শিল্প-সাধক অংশুমান রায়
অংশুমান রায়
Ansuman Roy
লক্ষ্মী পাল।
Home » Medinikatha Journal » Lakshmi Pal » Ansuman Roy
মানুষের যাপনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে মানবসভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রবহমান ধারাটির উৎসমুখ। তাদের সুখদুঃখপূর্ণ জীবন, আশা-নিরাশা ও স্বপ্নের নানাবিধ অভিব্যক্তি এই দুটিকে পরিচর্যা করে এগিয়ে নিয়ে যায় আগামীর দিকে। সভ্যতা ও সংস্কৃতির বৈচিত্রময় রঙরূপ বিবিধ ধারায় ছড়িয়ে পড়ে যুগ থেকে যুগান্তরে। প্রকৃতি ও জীবনের ব্যক্ত-অব্যক্ত হিল্লোলের প্রভাবে প্রভাবিত কিছু মানুষের শরীর ও মন আত্মস্থ করে নেয় সুর - তাল - ছন্দের তরঙ্গায়িত দোলনকে। যাদের হৃদয়মথিত আবেগ কথা ও সুরের সমন্বয়ে সংগীত হয়ে প্রকাশিত হয় তাদের বলা হয় কণ্ঠশিল্পী। অদূর অতীতে অংশুমান রায় একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বাংলার সংগীত জগতে স্থান করে নিয়েছিলেন।
অংশুমান রায় | Ansuman Roy
পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পশ্চিমদিকে অবস্থিত একটি জনপদের নাম ছিল ‘ঝাড়গ্রাম’ যেটি ২০১৭ সালের ৪ঠা এপ্রিল তারিখ থেকে স্বতন্ত্র জেলায় পরিণত হয়। জেলাটির একদিকে গৌরবান্বিত রাজপ্রাসাদের অবস্থান, অন্যদিকে জীবনসংগ্রামরত সাধারণ মানুষের , বিশেষ করে বনবাসীদের বসতি। এরই মাঝে রয়েছে শাল-পিয়াল-মহুয়ার অপূর্ব শোভা এবং সুবর্ণরেখা, কংসাবতী প্রভৃতি নদীর মনোমোহিনী প্রবাহের সাথে মধুর কলতান। এই ঐতিহ্যমণ্ডিত ও অপরূপ ঝাড়গ্রামের ‘বাছুরডোবা’ নামক অঞ্চলের এক সংগীতপ্রিয় পরিবারে সঙ্গীতজ্ঞ অংশুমান রায়ের জন্ম হয়। তারিখটি ছিল ১৯৩৬ সালের ১৯শে আগস্ট।
অংশুমান রায় | Ansuman Roy
বিভিন্ন সময়ে মনোরঞ্জনী প্রাকৃতিক পরিমণ্ডলের ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধ ঝাড়গ্রাম আদিবাসীদের নৃত্যগীতের উচ্ছল আনন্দে মেতে ওঠে। ‘’মাদলের বোল, জ্যোৎস্না, বর্ষাস্নিদ্ধ বনভূমি, সুঠাম শ্যামা নৃত্যপরায়ণা তরুণীর দল- সব মিলিয়ে কোনও বড় শিল্পীর অঙ্কিত একখানি ছবির মত সুশ্রী – একটি মধুর সঙ্গীতের মতো তার আকুল আবেদন’’ অংশুমান রায়ের সংবেদনশীল মনে রসসিঞ্চন করত। তার হৃদয়ে প্রোথিত হয়ে গিয়েছিল আদিবাসীদের গাওয়া গানের কথা-সুর-ছন্দের মাধুর্য। উপরন্তু তারই এক পূর্বপুরুষ বাঁকুড়া জেলার কোনো একজন জমিদারের সভাগায়ক ছিলেন। সভাগায়কের গানে জমিদার এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তাকে ‘রায়’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন। হয়ত বা উত্তরাধিকার সূত্রে সেই গুণও নিহিত ছিল আলোচ্য শিল্পীর মধ্যে। নিজস্ব প্রতিভা, গানের উত্তরাধিকার, ছন্দময় পরিবেশ ও আদিবাসীদের সঙ্গ - এই চারের সম্মেলনে ঋদ্ধ হয়েছিল শিল্পীমন। অংশুমান রায় প্রথাগত শিক্ষাও গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর প্রথম শিক্ষক ছিলেন দাদা শঙ্কর রায়। পরে পিতার এক বন্ধুর কাছে তিনি তালিম নেন। অংশুমান রায় শুরুতে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইলেও ক্রমেই রাগপ্রধান এবং ঠুংরিতে আকৃষ্ট হন এবং পারদর্শী হয়ে ওঠেন। অবশেষে ‘রাঢ় বাংলার লোকগান’ তার সঙ্গীত সাধনার প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে। সম্ভবতঃ আদিবাসী বন্ধুদের সঙ্গ ও সংস্কৃতি তাকে আকৃষ্ট করেছিল জীবনজাত সঙ্গীতের প্রতি। পঞ্চাশের দশক থেকে তিনি শুরু করেন লোকগান নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা, আদিবাসীদের জীবন এবং সংস্কৃতি নিয়ে অনুসন্ধান।
অংশুমান রায় | Ansuman Roy
অংশুমান রায় সরকারী চাকুরিজীবী ছিলেন। প্রথমে তার কর্মক্ষেত্র ছিল ঝাড়গ্রামেই। সুরের আকাশে ডানা মেলবার জন্য বা রাজ্যের মূলকেন্দ্রে নিজেকে এবং লোকগানকে প্রতিষ্ঠিত করবার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবার কারণে তিনি সংস্কৃতির পীঠস্থান কলকাতায় আসেন এবং সঙ্গীতচর্চায় অধিকতর মনোনিবেশ করেন। সম্ভবতঃ সঙ্গীতসাধনায় নিজেকে সমর্পণ করবার ইচ্ছাপূরণের কারণেই তিনি সরকারী নিয়মানুযায়ী অবসর পাওয়ার আগেই চাকুরি ছেড়ে দেন। সঙ্গীত হয়ে উঠেছিল শিল্পীর সার্বিক কর্ম ও সাধনার কেন্দ্রবিন্দু। নির্মলেন্দু চৌধুরী এবং অমর পালের লোকসঙ্গীত, পূর্ণদাস বাউলের বাউলগানে যখন সঙ্গীতপ্রিয় বাঙালির মন আবিষ্ট তখনই অংশুমান রায় বঙ্গবাসীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন লোকগানের এক নতুনধারার সাথে। সেই মনমাতানো ধারাটির নাম ‘ঝুমুর’, যেটি বর্তমানে দেশ-বিদেশে প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ১৯৬২সালে ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও ,ক্যালকাটা’ থেকে ‘লাইভ ব্রডকাস্ট’ হয়েছিল একটি গান –
সাঁঝে ফোটে ঝিঙা ফুল
সকালে মলিন গো
আসব না ছাড়ে গেলে
পরেরও দিন গো
সাঁঝে ফোটে….।
গায়কের কণ্ঠস্বরে ছিল স্বাতন্ত্র এবং সঙ্গতে ছিল বাদ্যযন্ত্র ‘মাদল’। সেদিন বহু শ্রোতা নতুন শিল্পীর গান ও আদিবাসী সমাজের নৃত্যগীতে বহুল ব্যবহৃত মাদলের ধ্বনি শুনে আপ্লূত হয়েছিলেন। কেউ কেউ উৎসুক হয়ে উঠেছিলেন নবাগত শিল্পীর পরিচয় জানতে আর আরো গান শুনতে। আদিবাসী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের বাসিন্দা অংশুমান রায় জানতেন বিবিধ পালাপার্বণে আদিবাসীরা, বিশেষ করে নারীরা মহুয়ার মাদকতায় মেতে উঠে মাদলের তালে তালে নাচে আর গানের মাধ্যমে ব্যক্ত করে মনের কথা – প্রেমের কথা। রাত্রিশেষে তাদের মধ্যে থাকে না প্রারম্ভিক পর্বের সতেজ সৌন্দর্য। এই বিষয় নিয়ে লেখা কয়েকটি পংক্তি শিল্পী পেয়েছিলেন। তিনি তার সাথে আরো কয়েকটি পঙক্তি যোগ করে মাদলের তালের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সুর দেন। এই প্রসঙ্গে অংশুমান রায়ের পুত্র গায়ক ভাস্কর রায় বলেছেন, ‘’ ….বাবা সব সময় বলতেন এটি একটি প্রচলিত লোকগান। কারণ বাবা বিশ্বাস করতেন, লোকগান কখনও কোনো নির্দিষ্ট লেখক বা সুরকারের হতে পারে না। দীর্ঘদিন তা ধরে রূপায়িত হয়।‘’ এই প্রসঙ্গ থেকে শিল্পীর বৌদ্ধিক গভীরতা ও মনের উদারতার পরিচয় পাওয়া যায়। নতুন পরিবেশ এবং নানাবিধ পরিস্থিতির মধ্যেও তিনি অতন্দ্র সাধকের মত সঙ্গীতসাধনা করে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীর স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
অংশুমান রায় | Ansuman Roy
তখন বাংলা গানের জগৎ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, শ্যামল মিত্র প্রমুখের অবদানে উজ্জ্বল ও মুখর হয়ে উঠেছিল। তবুও ‘কণ্ঠস্বরের বৈশিষ্ট্য, অভূতপূর্ব মাদকতা এবং তারই মধ্যে একটা নাটকীয়তা অংশুমান রায়কে স্বতন্ত্র ও বিখ্যাত করে তোলে। তার গাওয়া গানগুলির মধ্যে সাধারণ মানুষের যাপিত জীবনের সুর ও প্রকৃতির ছবি ছন্দিত হওয়াতে সেগুলি শ্রোতাদের কাছে হৃদয়গ্রাহী ও আনন্দদায়ক হয়ে উঠেছিল। যেমন,
‘’ভাদর আশ্বিন মাসে ভ্রমর বসে কাঁচা বাঁশে
আরো কি থাকিবে বাপের ঘরে গো
মন আমার কেমন কেমন করে/ ও বঁধূ হে আর না থাকিও বাপের ঘরেতে…’’
রিমঝিম বর্ষার পর সুনির্মল শরতের আগমনে প্রকৃতি জগত আর প্রাণীকুলে যে মনোগ্রাহী শোভার সৃষ্টি হয় তা বিরহী প্রেমিকের মনকে আকুল করে তোলে বঁধূকে কাছে পাওয়ার জন্য। বৈষ্ণব পদাবলীর শ্রীরাধিকাও বর্ষার আগমনে প্রিয়মিলনের বাসনায় আকুল হয়ে উঠেছিল। পদকর্তা লিখেছিলেন, ‘’এ ভরা ভাদর মাহ ভাদর শূন্য মন্দির মোর।‘’ জীবনের এই চিরন্তন প্রেমময় মাধুর্যকে অংশুমান রায় সাধারণ মানুষের ব্যবহার করা ভাষা থেকে শব্দচয়ন করে কথা ও লোকগীতের সুরের সংযোজনে অপূর্ব গান সৃষ্টি করে পরিবেশন করেছেন যা বর্তমানের শ্রোতাদের মনকেও দোলা দিয়ে যায়। তার গাওয়া ’আমার বঁধু মান করেছে‘, ‘হায় হায় সাত পাকে বাঁধা পড়ো না’, ‘বলি ও খোকার মা’, ‘ দাদা পায়ে পড়ি রে/ মেলা থেকে বৌ এনে দে’ প্রভৃতি জীবনকেন্দ্রিক গান শ্রোতাদের এখনো প্রভূত আনন্দ দেয়। অংশুমান রায় শুধুমাত্র কণ্ঠশিল্পী ছিলেন না তিনি অনেক গানে সুরও দিয়েছেন, সহকারী সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে, কাজও করেছেন সুধীন দাশগুপ্তর সহকারী হয়ে। HMV থেকে প্রকাশিত হয়েছিল ‘হিংসুটে দৈত্য’, ‘ছোটদের রামায়ণ,’ ‘আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ’ নামক জনপ্রিয় রেকর্ডগুলি। শিল্পী ১৯৭৮ সালে ‘চারমূর্তি’ নামক চলচ্চিত্রে ‘ঘচাং ফু খাবো তোকে’ গানটি গাওয়ার জন্য শ্রেষ্ঠ প্লে-ব্যাক গায়ক হিসেবে সম্মানিত হন। ‘জয় বাবা তারকনাথ,’ ‘তমসা,’ ‘দক্ষযজ্ঞ ‘প্রভৃতি সিনেমার অনেক গানও তারই গাওয়া। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি’ গানটিতে সুর দিয়ে গেয়েছিলেন আংশুমান রায় যেটি ঐদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান এই গানটি শুনে এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি অংশুমান রায়কে গোল্ড মেডেল দেবেন বলে সরকারীভাবে ঘোষণা করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ায় তখন সেটি বাস্তবায়িত হয়ে ওঠে নি। অতঃপর ২০১২ সালের ২৭শে মার্চ বাংলাদেশের সরকার ঐ দেশের শ্রেষ্ঠ সম্মান ‘মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় সম্মান ও মরণোত্তর মুক্তিযোদ্ধা সম্মান’ প্রদান করেন। পুরস্কারটি গ্রহণ করেছিলেন অংশুমান রায়ের পুত্র কন্ঠশিল্পী ভাস্কর রায়। এখনও বাংলাদেশের সরকারী অনুষ্ঠানে বাজানো হয় এই জনপ্রিয় সঙ্গীতটি।
বামদিক থেকে অংশুমান রায়, শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার,অমিতাভ নাহা ও দীনেন্দ্র চৌধুরী
অংশুমান রায় দীর্ঘ দশ বছর গবেষণা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ - পশ্চিম অঞ্চলের লোকসাহিত্য ও লোকসঙ্গীত নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন শিক্ষাজগত এই গবেষককে প্রভূত মান্যতা দিয়েছিল। তিনি আমন্ত্রিত হয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন ‘কলকাতা সায়েন্স কলেজ,’ ‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়,’ ‘Indian Academy of Folk Literature’ প্রভৃতিতে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল লোকসঙ্গীত ও লোকসাহিত্য সম্পর্কীয় সেমিনারে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শিল্পীর নৈপুণ্য ছিল মাদল ব্যতীত তবলা, তানপুরা, বেহালা, বাঁশি বাজানোতেও। উপরন্তু ছবি আঁকা, কবিতা লেখা, হস্তশিল্পেও তার দক্ষতা প্রশংসনীয়। বলা যেতে পারে, তিনি শুধুমাত্র গায়ক ও সুরকার ছিলেন না - ছিলেন একজন ‘শিল্প-সাধক’।
অংশুমান রায় | Ansuman Roy
আগেই বলেছি, স্বপ্নপূরণের জন্য অংশুমান রায় কলকাতায় এসেছিলেন এবং আয়ের নিশ্চিত উৎস যে চাকরি তাতেও ইস্তফা দেন। স্বাভাবিকভাবেই তাকে কিছুদিন বিবিধ অসুবিধার মধ্য দিয়ে দিনযাপন করতে হয়। কিন্তু তিনি সর্বদা অবিচল থেকে শিল্পসাধনা করে আপন লক্ষ্যে পৌঁছাতে সচেষ্ট থেকেছেন। তাঁর পারিবারিক জীবনও ছিল সুষমামণ্ডিত। সুবিশাল কর্মজগৎ তাঁকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় নি। শুনেছি, তিনি কখনো সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন নৈশভোজের জন্য, কখনো নতুন রেসিপিতে রান্না করে বাড়িতে খুশির হাওয়া বইয়ে দিতেন। বাঘা নামের বিড়ালটি ছিল তাঁর প্রিয় পোষ্য। স্ত্রী কমলা রায়কে তিনি কতটা ভালোবাসতেন তা জানা যায় তাদের পুত্র ভাস্কর রায়ের কথা থেকে। তিনি বলেছেন, ‘’মায়ের মৃত্যু ছিল বাবার কাছে ভীষণ যন্ত্রণার। মাকে বাবা সব সময় বলতেন, ‘আমরা মরব একসঙ্গে’। তখন বুঝিনি, এখন বুঝতে পারি কতটা ভালবাসার টান থাকলে তবেই একথা বলা যায়।‘’ এই গভীর ভালোবাসার জন্যই অংশুমান রায় স্ত্রীর মৃত্যুর দেড় মাসের মধ্যেই স্ব-ইচ্ছায় মৃত্যুকে বরণ করে নেন। ১৯৯০ সালের ২২শে এপ্রিল বাংলা সঙ্গীতজগতের অপূরণীয় ক্ষতির দিন।
অংশুমান রায় | Ansuman Roy
প্রায় তিন দশক ধরে অংশুমান রায় বাংলা গানের জগতকে মাতিয়ে রেখেছিলেন তাঁর অসামান্য প্রতিভা দ্বারা। এই বিখ্যাত মানুষটির জীবনের অকাল অবসান তাঁর স্বজন এবং সেই সময়ের অনেককেই আজও অনেক সময় বিষাদাচ্ছন্ন করে তোলে। আংশুমান রায় বাংলা লোকসঙ্গীতের ঐতিহ্যপূর্ণ একটি ধারাকে জঙ্গলমহল ও আদিবাসীদের সীমা থেকে নিয়ে এসে বৃহত্তর ক্ষেত্রে ছড়িয়ে দিয়ে বাংলা লোকসঙ্গীতের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর সুযোগ্য পুত্র গায়ক ভাস্কর রায়ের বিরামহীন প্রচেষ্টার জন্য অংশুমান রায়ের গানের ধারা আজও বাংলার সঙ্গীত জগতে প্রবহমান।
midnapore.in
(Published on 07.05.2023)