মেদিনীপুরে গান্ধীজি।
मेदिनीपुर में गांधी जी | Gandhiji in Medinipur
(২রা অক্টোবর, ১৮৬৯ - ৩০শে জানুয়ারি, ১৯৪৮)
অরিন্দম ভৌমিক।
স্বাধীনতা সংগ্রামের পীঠস্থান মেদিনীপুরে মহাত্মা গান্ধী এসেছিলেন ৪ বার (তৃতীয়বার খড়্গপুর স্টেশনে)।
প্রথম পদার্পন -
লোকমান্য বালগঙ্গাধর তিলক, ১ আগস্ট ১৯২০ সালে আমাদের ছেড়ে চলে যান। তাঁর স্মৃতিতে বানানো "তিলক স্বরাজ ভান্ডার"-এর জন্য অনুদান সংগ্রহের উদ্দেশ্যে মহাত্মার প্রথম মেদিনীপুরে পদার্পন। লক্ষ ছিল ১ কোটি টাকা। পৌঁছনোর দিন হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন স্টেশন চত্বরে। ২০ অক্টোবর ১৯২১ সালে (বুধবার) দুপুর ২ টোর সময় মহাত্মা গান্ধী মেদিনীপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে নাবেন। প্রথম থেকেই গান্ধীজির সঙ্গে ছিলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, মহাদেব দেশাই (বেক্তিগত সচিব) প্রমুখ।
২০ অক্টোবর ১৯২১ সালে (বুধবার) দুপুর ২ টোর সময় মহাত্মা গান্ধী মেদিনীপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে নাবেন।
কলকাতা থেকে যোগ দিয়েছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, অধ্যাপক জিতেন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, বাসন্তী দেবী, ঊর্মিলাদেবী প্রমুখ। স্টেশনে মহিলারা শঙ্খ-ধ্বণি দিয়ে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান। সেখান থেকে এক বিশাল শোভাযাত্রা মহাত্মা গান্ধীর জয়ধ্বনি দিতে দিতে অতিথিদের কংগ্রেস জেলা সম্পাদক কিশোরী পতি রায়ের (আইনজীবী) বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানে অভ্যর্থনা ও অল্প বিশ্রামের পরে বিকেল চারটার সময় অতিথিদের কলেজ মাঠে মঞ্চে নিয়ে আসা হয়। সেদিন অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলাশাসক সূর্য কুমার অগস্তি। জনসভার সভাপতিত্ব করেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস।
স্বাগত ভাষণে দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল বলেন -
"যার নামে একদিন এক নতুন আব্দ প্রচলিত হবে সেই মহাপুরুষকে স্বাগত জানাবার সুযোগ লাভ করে আমার জীবন ধন্য হল। তাঁর চরণ স্পর্শে মেদিনীপুরের মাটি পবিত্র হল"।
এর পরে জনসাধারণের পক্ষ থেকে দেশপ্রাণ গান্ধীজিকে রুপোর থালায় মানপত্র প্রদান করা হয়। রুপোর থালাটি নিলামে বিক্রি করে সেই টাকা 'তিলক স্বরাজ ভাণ্ডারে’, জমা করা হয়। সৈলজা সেন, মঞ্চে নিয়ে যান দুজন আদিবাসীকে, তারা গান্ধীজিকে নিজেদের চরকায় তৈরী সুতা ও খদ্দরের কাপড় উপহার দেন। অসংখ্য মানুষ "তিলক স্বরাজ ভান্ডার"-এর জন্য দান করেন। গান্ধীজি ও আবদুল কালাম আজাদের কথা বাংলায় অনুবাদ করেন অধ্যাপক জিতেন্দ্র বন্দোপাধ্যায়। ওই দিন এক বালক গান্ধীজির ভাসনে অনুপ্রানিত হয়ে ২ টি কড়ি দান করে। সেই কড়ি দুটিকে নিলাম করে ৫০০ মন ধানের সম মূল্যের অর্থ সংগৃহীত করে "তিলক স্বরাজ ভান্ডার"-এ জমা করা হয়। সভার শেষে সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় কিশোরী বাবুর বাড়িতে।
পরের দিন ২১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল বেলায় কলেজ মাঠে মহিলা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাসন্তী দেবী, ঊর্মিলাদেবী, ছায়ালতা দেবী, সোভোনা দেবী প্রমুখ নেত্রীরা যোগদান করেন। শ্রী অতল বসুর পত্নী সোভোনা দেবী নিজের সমস্ত গয়না দান করেন। তার শেষ গয়না, সোনা বাঁধানো বালটি দেশবন্ধুর অনুরোধে রেখে দেন। সেদিন গান্ধীজি অর্থ সংগ্রহের জন্য অনেকের বাড়িতে গিয়েছিলেন, কিন্তু সর্ত ছিল গান্ধীজি তাদের বাড়িতেই যাবেন যারা নুন্যতম ১০১ টাকা "তিলক স্বরাজ ভান্ডার"-এ দান করবেন।
দ্বিতীয় পদার্পন -
১৬ জুন ১৯২৫ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের প্রয়ানের খবর পেয়ে গান্ধীজি সমস্ত কাজ ফেলে কলকাতা চলে আসেন। অন্তেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে গান্ধীজি দেশবন্ধুর বাড়িটি ‘চিত্তরঞ্জন সেবাসদন’ নাম দেন এবং সেবাসদনের তহবিলের জন্য ১০ লক্ষ টাকা সংগ্রহের সিধ্যান্ত নেন। গান্ধীজির মেদিনীপুরের প্রতি টান বরাবরই ছিল, উপরন্তু সেই সময় মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বিভিন্ন গঠনমূলক কাজ গান্ধীজিকে আরো আকৃষ্ট করেছিল। গান্ধীজি সিধান্ত নেন ৪ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত তিনি মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তে ‘চিত্তরঞ্জন সেবাসদন’-এর জন্য অর্থ সংগ্রহ ও বিভিন্ন গঠনমূলক কাজে অংশগ্রহণ করবেন।
গান্ধীজি এক হরিজন বালকের মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করছেন।
সেদিন ছিল আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস, ৪ জুলাই শনিবার (১৯২৫), সকাল থেকেই চলছিল ঝড়-বৃষ্টি। গান্ধীজির ট্রেন দুপুর ২ টোর সময় খড়্গপুর পৌঁছোয়। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই মোটর গাড়িতে করে গান্ধীজি রাত্রি ১০ টার সময় কাঁথি পৌছান, সঙ্গী ছিলেন সতীশ চন্দ্র দাসগুপ্ত। গান্ধীজিকে অভর্থনা জানানোর জন্য কাঁথিতে অনেকগুলি তোরণ-দ্বার বানানো হয়েছিল, কিন্তু ক্লান্ত গান্ধীজি গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ার ফলে তাঁকে অন্যপথে কাঁথি-জাতীয়-বিদ্যালয়ের গম্বুজাকৃতি ঘরে আনা হয়। সেখানে উপস্থিত কর্মীরা ‘খদ্দর ও জাতীয় বিদ্যালয়’ সম্বন্ধে প্রশ্ন করলে উত্তরে বলেন “Half Khadi”**-কে তিনি খাদি মনে করেননা।
পরেরদিন ৫ জুলাই রবিবার ভোর ৩ টার সময় উঠে তিনি পার্থনা করেন এবং প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ফেলেন। সকাল ৬ টা থেকে সুরু হয় তাঁর কর্মসূচি।
• সকাল ৬ টা – চরকা কাটা ও জাতীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রদের পুরস্কার বিতরণ, প্রতিযোগিতা ও প্রদর্সনী।
• সকাল ৭ টা – অস্পৃশ্যতা বর্জন সভা।
• সকাল ৮ টা – ছাত্র সভা।
• দুপুর ২ টা - ব্রাহ্মণ পন্ডিতদের সঙ্গে সামাজিক সমস্যার আলোচনা।
• বিকেল ৩ টা - মহিলা সভা ও চরকা প্রতিযোগিতা।
• বিকেল ৪ টা - দারুয়া ময়দানে বিরাট জনসভায় ভাষণ।
• বিকেল ৫ টা - কাঁথি জাতীয় বিদ্যালয়ে অন্নান্য কর্মসূচি।
• বিকেল ৬ টা - খড়্গপুরের উদ্যেশ্যে রওনা।
মোটর গাড়িতে রাত্রে খড়্গপুর পৌঁছনোর পরে সেখান থেকে ট্রেনে করে মেদিনীপুর আসেন (কংসাবতীতে বন্যার জন্য তাঁকে ট্রেনে মেদিনীপুর আনা হয়)। মেদিনীপুর স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন দেবেন্দ্রলাল খান ও তাঁর ভাই বিজয়লাল খান। গান্ধীজিকে অভ্যার্থনা জানিয়ে তাঁরা গোপ প্রাসাদে নিয়ে যান (বর্তমানে মহিলা কলেজ)।
৬ জুলাই সোমবার সকাল ৬ টায় মেদিনীপুর শহরের নাড়াজোল কাছারিতে অস্পৃশ্যতা বর্জন ও হরিজনদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার নিয়ে পন্ডিতদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বহু অভিজাত ব্যক্তি অস্পৃশ্যতা নির্মূল করার সপথ নেন। এর পরে তিনি ছাত্রসভায় ভাসন দেন।
৭ জুলাই মঙ্গলবার সকাল বেলায় গান্ধীজি নাড়াজোল রাজবাড়ীতে পৌঁছে পন্ডিতদের অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে ভাষণ দেন। এরপরে তিনি ‘চিত্তরঞ্জন সেবা সদনের’ অর্থ সংগ্রহের জন্য অনুরোধ করেন। কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে তিনি ছাত্রসভায় "দেশবন্ধু পল্লী সংগঠন" এর কাজে এগিয়ে আসতে বলেন এবং চরকায় নিয়মিত সুতো কাটার জন্য আবেদন করেন। দুপুরের খাওয়ারের পরে তিনি রাজ-কাছারির দোতলায় মহিলা-সভায় বসেন। কাছারি-বাড়ির নিচে বারান্দায় সুতো কাটার প্রদর্শনীও করা হয়।
এরপর প্রায় চার ঘন্টা ধরে কাছারির মাঠে বিরাট জন সভায় গান্ধীজিকে শহর বাসীর পক্ষ থেকে কুমার দেবেন খাঁন, উকিলদের পক্ষ থেকে উপেন মাইতি, পৌরসভার পক্ষ থেকে মন্মথ বসু, জেলা বোর্ডের পক্ষ থেকে বীরেন শাসমল, কুমার জানা ও শৈলজা সেন সম্বর্ধনা দেন। সবার উদ্দেশ্যে গান্ধীজি বলেন চরকা ও খদ্দর গ্রহণ করতে, অস্পৃশ্যতা ও মাদক-দ্রব্য বর্জন করতে। রাত্রে খাওয়ার খেয়ে ট্রেনে করে গান্ধীজি বাঁকুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
তৃতীয় পদার্পন -
১৯৩৪ সালে পাটনায় কংগ্রেস সভায় যোগদানের পর গান্ধীজি উড়িষ্যার দেউরায় সভায় যোগদানের জন্য রওনা দেন। মেদিনীপুরের কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে খড়্গপুর স্টেশনে দেখা করার পরিকল্পনা আগের থেকেই করা ছিল।
১৯৩৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর দেবেন্দ্রলাল খাঁন, বীরেন্দ্রনাথ শাসমল, রামসুন্দর সিং এবং আরো অনেকে গান্ধীজির সঙ্গে খড়্গপুর স্টেশনে দেখা করেন।।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৩৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর দেবেন্দ্রলাল খাঁন, বীরেন্দ্রনাথ শাসমল, রামসুন্দর সিং এবং আরো অনেকে গান্ধীজির সঙ্গে খড়্গপুর স্টেশনে দেখা করেন। কিছুক্ষন আলোচনার পরে গান্ধীজি দেউরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
চতুর্থ পদার্পন -
মেদিনীপুরের কংগ্রেসীরা বিপ্লবের নামে হিংসায় উন্মত্ত হয়ে উঠেছে এবং তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠন করে অরাজকতা সৃষ্টি করছে – বাংলার ছোট লাটের এই অভিযোগ তদন্ত করানোর জন্য গান্ধীজি জলপথে ইং ১৯৪৫ সালে ২৫ শে ডিসেম্বর এসেছিলেন।
গান্ধীজি চতুর্থ বারের জন্য মেদিনীপুরের উদ্যেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য লঞ্চে উঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন।
১৯৪৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর গান্ধীজি মহিষাদলে আসবেন ঠিক হওয়ার পরে গান্ধীজির অভ্যর্থনার আয়োজনের জন্য কমিটি তৈরী হয়। সতীশ সামন্ত ও নীলমনি হাজরাকে সেই কমিটির সম্পাদক করা হয়। সুশীল ধাড়া তখন মেদিনীপুর-জেলে বন্দি। সেখান থেকেই তিনি গান্ধীজিকে অভ্যর্থনার জন্য কবিতা লিখে পাঠান।
গান্ধীজি কলকাতা থেকে জাহাজে করে হুগলী নদী হয়ে রূপনারায়ণ নদীর মোহনা পর্যন্ত আসেন। বাকি রাস্তা গেঁওখালী হয়ে ছোট লঞ্চে করে মহিষাদল আসেন। গান্ধীজির অভর্থনায় বিশাল বিশাল তোরণ বানানো হয়েছিল। লক্ষ লক্ষ জনতা শঙ্খ-ধ্বনি দিয়ে পুস্প-বৃষ্টির মাধ্যমে গান্ধীজিকে অভ্যর্থনা জানায়।
গান্ধীজি চতুর্থ বারের জন্য মেদিনীপুরের উদ্যেশ্যে লঞ্চে করে যাচ্ছেন।
মহিষাদলে রাজপ্রাসাদে না গিয়ে এক্তারপুরে, ক্যানেলের পশ্চিম পাডে় একটি ছোট্ট ঘরে তিনি ছিলেন যা এখন গান্ধী-কুটির নামে পরিচিত। পরের দিন গান্ধীজি ডঃ সুশীলা নায়ার ও আভা গান্ধীকে গ্রামে পঠিয়ে তদন্ত করে যানতে পারেন ইংরেজরা ঘরবাড়ি পোড়ানো, লুঠ-পাঠ, মারধর, মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করা, ১৭ টি প্রতিষ্ঠানকে বেআইনি ঘোষনা করা এবং ৮৯ জন মহিলার উপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে। সেই মহিলাদের মধ্যে সধবা, বিধবা, কুমারী, গর্ভবতী এবং রোগী ছিল। কোনো কোনো মহিলাকে ৩/৪ বারও ধর্ষণ করা হয়েছে।
গান্ধীজি ও আভা গান্ধী মেদিনীপুরে রূপনারায়ণ নদীর মোহনায় নামার আগে। ।
গান্ধীজি গেঁওখালী হয়ে ছোট লঞ্চে করে মহিষাদল যাচ্ছেন। সঙ্গে আছেন সুধীর ঘোষ ও রাধাকৃষ্ণ বাজাজ।
তখন গান্ধীজি বলেছিলেন – বৃটিশরা এখানে যা করেছে-আমি থাকলে কী করতাম জানি না। তরপর বলেছিলেন-তোমাদের সাহস, বীরতম ও আত্মত্যাগের আমি প্রশংসা করি, তবে তোমরা অহিংসার পথে থাকলে আমি খুশি হতাম। ২৫ থেকে ২৯ ডিসেম্বর মহিষাদলে গান্ধীজি থাকাকালীন প্রত্যেকদিন সভায় পাঁচ থেকে সাত লক্ষ জনসমাগম হতো।
মহিষাদলে পা রাখলেন গান্ধীজি। ।
মহিষাদলে জনসভায় গান্ধীজি।
এই কদিনে গান্ধীজি মহিষাদল ছাড়াও সুতাহাটায় সভা করেন। শ্রী কুমার জানার অনুরোধে ২৯ তারিখ গান্ধীজি বাসুদেবপুর আশ্রমে যান। মহিষাদল থেকে ১৫ কিলোমিটার জমির ধান কেটে রাস্তা করে শয়ে শয়ে মানুষ চরকা কাঁধে করে এসেছিলেন। ২৯ তারিখ থেকেই এখানে শুরু হয় গান্ধী মেলা। গান্ধীজি এই আশ্রমে ২০ মিনিট ছিলেন।
মহিষাদলে গান্ধীজি।
৩০ ডিসেম্বর গান্ধীজি মহিষাদল থেকে নৌকোয় করে হিজলী টাইডাল ক্যানেল দিয়ে বিভিন্ন জায়গা হয়ে কৃষ্ণনগর যান।
খেজুরীর কৃষ্ণনগরে গান্ধীজি। সঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্র প্রামানিক, সতীশচন্দ্র জানা, পিতাবাস দাস এবং আরো অনেকে। ।
৩০ ডিসেম্বর গান্ধীজি মহিষাদল থেকে লঞ্চে করে হিজলী টাইডাল ক্যানেল দিয়ে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় কিছুক্ষনের জন্য নাবেন। সেখান থেকে ইটামগরা হয়ে যান ভগবানপুরের কাকরা গ্রামে। এরপরে তিনি আবার লঞ্চে করে গিয়ে খেজুরির ইডিঞ্চি ক্যানেল ঘাটে নেবে কৃষ্ণনগর গ্রামে যান ও সেখান থেকে পৌঁছে যান কাঁথি। ৩১ ডিসেম্বর ১৯৪৫ থেকে ২ জানুয়ারী ১৯৪৬ পর্যন্ত তিনি কাঁথিতে ছিলেন। ৩ তারিখ গান্ধীজি কাঁথি থেকে আবার একই পথে গেঁওখালী হয়ে ২৪ পরগনার সোদপুর যান।
অরিন্দম ভৌমিক।
midnapore.in
(Published on 02.10.2008, Updated on 02.10.2021)
তথ্য সূত্রঃ-
● মেদিনীপুরে মহাত্মা গান্ধী - শ্রী হরিপদ মন্ডল।
● কৃষ্ণনগরে গান্ধীজি - শ্রী ঈশ্বরচন্দ্র প্রামানিক।
● সর্বাধিনায়ক - তাম্রলিপ্ত স্বাধীনতা সংগ্রাম ইতিহাস কমিটি।
● স্বাধীনতা সংগ্রামে মেদেনীপুর - বসন্ত কুমার দাস।
● মেদিনীপুরের বৈপ্লবিক ইতিহাস - চিত্তরঞ্জন দাস
● ** Some such imitations were pure fake while others were what Gandhi called ‘half khadi’, i.e. fabrics that were hand-woven but with machine-spun yarn (CWMG vol. 28: 144).