্তমানেও যাতে দুস্থ-মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা আর্থিক সহায়তা পায় সেই জন্য ২০১৫ সালে তিঁনি তাঁর সমস্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দিয়ে রাজবালা রায় এডুকেশনাল ট্রাস্ট গঠন করেছেন। সেবামূলক এই ট্রাস্টে নিজের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি দান করেছেন বিষ্ণুবাবু। বিষ্ণুবাবুর কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে মালদা থেকে মাননীয় শিক্ষক দেবব্রত মিত্র এবং তমলুক থেকে শ্রী হিমাংশু শেখর রায় চৌধুরী ঝাড়গ্রামে এসে পরামর্শ নিয়ে গেছেন। তাঁরাও বিষ্ণুবাবুর মত গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য করতে চান। বিষ্ণুপদ বাবুর মত মানুষকে মেদিনী-আচার্য সম্মানে ভূষিত করতে পেরে মিডনাপুর-ডট-ইন গর্বিত।
অরিন্দম ভৌমিক।
midnapore.in
● Bengali part of the certificate in writter by - Dr. Bibhas Kanti Mandal.
● Hindi part of the certificate in writter by - Priti Rekha Samanta.