(Actively participated in the Indian independence movement until she was shot dead by the British Indian police. 19 October 1870 – 29 September 1942)
Matangini was born in the small village of Hogla, near Tamluk in 1869. She did not obtain a proper education due to her father Thakurdas Maity’s poor financial condition. She was married early with Trilochan Hazra of Alinan village , who was much older than her. She was widowed by the age of eighteen. Thereafter she devoted herself to social service, working tirelessly for others.
In 1905,when the Nationalist movement was at its peak in Bengal, Matangini Hazra became deeply inspired and influenced by Mahatma Gandhi, and followed his teachings so religiously that she later came to be known as 'Gandhi Buri', Bengali for old lady Gandhi.. In 1932, at the age of 62. She was a great follower of Mahatma Gandhi. A notable feature of the freedom struggle in Midnapore was the participation of women. In 1932, she took part in the Non-Cooperation Movement and was arrested for breaking the Salt Act.
She was promptly released, but protested for the abolition of the tax. Arrested again, she was incarcerated for six months at Baharampur. In the Jail she met with many other political prisoners and learned more about the freedom movement. After being released, she became an active member of the Indian National Congress and took to spinning her own Khadi. In 1933, she attended the sub divisional Congress conference at Serampore and was injured in the ensuing baton charge by the police.
In the same year (1933) Sir John Anderson, the then Governor of Bengal, came to Tamluk to address a well-screened gathering, but Inspite of that tough Security , she managed to stage a black flag demonstration in front of the dais.
As part of the Quit India Movement, members of the Congress in Midnapore District planned to take over the various police stations of Midnapore district and other government offices. This was to be a step in overthrowing the British government in the district and establishing an independent Indian state.
On 29 September 1942, she asked the local leaders to allow her to head a procession for capturing the Tamluk court and police station, but her request was turned down because of her age.
Her chance came when Matangini Hazra was 73 years at the time, led a procession of six thousand supporters, mostly women volunteers, with the purpose of taking over the Tamluk police station. When the procession reached the outskirts of the town, they were ordered to disband under Section 144 of the Indian Penal Code by the police. Amid the chaos, the villagers were ordered to halt by bayonet-clutching British soldiers. As she stepped forward, Matangini Hazra was shot once. Apparently, she had stepped forward and was appealing to the police not to shoot at the crowd.
"Matangini led one procession from the north of the criminal court building; even after the firing commenced, she continued to advance with the tri-colour flag, leaving all the volunteers behind. The police shot her three times. She continued marching despite wounds to the forehead and both hands."
As she was repeatedly shot, she kept chanting Vande Mataram, "hail to the Motherland". She died with the flag of the Indian National Congress held high and still flying.
Matangini Hazra is not only remembered for her role in the freedom struggle, but also for upholding the importance of women in the life of a nation. She is an epitome of infinite courage and leadership.
The parallel Tamluk government incited open rebellion by praising her "martyrdom for her country" and was able to function for two more years, until it was disbanded in 1944, at Gandhi's request.
India earned Independence in 1947 and numerous schools, colonies, and streets were named after Matangini Hazra. The first statue of a woman put up in Kolkata, in independent India, was Hazra's in 1977. A statue now stands at the spot where she was killed in Tamluk. In 2002, as part of a series of postage stamps commemorating sixty years of the Quit India Movement and the formation of the Tamluk National Government, the Department of Posts of India issued a five rupee postage stamp with Matangini Hazra's likeness. Hazra Road in Kolkata is also named after her.
Shahid Matangini Hazra Government College for Women, Chakshrikrishnapur, Kulberia has been set up to commemorate the memory of the fearless fighter and continue the legacy of enlightenment and empowerment of women that she has bequeathed to the country, and to Medinipur, specially.
বীরাঙ্গনা-গান্ধীবুড়ি মাতঙ্গীনি হাজরার জন্ম বাংলা ১২৭৭ সালে (ইংরাজী ১৮৭০, ১৯শে অক্টোবর) তমলুক থানার হোগলা গ্রামে ঠাকুরদাস মাইতির ঘরে । তার বাবা অল্প বয়সেই আলিনান গ্রামের ত্রিলোচন হাজরার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন। ১৮ বছর বয়সে নিঃসন্তান অবস্থায় বিধবা হন তিনি । মনে-প্রানে "গান্ধীবুড়ি" । বিপ্লবী তরুন তরুনীদের ভালবাসতেন নিজের আত্মীয়ের মতো। তার বাড়ীর পাশ দিয়ে শোভাযাত্রা গেলে শঙ্খ বাজাতেন। তিনি আফিং খেতেন কিন্তু গান্ধীর মাদক বর্জনের ডাকে একদিনেই সেই নেশা ত্যাগ করেন। দুঃখীর সেবা করতে করতে মাতঙ্গীনি হাজরা রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৩২ সালের ২৬শে জানুয়ারী মহাত্মা গান্ধীর ডাকে লবণ তৈরী আইন নিষেধের বিরুদ্ধে লবণ তৈরী করে লবণ আইন অমান্য করেন এবং প্রথমবারের জন্য বন্দী হন মাতঙ্গীনি হাজরা। পুলিশ শাস্তি হিসাবে শেষ রাত পর্যন্ত বহুদূর হাঁটিয়ে রাত্রি শেষে ছেড়ে দেয়। এতে তাঁর ভয় দূর হয়ে গিয়ে জেদ বাড়ে । ১৯৩৩ সালে পুলিশকে কালো পতাকা দেখানোর জন্য এবং আইন অমান্য করার জন্য গ্রেপ্তার হন। ১৯৩৩ সালে চৌকিদারী ট্যাক্স বন্ধ আন্দোলনে মাতঙ্গিনী গ্রামে ঘুরে ঘুরে লোককে বোঝাতে থাকাকালীন পুলিশ বন্দি করে সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করে তাঁকে ৬ মাসের জন্য বহরমপুর জেলে পাঠানো হয়। মাতঙ্গিনী জেল মুক্তির পর মেদিনীপুরে এলে মেদিনীপুরের মেয়েরা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং এরপর থেকেই তার পরিচয় হয় গান্ধীবুড়ি ।
১৯৪০ সালে গান্ধিজীর অহিংসা নীতির বদলে মেদিনীপুরে দেখা দিল তান্ডব। টেলিগ্রাফের থাম উপড়ে ফেলা হলো, বোমা পড়ল, থানা দখল করে ইংরেজের পতাকা পুড়িয়ে, তুলল ভারতীয় জাতীয় পতাকা - তেরঙ্গা ঝান্ডা। ইং ১৯৪২ সালে আগষ্ট বিপ্লবে প্রকাশ্য বিদ্রোহের জন্য পুলিশের গুলিতে ৯৮০ জন নিহত, ১৬৩০ জন আহত এবং বন্দী হন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ । ১৯৪২ সালে আগষ্ট আন্দোলনে মাতঙ্গিনীর থানা আক্রমন, তার আত্মত্যাগ, গন আন্দোলনের উপর ব্রিটিশের দমন নীতির বিরুদ্ধে তান্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা মাতঙ্গীনিকে প্রাতঃ-স্মরণীয়া নারী করে রাখবে । ২৯শে সেপ্টেম্বর, ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের গান্ধীজির "করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে” ডাকে, তান্ত্রলিপ্ত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠাকল্পে ৫০ হাজার নর-নারীর পুরভাগে থেকে তমলুক থানার লালবাড়ী দখল করতে গিয়ে তিনবার গুলিবিদ্ধ হয়ে জাতীয় পতাকা বুকে তুলে নিয়ে ৭৩ বছরের বৃদ্ধা মাতঙ্গিনী হাজরা ও রামচন্দ্র বেরা অভূতপূর্ব বীরত্বের ও আত্ম-বলিদানের পরিচয় দেন। প্রথমে ডান পায়ে, পরে বাম হাতে গুলি লাগাতে বুকে জড়িয়ে ধরলেন তেরঙ্গা পতাকা পরে বুকে বিদ্ধ হয়ে বন্দেমাতরম ধ্বনি দিতে দিতে লুটিয়ে পড়লেন মাতঙ্গিনী হাজরা, গান্ধীবুড়ীর প্রাণ গেলেও পতাকা আজও উঁচু হয়ে আছে। তার এই মহৎ কাজের জন্য কুমার চন্দ্র জানা, রজনীকান্ত প্রামাণিক, অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়, সতীশ সামন্ত ও সুশীল ধাড়ার কাছে প্রেরণা পেয়েছিলেন।
তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের মুখপত্র বিপ্লবী পত্রিকার বর্ণনা অনুযায়ী, ফৌজদারি আদালত ভবনের উত্তর দিক থেকে মাতঙ্গিনী একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। পুলিশ গুলি চালালে তিনি অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের পিছনে রেখে নিজেই এগিয়ে যান। পুলিশ তিনবার তাঁকে গুলি করে। গুলি লাগে তাঁর কপালে ও দুই হাতে। তবুও তিনি এগিয়ে যেতে থাকেন।
এরপরেও বারংবার তার ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। কংগ্রেসের পতাকাটি মুঠোর মধ্যে শক্ত করে উঁচিয়ে ধরে বন্দেমাতরম ধ্বনি উচ্চারণ করতে করতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার স্বদেশের জন্য মাতঙ্গিনী হাজরার মৃত্যুবরণের দৃষ্টান্তটিকে সামনে রেখে মানুষকে বিপ্লবের পথে উদ্বুদ্ধ করে তুলেছিল। উল্লেখ্য, এই সমান্তরাল সরকারটি ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সফলভাবে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হয়। পরে গান্ধীজির অনুরোধে এই সরকার ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করলে অসংখ্য স্কুল, পাড়া ও রাস্তার নাম মাতঙ্গিনী হাজরার নামে উৎসর্গ করা হয়। স্বাধীন ভারতে কলকাতা শহরে প্রথম যে নারীমূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছিল, সেটি ছিল মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি। ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার ময়দানে এই মূর্তিটি স্থাপিত হয়।
তমলুকে ঠিক যে জায়গাটিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন, সেই জায়গাটিতেও তাঁর একটি মূর্তি আছে। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে ভারত ছাড়ো আন্দোলন ও তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠনের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ভারতের ডাকবিভাগ মাতঙ্গিনী হাজরার ছবি দেওয়া পাঁচ টাকার ডাকটিকিট চালু করে।
मातंगिनी हाजरा का जन्म मिदनापुर , होगला ( पं. बंगाल ) में 1870 में हुआ। वह ऐसी वीरांगना थी जिन्होंने 73 वर्ष की आयु में गोलियों से छलनी हो कर भी झंडे को झुकने नहीं दिया। इनका कार्यक्षेत्र भिदनापुर जिले का तामलुक सहर थे। 1929 में विदेशी बहिष्कार , 1930 में टैक्स संघर्ष व नमक कानून तोड़ते हुए डांडी कृच आदि अवसरों पर इन्होंने महिलाओं को इतना जाग्रत कर दिया था कि 1930-31 के आन्दोलन में 17000 महिलाएँ जेलों में थीं।
1932 में तामलुक में बंगाल गवर्नर के खुले दरबार में भाषण के समय “गवर्नर वापस जाओ ' नारा बुलन्द करके मातंगिनी हाजरा ने सन्ताटा पैदा कर दिया और छः माह की जेल काटी। 1939 में द्वितीय विश्व युद्ध आरम्भ हुआ। मिदनापुर ' खतरनाक क्षेत्र ' घोषित कर दिया गया। 29 सितम्बर , 1942 का दिन था। हाजरा 5000 स्त्री-पुरुषों का जुलूस लेकर “अंग्रेजों भारत छोड़ो” व 'बन्देमातरम्' नारों के साथ बढ़तो हुई तामलुक दीवानी तक पहुँच गई। ब्रिटिश अधिकारियों ने लाठियाँ बरसानी आरम्भ कर दीं। लेकिन यह साहसी महिला जुलूस के लोगों को प्रेरित करती हुई निरंतर आगे ही बढ़ती रही। आखिर पुलिस जुलूस को एक स्थान पर रोकने में कायमाब रही। यहाँ पर इनके जोशीले भाषण से पुलिस आतंकित हो उठी और तैश में आकर गोलियों की बौछार कर दी। दोनों हाथों से झंडा छाती से चिपकाये हाजरा आगे बढ़ती रही। तभी एक गोली उनके मस्तक पर लगी और वहीं बलिदान हो गईं। लेकिन गिरने से पूर्व झंडा किसी अन्य के हाथ में थमा दिया, उसे गिरने नहीं दिया।
Arindam Bhowmik
midnapore.in