বলাইলাল দাসমহাপাত্র।
Balai Lal Das Mahapatra | बलाईलाल दास महापात्र
নন্দগোপাল পাত্র।
পরাধীনতার অন্ধকার ঘুচিয়ে আলোর দীপশিখা জ্বালিয়েছেন অগ্নিশিখাসম দেশের মহান বিপ্লবীরা, তাঁদের মহান কাজে ও আত্মবলিদানে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতার স্বাদ। নিজেদের জীবনের বিনিময়ে মাতৃভূমিকে রক্ষা করেছেন তাঁরা। যাঁদের আত্মত্যাগে আমরা পেয়েছি বাঁচার প্রেরণা। নিজের শরীরের রক্ত ঝরিয়ে এক প্রাণের বিনিময়ে জন্ম দিয়েছেন শত প্রাণের। সেই মহান স্বদেশপ্রেমীরা কখনো সশরীরে উপস্থিত হয়েছেন রণক্ষেত্রে, কখনো সকলের অলক্ষ্যে স্বদেশভূমিকে কলঙ্কমুক্ত করতে চেয়েছেন। কেউ-বা কলমের জোরে ঐক্যবদ্ধ করতে চেয়েছেন স্বদেশী আন্দোলনকে। তাঁদের আত্মচেতনার পথ ধরেই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা অথচ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাঁদেরকে বিস্মৃত হতে চলেছি। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁদের গুরুত্ব বোঝা দায়। ইতিহাসের পাতায় শুধুমাত্র তাঁদের নামটুকু জেনে নেয় তারা। তাঁদের সংগ্রাম সম্পর্কে জানলেও অধিকাংশ স্বদেশী বিপ্লবীদের ইতিহাস তাদের কাছে অস্পষ্ট থেকেই যায়। এ প্রসঙ্গে মুক্তিপথের সেনানীদের স্মরণে কবি মোহিনী চেৌধুরীর (১৯২০-১৯৮৭) এই গানটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক—
মুক্তির মন্দির সোপানতলে
কত প্রাণ হল বলিদান
লেখা আছে অশ্রুজলে।
কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা
বন্দীশালার ঐশিকল ভাঙা
তারা কি ফিরিবে আর এই সুপ্রভাতে
যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে।
যাঁরা স্বর্গগত তাঁরা এখনও জানে
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি
এসো স্বদেশ ব্রতের সহ দীক্ষা লভি
সেই মৃতু্যঞ্জয়ীদের চরণ চুমি।
যাঁরা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা
মৌন মলিন মুখে জাগালো ভাষা
আজি রক্তকমলে গাঁথা মাল্যখানি
বিজয়লক্ষ্মী দেবে তাঁদেরই গলে।
সত্যই স্বাধীনতার জন্য কত প্রাণ বলিদান হয়েছে তার কথা সব ইতিহাসে লেখা নেই।
অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা সম্পর্কে দুটি মন্তব্য স্মরণযোগ্য। প্রথমটি ঐতিহাসিক আবুল ফজলের ‘বাংলার বারুদখানা’। এটি তিনি উল্লেখ করেছেন ‘আইন-ই-আকবরী’তে। অপরটি ব্রিটিশ সরকারের ‘It is the land of revolt’ অর্থাৎ বিদ্রোহের দেশ বা পীঠস্থান। দুটি মন্তব্যই বাস্তবিক ভাবে সত্য। স্বাধীনতা আন্দোলনে মেদিনীপুর জেলার অবদান সত্যি এক দীর্ঘ গবেষণার দাবী রাখে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্যেও দেখা গেছে সর্বভারতীয় অভ্যুত্থান প্রচেষ্টাগুলির সঙ্গে এই জেলার নিবিড় যোগ ছিল। শুধু সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন নয়, অসহযোগ, আইন অমান্য ও ভারত ছাড় আন্দোলনের ক্ষেত্রেও মেদিনীপুর জেলা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে। মেদিনীপুরের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম সারির নেতৃত্বগণ স্বীকার করেছেন। বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনের পীঠস্থান মেদিনীপুরে জন্মেছেন একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামী।
স্বাধীনতা সংগ্রামী বলাইলাল দাসমহাপাত্র (ছবি সংগ্রাহকঃ অরিন্দম ভৌমিক)।
অগ্নিযুগ। ছোট্ট একটা শব্দ। অথচ কী গভীর ব্যঞ্জনা রয়েছে এই শব্দটিকে ঘিরে। সহজ কথায় অগ্নিযুগ বলতে আমরা সেই সময়ের কথা বলতে চাই যখন বিপ্লবীরা দেশের মুক্তির জন্য সচেতনভাবে ‘বিপ্লবী’ আন্দোলনকে বেছে নিয়েছিলেন। বিপ্লবী আন্দোলন মানে শাসকের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের বদলে সশস্ত্র প্রতিরোধকে বেছে নেওয়া। ইংরেজিতে যুদ্ধের অনুষঙ্গে যে ‘fire and sword’ কথাটি ব্যবহৃত হয়, বাংলায় তারই দ্যোতক হিসেবে অগ্নি এবং সেই সূত্রে ‘অগ্নিযুগ’ কথাটির উদ্ভব। সেই অগ্নিযুগে বলাইলালের জন্ম ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯০৪। পিতা বিহারীলাল মাতা সারদাময়ী দেবী। ১৯২২-এ কাঁথি জাতীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি। শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র মাল, বিজয়কৃষ্ণ মাইতি, বসন্ত কুমার দাস প্রমুখ শিক্ষক তথা স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণীদের।
গান্ধীজি’র অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলন মূলত ছিল সত্যাগ্রহকে ভরকেন্দ্রে রেখে। দক্ষিণ আফ্রিকায় অহিংস পথে তিনি এর সূচনা করেন। ভারতে এসে (১৯১৫) সেই সত্যাগ্রহকেই গ্রহণ করলেন ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের অস্ত্র হিসেবে। তখন দেশের ধনী উচ্চবিত্তরাই জাতীয় কংগ্রেসের কর্ণধার ছিলেন। তিনি জাতীয় আন্দোলনকে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিয়ে এলেন চম্পারণে বে-আইনি নীল চাষের বিরোধী আন্দোলনের (১৯১৭) প্রেক্ষিতে। এর পরেই এল তাঁর আমেদাবাদের শ্রমিক আন্দোলন (১৯১৮)। ক্রমান্বয়ে তিনি জাতীয় আন্দোলনের প্রাণপুরুষ হয়ে উঠলেন। তাঁর লবণ সত্যাগ্রহ, ডাণ্ডি অভিযান (১৯৩০) দেশের জনমানসে প্রবল ঢেউ তুলতে পেরেছিল। মহাত্মা গান্ধী ১৯২৫-এর ৪-৫ জুলাই জাতীয় বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন। তখন ছাত্র হিসেবে বলাইলাল গান্ধীজির হাত থেকে পুরস্কার নেন। যা বলাইলালের মনোভূমিতে আনে এক পরিবর্তন। ওই সময় বলাইলালের বয়স ২১। অবশ্য এর আগে বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের নেতৃত্বে জেলা ইউনিয়ন বোর্ড বিরোধী (১৯২১), সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অংশ নিয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে বলাইলালের।
৪ এপ্রিল ২০১০ সাধু জানা পুকুর পাড়ে কাঁথি পৌরসভা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আবক্ষ মূর্তি (ছবি সংগ্রাহকঃ নন্দগোপাল পাত্র)।
বিস্ময় জাগে যখন স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রী বলাইলাল দাসমহাপাত্র সম্বর্ধনা গ্রন্থ (১৯৯৪) পড়ি— ১৯২৬-এ পাটনায় ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ-এর বিহার বিদ্যাপীঠে (তখন জাতীয় কলেজ) ভর্তির ঘটনা। যেখানে কাঁথি থেকে পাটনার দূরত্ব প্রায় ৭৮০ কিমি। দ্বিতীয় পর্যায়ে নিজেকে দেশমাতৃকার সেবায় দীক্ষিত করেন বিদ্যাপীঠের অধ্যাপকদের সাহচর্যে। এখানে স্বচক্ষে দেখেছিলেন ভগৎ সিং-এর সহযোগী শুকদেব সহ সমকালীন বিপ্লবীদের। নিজেকে গডে় তুললেছেন দেশপ্রেমিকরূপে। ১৯৩০-এ গান্ধীজির নেতৃত্বে সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু হলে স্বেচ্ছাসেবকরূপে যোগ দেন বলাইলাল। রাজ্য পরিভ্রমণ করার সময় স্বচক্ষে ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকি’র বোমা নিক্ষেপের স্থান, কুনওয়ার সিং-এর যুদ্ধক্ষেত্র দেখে আরও উদ্দীপিত হন বলাইলাল।
১৯৩১ কুমিল্লার অভয় আশ্রমে যোগ দিলেন প্রশিক্ষকরূপে। এই পর্বে বলাইলাল তাঁর দায়িত্ব এতটাই নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছিলেন যে পরবর্তী সময়ে প্রশংসিত হয়েছিলেন বিপ্লবী পুলিন দাস, পালোয়ান গোবর গুহ, ত্রিপুরার মহারাজা প্রমুখের দ্বারা। তবে বড় সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বসুর কাছে থেকে, যখন তিনি অভয় আশ্রম পরিদর্শনে আসেন। যা বলাইলালকে দেশ মায়ের শৃঙ্খলমোচনে আরও কঠিন সংকল্প নিতে সাহায্য করেছিল।
স্বাধীনতা সংগ্রামী বলাইলাল দাসমহাপাত্র (ছবি সংগ্রাহকঃ নন্দগোপাল পাত্র)।
এরপর এলেন কাঁথি। এখানে তাঁর নেতৃত্বদানের সহজাত ক্ষমতার জন্য দায়িত্ব পেলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গডে় তোলার। অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন বাঁকুড়ায় অনুরূপ বাহিনী গডে় তোলার জন্য। সেই সময় সোনামুখী খাজনা আন্দোলনে (১৯৩৩) যোগ দিয়ে ৬ মাস কারাদণ্ড ভোগ করেন। জাতীয় রাজনীতিতে দেখা দেয় গান্ধী ও সুভাষচন্দ্রের মধ্যে শিবির বিভাজন। বলাইলাল পক্ষ নেন সুভাষচন্দ্রের। ফলে বিরাগভাজন হন গান্ধী অনুগামীদের কাছে। ফিরে আসেন কাঁথি ১৯৪০-এ। ১৯৪২-এ মহাত্মা গান্ধী ভারত ছাড় আন্দোলনের ডাক দিলে কাঁথি মহকুমাও সামিল হয়। গঠিত হয় কাঁথি মহকুমা সমর পরিষদ। পরিষদের স্বরাষ্ট্র দপ্তর ও মহকুমা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর অধিনায়ক নির্বাচিত হন বলাইলাল। যা ছিল বলাইলালের জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। এই পর্বে ব্রিটিশ শাসকরা বলাইলালকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বলাইলালর জন্মের ছ’দশক পরে আমার জন্ম। একটি বিষয় আমাকে খুব ভাবিয়েছে অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের ব্রিটিশ পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেবার জন্য বহু বাঙালি গুপ্তচর, এজেন্ট, পুলিশের সি আই ডি যে ন্যক্কারজনক ভূমিকা পালন করেছিল তার ইতিহাস অজানা নয়। এমনকি বিপ্লবীদের আত্মীয়েরাও শুধুমাত্র অর্থলোভে বিপ্লবীদের গোপন আস্তানার কথা তাদের প্রভু ব্রিটিশ পুলিশদের জানিয়ে দিয়েছে। না, বলাইলালের ক্ষেত্রে তা হয়নি। তাঁর প্রতিবেশী, সহকর্মী, আত্মীয় যাঁরা বলাইলালের গতিবিধি জানা সত্ত্বেও চরম বিপদের মুখেও নির্ভয়ে ফেরারী বিপ্লবী বলাইলালকে পরম মমতায় আশ্রয় দিয়েছিলেন। এই রকম অনেককেই আমরা জানি না, তাঁরাও নিজেদেরকে সবার অগোচরে রাখতেন। যাঁরা কোনোদিনই নিজেদের প্রচারের আলোয় আনেননি বা প্রচারের আলো তাঁদের উপর পডে়নি। নিজেদের জীবন তু্চ্ছ করে তাঁরা বলাইলালকে বাঁচিয়েছেন গ্রেপ্তার এমনকি মৃত্যুর হাত থেকে। বলাইলালের কথা মনে রাখলেও এঁদের কারোর কথা আমরা মনে রাখিনি। বলা ভালো মনে রাখার চেষ্টা করিনি। কিন্তু তাঁরাই ছিলেন বলাইলালের পরম আত্মীয়। তাঁদের অবদানের কথা, ত্যাগের কথা ইতিহাস অনেকক্ষেত্রে মনে না রাখলেও তাঁরা আমাদের চিরপ্রণম্য হয়ে থাকবেন। এটা রামনগর থানাবাসী হিসেবে আমাদের কম গেৌরবের বিষয় নয়। এঁদের কথাও আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। এঁদের নামও নথিবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। বলাইলাল এক্ষেত্রে সহযোগিতা পেয়েছিলেন নিজের ও সংলগ্ন গ্রামের মহিলা পুরুষ সকলের।
বলাইলাল দাসমহাপাত্র ও মলয়ারানি দাসমহাপাত্র (ছবি সংগ্রাহকঃ নন্দগোপাল পাত্র)।
তাঁর মাথার জন্য সরকারিভাবে দশ হাজার টাকা ঘোষণা করেছিল। তবে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ১৯৪৫-এর জুনে। ১৯৪৬-এ মুক্তি পেয়ে সহযোগী হন আজাদ হিন্দ বীরেন্দ্র বাহিনীর। একদিকে জাতীয়তাবাদী চেতনার সঞ্চার তথা স্বাধীনতা আন্দোলনের মঞ্চ কংগ্রেসের অহিংসা আন্দোলনের কার্যক্রম অপরদিকে বিপ্লবী যুবকদের সশস্ত্র আক্রমণে পর্যুদস্ত হয়ে ধুরন্ধর ব্রিটিশ সরকার ভারত ছাড়তে বাধ্য হয়। অবশেষে স্বাধীন হল ভারত। এরপর সংগঠক বলাইলাল নিজেকে যুক্ত করেছিলেন স্বাধীনোত্তর ভারতের নব নির্মাণে। রামনগর বিধানসভা থেকে চার বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন (১৯৫২, ১৯৬২, ১৯৬৯, ১৯৭৭)।
দেশমাতৃকার শৃঙ্খলমোচনে বলাইলাল দাসমহাপাত্রের অবদান আমাদের কাছে চির উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। প্রশ্ন হল এই সকল ত্যাগী মানুষদের সত্যিই কি আমরা যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে পেরেছি? বিতর্ক থেকেই যায়। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ মতাদর্শের ভিত্তিতে তাঁদের স্মরণ করে চলেছে। কিন্তু কোথায় যেন সেই দেশপ্রেমিকদের আমরা ভুলে যেতে বসেছি। উত্তরকালের যুব সমাজের কাছে তাঁদের অবদান সেইভাবে প্রকাশ্যমান নয়। যদিও বইয়ের পাতায় অজানাকে কিছুটা জানলেও বাস্তবজীবনে স্মরণ সভা, মেলা আয়োজনের মাধ্যমে তাঁদের অবদান আরও বেশি করে যুগোপযোগী করা যেতে পারে। যেমন আমাদের কাঁথি মহকুমার দারুয়া ও পটাশপুরের খাডে় যথাক্রমে ‘গান্ধী মেলা’ ও ‘ক্ষুদিরাম মেলা’ হয়ে থাকে। এর মধ্য দিয়ে বর্তমান প্রজন্ম ওই মেলার ক’দিন গান্ধীজি’র কাঁথি পদার্পণ ও শহিদ ক্ষুদিরাম সম্পর্কে জানতে পারে।
বলাইলাল দাসমহাপাত্র সম্পর্কে আমার এলোমেলো ভাবনার শেষ করব ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের (১৮৮৪-১৯৮০) কথা দিয়ে, ‘ইংরেজদের অধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে আমরা কেবল একটা ধাপ উঠেছি। এই স্বাধীনতা বজায় রাখা এবং তা থেকে আশানুরূপ ফল লাভ করা— এই দুটি মহৎ কাজ এখন বাকি এবং আরও অনেক ধাপ পার হতে হবে। তার জন্য যে সাধনা ও আত্মত্যাগের দরকার তা মুক্তিলাভের সাধনা ও আত্মত্যাগ থেকে কম নয়। আমাদের দেশে যুবকগণ যদি একথা স্মরণ রাখে এবং বিপ্লবী শহিদগণের দৃষ্টান্তে অনুপ্রাণিত হয় তবেই ফল লাভ করা সম্ভব হবে। অবশ্য এখনকার নূতন পরিস্থিতিতে নূতন উপায় ও নূতন পথ নিয়ে চলতে হবে। কিন্তু পথ আলাদা হলেও ত্যাগের ও সাধনার আদর্শ একই থাকবে।’
midnapore.in
(Published on 30.09.2021)