২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর মিডনাপুর ডট ইন (midnapore.in)-এর সদস্যরা সর্বাধিনায়ক সতীশচন্দ্র সামন্তে'র জন্মদিন পালন করছেন মেদিনীপুর শহরের ক্ষুদিরাম মোড়ে (LIC চক)
১৯২২ ও ১৯২৪ সালে মহিষাদল থানা কংগ্রেসের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯২৫ থেকে ১৯৩০ সল্ পর্যন্ত কাকুড়দহ গুণধর জাতীয় বিদ্যালয়ে ও নিমতৌড়ী দেশবন্ধু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩১ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তমলুক ও পাঁশকুড়া থানা কংগ্রেসের সম্পাদক ছিলেন। এরপর তমলুক মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে ভারতছাড়ো আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। গড়ে তোলেন 'তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার' - তিনিই হন প্রথম সর্বধিনায়ক। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে তাঁর অসামান্য দক্ষতায় গঠিত এই সরকার সারা দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী জাতীয় সরকার। ১৭ই ডিসেম্বর ১৯৪২ থেকে পরিচালিত এই সরকার গান্ধীজীর উপস্থিতিতে ও নির্দেশে ১৯৪৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর এই সরকার প্রত্যাহৃত হয়।
২০২০ সালের ৪ জুন মিডনাপুর ডট ইন -এর সদস্যরা সর্বাধিনায়ক সতীশচন্দ্র সামন্তে'র তিরোধান দিবস পালন করছেন
স্বাধীনতা আন্দোলনে বিভিন্ন সময়ে ৬ বারে মোট সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করেন। ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর গণপরিষদ ও অস্থায়ী পার্লামেন্টের সদস্য মনোনীত হন। নির্বাচনের পরে দীর্ঘদিন তমলুকের সাংসদ রূপে পার্লামেন্টের বহু কমিটি ও কমিশনের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০১ সালে সতীশচন্দ্র সামন্ত'র নামে প্রকাশিত ভারতীয় ডাক টিকিট (Satish Chandra Samanta on a 2001 stamp of India)।
ভারতের হয়ে বহুবার বিশ্বের নানা দেশে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আজকের হলদিয়া তাঁরই মানসকন্যা। আধুনিক তমলুকের রূপকারও তিনিই। অকৃতদার, সরল, অনাড়ম্বর সর্বাধিনায়ক সতীশচন্দ্র সামন্ত ১৯৮৩ সালের ৪ জুন অমরত্ব লাভ করেন।
অরিন্দম ভৌমিক।
midnapore.in
তথ্যসূত্র :-
১) সর্বাধিনায়ক (প্রকাশকঃ তাম্রলিপ্ত স্বাধীনতা সংগ্রাম ইতিহাস কমিটি)। ।
২) GRAMDAL: TAMRALIPTA NATIONAL GOV.(BANGA BHUSAN BHAKTA)।
৩) স্বাধীনতা সংগ্রামে মেদিনীপুর (তিন খন্ডে প্রকাশিত)।
৪) স্বাধীনতা সংগ্রামে তমলুকঃ ইতিহাস মালা।
৫) মেদিনীপুর চরিতাবিধান - মন্মথনাথ দাস।