১৯৪০ সালের ৮ জুন অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম থানার আমদাবাদ গ্রামে জন্ম। প্রায় পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতের প্রাচীনতম জনগোষ্ঠী সাঁওতাল, কোল, মুণ্ডা প্রভৃতির সংস্কৃতির উপর কাজ করছেন। তাঁর মতে, বাঙলা ভাষা ও সংস্কৃতি মূলত দাঁড়িয়ে আছে এই সমস্ত আদিবাসী গোষ্ঠীর ভাষা ও ধারণার উপর। বাঙালির উচ্চারণ ও ছন্দ এবং ভাব বিনিময়ের জন্য গদ্যের ভঙ্গি, উভয়ই তৈরি হয়েছিল খেরোয়াল অর্থাৎ সাঁওতাল প্রমুখ মানুষের দ্বারা – এই কেন্দ্রীয় ধারণা তিনি প্রকাশিত বহু রচনায় বিশদ করেছেন।
দীর্ঘ চল্লিশ বছর তিনি হরিয়াদ সাকাম Hariad Sakam (Green Letter) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। সাঁওতালি ভাষার প্রচারে এবং প্রসারে এই পত্রিকা ছিল যুগান্তকারী। মেছেদাতে শুরু করেন নিজস্ব প্রকাশনা 'মারাংবুরু প্রেস'। তিনি সাঁওতালি ভাষায় গীতাঞ্জলি অনুবাদ করেন, যার নাম 'সেরেঞ সেপেঞ' (Sereng Sepeng), ভূমিকা লিখেছিলেন ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়। জাতীয় অধ্যাপক আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন- His activities in this department are sane and sound and based on knowledge"। যৌথ ভাবে ডেভিড ম্যাককচিওনের (David MacCutchion) সঙ্গে তিনি লিখেছেন Patuas and Patua Art of Bengal এবং জিম রবিনসনের (Jim Robinson) সাথে লিখেছেন Tushu Songs। পুরুলিয়ার সিধু কানু বিশ্ববিদ্যালয় এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন সাম্মানিক ডি লিট সম্মান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে দিয়েছে 'বঙ্গবিভূষণ' সম্মান। মেদিনীকথা পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক।